
ছবিঃ সংগৃহীত
গোপন সামরিক অভিযান ও যুদ্ধক্ষেত্রে নজরদারির জন্য মশার মতো ক্ষুদ্র আকৃতির ড্রোন তৈরি করেছে চীন। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে শুক্রবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
চীনের হুনান প্রদেশে অবস্থিত ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ডিফেন্স টেকনোলজির (NUDT) গবেষকরা এই ক্ষুদ্র ড্রোনটি তৈরি করেছেন। গত সপ্তাহান্তে চীন সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (CCTV-7) সামরিক চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনে ড্রোনটি প্রকাশ্যে আনা হয়, জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
ড্রোনটির ধারণক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিয়াং হেশিয়াং বলেন, “এই ড্রোনটি দেখতে অনেকটা মশার মতো। এ ধরনের ক্ষুদ্র বায়োনিক রোবট তথ্য গোয়েন্দাগিরি ও যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষ মিশনের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।”
ড্রোনটির আকৃতি অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এটি একটি লাঠির মতো দেহবিশিষ্ট, যার দুই পাশে পাতার মতো দেখতে দুটি ছোট ডানা রয়েছে এবং নিচে রয়েছে তিনটি চুলের মতো পাতলা ও সূক্ষ্ম পা।
এদিকে, চীন পৃথকভাবে এমন ড্রোনও পরীক্ষা করেছে যা কামানের গোলার ভিতরে সংরক্ষণ করে উৎক্ষেপণ করা যায়। এই ড্রোনগুলো তাদের নিজের ওজনের চেয়ে প্রায় ৩,০০০ গুণ বেশি চাপ সহ্য করতে সক্ষম, এমনকি ১৫৫ মিমি (প্রায় ৬ ইঞ্চি) কামানের গোলার ভিতরে থেকে উৎক্ষেপণের সময়ও এগুলো কার্যক্ষম থাকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ড্রোনের ব্যবহার সামরিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে বিপ্লব ঘটাতে পারে। গোপন অভিযানে যেমন শত্রুর নজর এড়িয়ে কাজ করা জরুরি, তেমনি উচ্চমাত্রার চাপ ও পরিবেশগত প্রতিকূলতা সহ্য করে দীর্ঘ সময় কাজ করার মতো প্রযুক্তি এদের বহুমাত্রিক করে তুলেছে।
চীনের এই নতুন ড্রোন প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। কারণ, মশার মতো ক্ষুদ্র আকারের এই ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুপক্ষকে না জানিয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ বা নজরদারি কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়ে উঠবে, যা ভবিষ্যতের যুদ্ধনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
সূত্রঃ আনাদলু
ইমরান