ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিক অপরাজিত ১৭৫, বাংলাদেশ অলআউট ৩৬৫

প্রকাশিত: ১৪:০০, ২৪ মে ২০২২

মুশফিক অপরাজিত ১৭৫, বাংলাদেশ অলআউট ৩৬৫

অনলাইন ডেস্ক ॥ শেষ রক্ষা হলোনা। এবাদত রান আউট হয়ে গেলেন দলের ৩৬৫ রানের মাথায়। শেষ উইকেট জুটিতে ১৬ রান যোগ করে মুশফিক ও এবাদত । এবাদত কোন রান করেননি। তার দায়িত্ব ছিলো মুশফিককে সঙ্গ দেওয়া। এবাদত করছিলেন সেটাই। ১০৭.১ ওভার থেকে এই শেষ জুট খেলা শুরু করে। থেমে যায় ১১৬.২ ওভারে। এবাদত খেলেছেন ২০ বল। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন । রান আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের প্র্রথম ইনিংস থেমে যায় ৩৬৫ রানে। লাঞ্চ বিরতির সময় বাংলাদে ১১৩ ওভার খেলে করে ৩৬১ রান। মুশফিক ৩৫৫ বল খেলে অপরাজিত আছেন ১৭৫ রানে। চার মেরেছেন ২১ টি। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত ১৭১ রান নিয়ে অপরাজিত চিলেন মুশফিক। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রান করে বাংলাদেশ। তখন মধ্যাহ্ন বিরতির জন্য নির্ধারিত সময়ের ২ ওভার বাকি। তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিকুর রহিম। লাঞ্চের আগে দলকে বিপদে পড়তে দিতে চাননি অভিজ্ঞ মুশফিক। এজন্য অসিথা ফার্নান্দোর করা ইনিংসের ১০৬তম ওভারে তাইজুলকে স্ট্রাইক দিতেও চাননি তিনি। তবে দৌড়ে ২ রান নিতে গিয়ে সফল না হওয়ায় বাধ্য হয়ে সিঙ্গেল নিতে হয়। মুশফিকের অভিব্যক্তিতে হতাশার ছাপ। সে ওভারে তার ২ বল পরেই আউট তাইজুল। পরে অবশ্য আরও আধঘণ্টা বাড়ানো হয়। মহাকাব্যিক এক জুটিতে বাংলাদেশ দলকে খাদের কিনার থেকে টেনে তোলেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। তাদের রেকর্ড জুটিতে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের নামে লেখে টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ছন্দপতন স্বাগতিকদের। লিটনের ফেরার পর প্রত্যাবর্তন রাঙাতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাইজুল আর খালেদ আহমেদও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে অবিচল মুশফিক। ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরে মুশফিক-লিটন জুটি। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে দুইজন নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন দিনের বাকি ৭৮ ওভার ১ বল। দলকে বিপদমুক্ত করার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান তারা। প্রথম দিনে তাদের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ থেকে আসে ২৫৩ রান। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনে তাদের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। শুরুটাও নেহায়েত মন্দ হয়নি। তবে ছন্দটা ধরে রাখতে পারলেন না লিটন। টেস্টে প্রথমবারের মতো দেড়শ রানের মাইলফলক ছোঁয়ার দিকে ছুটতে গিয়ে আউট হন ব্যক্তিগত ১৪১ রানে। কাসুন রাজিথার হালকা ভেতরে ঢোকা বল লিটনের ব্যাটের বাইরের কানা নিয়ে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। নিচু ক্যাচ দারুণ দক্ষতায় মুঠোয় জমান হাসপাতাল থেকে ফেরা কুশল মেন্ডিস। আর তাতে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ২৭২ রানের জুটি। ২৪৬ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি। এখন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন এবাদত। তাতে ৩০ মিনিট বাড়তি খেলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। এর মধ্যে অবশ্য একবার আউট হয়েছিলেন এবাদত। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দলকে এ যাত্রায় অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান তিনি। প্রথম সেশন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রান নিয়ে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ দল। চট্রগ্রামের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের মুশফিক সেঞ্চুরি করেছিলেন।
×