ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খেলতে না পারার আক্ষেপ নেইমারের

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:২৮, ২৭ নভেম্বর ২০২২

খেলতে না পারার আক্ষেপ নেইমারের

আক্ষেপ নেইমারের

২০১৪ বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মিশন শুরু করে ব্রাজিল। সেবার এককভাবে নেইমারের ওপর নির্ভরশীল সেলেসাওরা ঘরের মাঠে ‘হেক্সা’ শিরোপা জয়ের স্বপ্নে ছিল বিভোর। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে ভয়ানক ফাউলের শিকার হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যান নেইমার। এবারো ব্রাজিলের এই সুপার স্টার ডান পায়ের গোঁড়ালির ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন অন্তত ১ ম্যাচের জন্য।

গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের ২ ম্যাচ বাকি আছে সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের বিপক্ষে। সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৯ বার ফাউলের শিকার হয়ে গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়েন তিনি। এরপর এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায় গোঁড়ালির লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সোমবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না তিনি। বিষয়টি ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রড্রিগো ল্যাসমার নিশ্চিত করেছেন। ক্যামেরুনের বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচেও নেইমারের খেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।

আবারো বিশ্বকাপে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন এই তারকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে দ্রুত ফিরে এসে দেশকে ভালো কিছু উপহার দেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি। নেইমারের জন্য চরম দুঃখের বিশ্বকাপ ২০১৪। কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার ক্যামিলো জুনিগা তাকে মারাত্মকভাবে ফাউল করেন এবং স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে। সেমিফাইনালে নেইমারবিহীন বিপর্যস্ত ব্রাজিল বিদায় নেয়। গত বিশ্বকাপেও নেইমারকে ৫ ম্যাচে ২৬ বার ফাউল করা হয়।

এবার সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ৯ বার ফাউল করা হয় নেইমারকে। ৮০ মিনিটে ফোলা গোঁড়ালি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। বরফের স্ট্র্যাপ পেঁচিয়ে রাখেন এবং ম্যাচ শেষে দলের সঙ্গে মাঠ ছাড়েন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। কোচ তিতে জানিয়েছিলেন, নেইমার অবশ্যই খেলবেন সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। অতটা নিশ্চয়তা দিতে পারেননি চিকিৎসক ল্যাসমার। তিনি জানান, গোঁড়ালিতে মোচড় খেয়েছেন নেইমার এবং কিছুটা ফোলা আছে।

এমআরআই করানোর পরই শুক্রবার রাতেই জানা গেছে ডান গোঁড়ালির লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেইমারের। একই সমস্যায় ডিফেন্ডার দানিলোও খেলতে পারবেন না। ল্যাসমার বলেন, ‘আমরা এ দুজন খেলোয়াড়কে পরের ম্যাচে পাচ্ছি না। তাদের চিকিৎসা চলমান থাকবে যাতে পরবর্তী প্রতিযোগিতার আগে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।’
পরের ম্যাচে সুইসদের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হলেই নেইমারকে খেলানোর ঝুঁকি নেবে না ব্রাজিল। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকায় ডান গোঁড়ালির লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় খেলা হয়নি তার। গত বছরও প্রায় ১০ সপ্তাহ বাম গোঁড়ালির লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাঠের বাইরে ছিলেন। কোচ তিতে ব্রাজিলের দলটিকে এমনভাবে গুছিয়েছেন যেখানে নেইমার নির্ভরতার বালাই নেই। দলের সমস্যা না হলেও মন পুড়ছে নেইমারের।

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে দীর্ঘ লেখায় তিনি বলেছেন, ‘আমার জীবনে কিছুই সহজ নয় এবং কিছুই আমাকে দেওয়া হয়নি। সবসময় আমাকে স্বপ্ন ও লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করতে হয়েছে। কিন্তু কারও কখনো খারাপ চাইনি, কিন্ত প্রয়োজনে সহায়তা করেছি। আজ আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত এবং আবারো বিশ্বকাপে।

×