
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান স্মার্টফোন বাজারে ক্রমেই বাড়ছে নকল ফোনের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর হুবহু নকল তৈরি করে তা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে। এতে ঠকছেন ক্রেতা, আর ঝুঁকির মুখে পড়ছেন ব্যক্তিগত তথ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। তাই ফোন কেনার আগে কিছু সহজ কৌশল জেনে রাখলে নকল ফোন থেকে নিজেকে সহজেই রক্ষা করা সম্ভব।
১. IMEI নম্বর মিলিয়ে নিন
প্রতিটি ফোনের একটি ইউনিক আইএমইআই নম্বর থাকে। ফোনের *#06# ডায়াল করলেই আইএমইআই নম্বর দেখা যাবে। তারপর সেটি মিলিয়ে নিন ফোনের প্যাকেট ও বডির সাথে। এছাড়াও imei.info-তে গিয়ে নম্বরটি দিয়ে ফোনটি আসল কি না যাচাই করা যায়।
২. ফোনের পারফরম্যান্স খেয়াল করুন
নকল ফোনে সাধারণত ল্যাগ বা ধীর গতি লক্ষ্য করা যায়। টাচ সিস্টেমে বিলম্ব, অ্যাপ চালু করতে সময় লাগা কিংবা ক্যামেরা ফিচারে গড়বড় থাকলে সাবধান হোন।
৩. সফটওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম
নকল ফোনে সাধারণত অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টম বা পুরোনো ভার্সন থাকে। সেটিংসে গিয়ে “About Phone” বা “Device Info”-তে গিয়ে ব্র্যান্ড, মডেল ও সফটওয়্যার ভার্সন দেখে নিন।
৪. বিল ও ওয়ারেন্টি যাচাই
আসল ফোনে মানসম্পন্ন রিসিট, ওয়ারেন্টি কার্ড এবং অরিজিনাল এক্সেসরিজ থাকবে। বিক্রেতার দেওয়া কাগজপত্র যাচাই করে নিশ্চিত হোন।
৫. দাম সন্দেহজনকভাবে কম হলে সতর্ক হোন
মূল ব্র্যান্ডের ফোনের দাম বাজারদরের তুলনায় অনেক কম হলে বুঝতে হবে কিছু একটা সমস্যা আছে। অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট বা অফারে ভুলেও না পড়া ভালো।
৬. ফিজিক্যাল ডিজাইন ও লোগো মিলিয়ে দেখুন
নকল ফোনে ব্র্যান্ড লোগো অনেক সময় হালকা বা একটু ভিন্নরকম হয়। ফোনের বডি, স্ক্রিনের রেজুলেশন, ফিনিশিং এবং ক্যামেরা লেন্সের গঠন দেখে নেওয়া জরুরি।
বিশেষ পরামর্শ
ফোন কেনার সময় অবশ্যই অনুমোদিত ও বিশ্বস্ত শোরুম বা ডিলার থেকে ক্রয় করুন। নকল ফোনে শুধু অর্থ নয়, আপনার ব্যক্তিগত তথ্যও হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সতর্ক থাকুন, সচেতন হোন – প্রযুক্তিতে নিরাপদ থাকুন।
ইমরান