ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

মেসি-নেইমার-এমবাপেকে ছাড়াই স্বপ্ন পূরণের পথে...

শাকিল আহমেদ মিরাজ

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ৯ মে ২০২৫

মেসি-নেইমার-এমবাপেকে ছাড়াই স্বপ্ন পূরণের পথে...

পিএসজি ২০১৯-২০

পিএসজি ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলেছিল, এর পরের বছর সেমিফাইনালে। দুই মৌসুমেই বড় তারকাদের মধ্যে নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা ছিলেন। এরপর মেসি, তার পথ ধরে সার্জিও রামোস পিএসজিতে যোগ দেন। তারকার ছড়াছড়িতে পিএসজির সর্বোচ্চ অর্জন রাউন্ড অব সিক্সটিন।

মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পেরা পিএসজি ছাড়লে গত মৌসুমে দলটি সেমিফাইনালে খেলে, এবার ফাইনালে উঠল মেসি-এমবাপ্পের মানের কাউকে ছাড়াই। আর্সেনালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-১ ব্যবধানে জিতে, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলে এগিয়ে। গত সপ্তাহে তারা আর্সেনালের মাঠে জিতেছিল ১-০ গোলে। সেই অর্থে বিশ্ব ফুটবলের বড় কোনো সুপারস্টারকে ছাড়াই পিএসজি এবার দুর্দান্ত এগিয়ে চলেছে। যেখানে তারুণ্য নির্ভর দলটির নেপথ্যের সঞ্চালক হিসেবে কাজ করছেন কোচ লুইস এনরিকে। 
ফ্রান্সের শীর্ষ লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান ও পিএসজির একতরফা দাপটের কারণে মূলত এটিকে ‘ফারমার্স’ লিগ বলে মজা বা ট্রল করেন অনেকে। ফ্রান্সে এটিকে অপমানসূচক হিসেবে দেখেন অনেকে। ধনকুবের নাসের আল খেলাইফি ক্লাবের বেশিরভাগ অংশের মালিকানা কেনার পর একের পর এক তারকার সমাবেশে অন্য ক্লাবগুলোর চেয়ে অনেক ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি।

২০১১-১২ মৌসুম পর্যন্ত লিগে মাত্র দুটি শিরোপা ছিল তাদের। সেখানে ২০১২-১৩ থেকে চলতি মৌসুম পর্যন্ত তারা জিতেছে ১১টি লিগ শিরোপা। শুধু ২০১৬-১৮ ও ২০২০-২১ মৌসুমেই জিততে পারেনি। এবারও তারা শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে বেশ আগেই, অন্যদের বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে। তবে সেই সাফল্য ইউরোপে সেভাবে অনূদিত হয়নি এখন পর্যন্ত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্রেফ একবারই ফাইনাল খেলেছে তারা, সেটি ২০২০ সালে। এবার সুযোগ আক্ষেপ ঘোচানোর।

‘ফারমার্স লিগ, তাই না? আমরা ফারমার্স লিগ...,’ বলছিলেন এনরিকে। পর মুহূর্তে নিজেকে সামলে নেন,‘এটা দারুণ... এই সাফল্য আমরা উপভোগ করছি, সবাই আমাদের প্রশংসা করছে, আমাদের মানসিকতা, আমরা যেভাবে খেলি, সেসব নিয়ে কথা বলছে, এগুলো দারুণ ব্যাপার।’ অধরা শিরোপার স্বপ্ন পূরণে ৩১ মে মিউনিখে ইন্টার মিলানের সঙ্গে লড়বে পিএসজি।
ইটালিয়ান দলটির বিপক্ষে পিএসজির কঠিন পরীক্ষা হবে, মানছেন এনরিকে,‘ইন্টার আমাদের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ। ওদের ফুটবলাররা আমাদের চেয়ে বেশি বয়সী ও পরিণত। তবে আমাদের আছে তাড়না, ট্রফি জিততে চাই আমরা এবং ফাইনালেও সে মানসিকতা থাকবে। ফাইনাল বেশ ইন্টারেস্টিং হবে, দুই দলের জন্যই কঠিন পরীক্ষা। আমাদের জন্য স্পেশাল উপলক্ষ, তাদের জন্যও।

তিন বছরের মধ্যে তাদের দ্বিতীয় ফাইনাল এটি, কাজেই তারা দুর্দান্ত দল। তবে আমাদের সামনে সময় আছে পরিকল্পনার।’ কোচের মতোই রোমাঞ্চ নিয়ে ফাইনালে তাকিয়ে পিএসজির অধিনায়ক মার্কিনিয়োস,‘এই অনুভূতি দারুণ। পথটা ছিল কঠিন ও মন্থর, খুব কঠিন কিছু ম্যাচ পেরিয়ে আসতে হয়েছে আমাদের। এখন আমরা ফাইনালে উঠেছি, এটা কাজে লাগাতে হবে। সম্ভাব্য সেরা উপায়ে ফাইনালের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ফাইনালের পথ তৈরি করেছি আমরা, তবে কাজ শেষ হয়নি এখনও।’

×