
একই ফ্রেমে দেশের ক্রিকেটের তিন নক্ষত্র সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবাল
বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ দলের। সেই ম্যাচে তামিম ইকবালকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ ব্যক্তি। সেটি তামিম নিজেই ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন।
তাতে এ বাঁহাতি রাজি না হওয়াতে মিডলঅর্ডারে ব্যাটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতেই রেগেমেগে বিশ^কাপ স্কোয়াডে নিজেকে না রাখার কথা জানিয়ে দেন তামিম। সেজন্য এখন তিনি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই। কিন্তু এ বিষয়ে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা দাবি করেছেন, অবশ্যই বিষয়টি বিসিবির কোনো ব্যক্তি বলাটা অনুচিত। কারণ ম্যাচের পরিকল্পনা কিংবা কে কোন পজিশনে ব্যাট করবে সেটি শুধু অধিনায়ক কিংবা কোচই বলতে পারেন। মাশরাফি এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, যদি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বিষয়টি নিজে তামিমের সঙ্গে আলোচনা করতেন সেক্ষেত্রে বিষয়টি এতদূর পর্যন্ত যেত না।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কিছুদিন হলো নানা বিষয়ে অস্থিরতা। তামিম ইস্যুতে বারবার জল ঘোলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দিয়েই বিশ^কাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। এরপর তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। অধিনায়ক সাকিব ও কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে চাননি বলেই তামিমের জায়গা হয়নি বিশ^কাপ দলে এমন অভিযোগও উঠেছে। তবে সাকিব এক সাক্ষাৎকারে বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরোটাই তামিমের দোষ। আর তামিম কোচ কিংবা সাকিবকে দোষ না দিলেও বিসিবির শীর্ষ এক ব্যক্তির প্রতি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘আমার যদি ক্রিকেট জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকে, এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডের কেউ বলার বিষয় না। এটা বলবে একমাত্র কোচ বা অধিনায়ক বা নির্বাচকরা যিনি যাবেন দলের সঙ্গে। মূল কথা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট বলবে।
ভারতে গিয়েও বসে বলতে পারত ম্যাচের একদিন আগে, দুদিন আগে। যেটা আদর্শ পরিস্থিতি হয়, উইকেট বিশ্লেষণ করার পর প্রতিপক্ষ তাদের বোলার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। কেন এটা এত আগে বলা হলো।’ এক্ষেত্রে সাকিবের কথার সূত্র ধরে মাশরাফি বলেছেন, ‘সাকিব আরও একটি কথা বলেছে, দলের স্বার্থে যে কাউকে যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে হতে পারে। আমিও একমত। যে কাউকে যে কোনো পজিশনে ব্যাটিং করতে দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে, সাকিব যেহেতু নেতৃত্ব নিয়েছেই। সাকিবই পারত তামিমকে একটা মেসেজ দিতে বা এক মিনিট ফোনে কথা বলতে যে আমার এই পরিকল্পনা আছে, এটা আমি তোর সঙ্গে পরে আলোচনা করব। পুরো জিনিসটা এখানে চাপা পড়ে যেত। সাকিব যেহেতু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হয়ে গেছে, তাই প্রথম ম্যাচে তামিমের খেলা না খেলা নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে সেগুলো সাকিব ব্যক্তিগতভাবে তামিমের সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিল।’