ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

চীন গেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল

প্রতিশ্রুতি না থাকলেও ভালো খেলার আশা সাবিনাদের

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩; আপডেট: ০০:১৫, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতিশ্রুতি না থাকলেও ভালো খেলার আশা সাবিনাদের

সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও হেড কোচ সাইফুল বারী টিটু

গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান গেমসের (চীনের হ্যাংঝুতে অনুষ্ঠিতব্য) ফুটবলের ড্র। এই ড্রয়ে কঠিন গ্রুপে পড়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই আসরে বাংলাদেশ নারী দল এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছে। ডি-গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ জাপান, ভিয়েতনাম ও নেপাল। এশিয়ান গেমসের ফুটবলে পুরুষ ইভেন্টে অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেললেও (তবে তিনজন এর চেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার খেলতে পারেন) নারী ইভেন্টে পূর্ণাঙ্গ সিনিয়র দলই অংশ নিতে পারে।

এশিয়াডে অংশ নিতে সোমবার মাঝরাতে বিমানযোগে ঢাকা ছাড়ে নারী ফুটবল দল। ফিফা নারী বিশ্বকাপ খেলা জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে জেতা বলতে গেলে একেবারেই অসম্ভব। আর সেটা ভালোমতেই জানেন বলে বিদায়ের প্রাক্কালে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। শুধু বলেছেন এই দুই ম্যাচ খেলে নিজেদের অবস্থানটা আসলে কোথায়, সেটাই বুঝতে চান তিনি! 
আগেরদিন (রবিবার) সংবাদ সম্মেলনে এসে সাবিনা আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এই বলে, ‘আমাদের ঘরোয়া ফুটবলে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খুবই কম হয়। তাতে ভালো করার স্পৃহা খুব কম থাকে। আর এখানে (এশিয়াডে) যখন খেলতে নামবে তখন মেয়েরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবে। উঁচু পর্যায়ের ফুটবল দেখে আসার পর মেয়েদের আরও ভালো করার প্রচেষ্টা বেড়ে যাবে।’ নারীদের ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮ নম্বরে জাপান, ৩৪ নম্বরে আছে ভিয়েতনাম, ১০১ নম্বরে নেপাল। 
বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং ১৪২। ২২ সেপ্টেম্বর শক্তিশালী জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করবে লাল-সবুজ বাঘিনীরা। কোনো সন্দেহ নেই, এটা হতে যাচ্ছে অসম লড়াই। তারপরও জাপানের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছে বাংলাদেশ দল। কোচ সাইফুল বারী টিটু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নারী ফুটবলে সিনিয়র দলই খেলে। তাই বিশ্বকাপ খেলা দলটিই অংশগ্রহণ করার কথা গেমসে। তারা বল হারালে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই কেড়ে নিতে চাইবে। আমরা এটা ভেবেই অনুশীলন করেছি।’ ভিয়েতনামের বিপক্ষে জয় কুড়িয়ে নেওয়াটা দুষ্কর। তাই বাংলাদেশের আশা নেপালের বিরুদ্ধে জেতা।

এ প্রসঙ্গে টিটুর ভাষ্য, ‘আমরা অন্তত নেপালকে হারাতে চাই। জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলার পর নেপালের সঙ্গে খেলব। তাই একটা ভালো অভিজ্ঞতা থাকবে। নেপালের বিপক্ষে জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে। ওদের বিরুদ্ধে আমরা একটি ম্যাচ জিতেছি গত সাফের ফাইনালে। ঢাকায় এসে নেপাল দুই ম্যাচ ড্র করেছে। আমরা জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলব এক ধরনের মানসিকতা নিয়ে, নেপালের বিপক্ষে থাকবে তার উল্টো। 
এক কথায় আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই আমাদের নেপালের বিপক্ষে খেলতে হবে।’ আর সাবিনা বলেন, ‘আমরা অবশ্যই একটা ভালো পারফর্ম্যান্স করতে চাই। যাতে সামনের গেমসেও খেলার সুযোগ পাই।’ উল্লেখ্য, গত বছর এই নেপালকেই তাদের মাটিতে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তখন দলের কোচ ছিলেন কিংবদন্তি গোলাম রব্বানী ছোটন। 
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ॥ রুপনা চাকমা, সাথী বিশ্বাস, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা, শিউলি আজিম, আনাই মগিনী, শামসুন্নাহার (সিনিয়র), মাসুরা পারভীন, আফিদা খন্দকার, সুরমা জান্নাত, ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), স্বপ্না রানী, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, মারজিয়া আক্তার, সানজিদা আক্তার, কৃষ্ণা রানী সরকার, তহুরা খাতুন, সাবিনা খাতুন, শাহিদা আক্তার রিপা এবং মাতসুশিমা সুমাইয়া।

×