ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি সঙ্গীত

এমএ জাহিদ

প্রকাশিত: ২৩:২১, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি সঙ্গীত

.

ইদানীং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ইংরেজিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়ে টেকনোলজি বিশ্বে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আজকের পর্বে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংগীত ভুবনে কিভাবে অবদান রাখছে সেটা জানার চেষ্টা করব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে গান তৈরির জন্য ‘লিরিয়া’ এবং পরীক্ষামূলক এআই মডেল আনার ঘোষণা দিয়েছে গুগলের ডিপমাইন্ড। এ জন্য ইউটিউবের সঙ্গে অংশীদারত্বে কাজও করছে প্রতিষ্ঠানটি। লিরিয়া মডেল দিয়ে একই সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র, কণ্ঠসহ উ”চমানের সংগীত তৈরি করা যাবে।

গুগল ডিপমাইন্ডের এক ব্লগে বলা হয়েছে, সৃজনশীল ভাব প্রকাশের জন্য সংগীত হলো জনপ্রিয় একটি ধারা। এ সংগীত হতে পারে জ্যাজ থেকে মেটাল বা টেকনো থেকে অপেরা। এখন পর্যন্ত এআই ব্যবহার করে গানের কথা, সুর, ছন্দ ও কণ্ঠের মিশেলে সংগীত তৈরি অনেক চ্যালেঞ্জিং। আর ডিপমাইন্ডের নতুন সুবিধা সম্পর্কে  প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেমিস হাসাবিস তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, শুধু একটি লিখিত প্রম্পট থেকে লিরিয়া কণ্ঠসহ আকর্ষণীয় সংগীত তৈরি করতে পারবে। একই সঙ্গে শিল্পীদের জন্য নতুন মিউজিক এআই টুলস চালু করা হচ্ছে এবং সৃজনশীল চর্চা বাড়াতে ইউটিউবের সঙ্গে ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে একত্রে কাজ করা হচ্ছে। লিরিয়ার সঙ্গে ড্রিম ট্র্যাক এবং পরীক্ষামূলক কিছু এআই মিউজিক টুল নিয়ে কাজ করছে ডিপমাইন্ড। ড্রিম ট্র্যাক নামের টুলটির মাধ্যমে ইউটিউব শর্টসের জন্য মিউজিক তৈরি করা যাবে। যার ফলে নির্মাতা, শিল্পী ও ফ্যানরা যুক্ত হতে পারবেন। এ ছাড়া শিল্পী, গীতিকার ও প্রযোজকদের সমন্বয়ে কিছু এআই টুলস তৈরি করা হচ্ছে।

গুগলের ডিপমাইন্ড বলছে, নির্দিষ্ট কিছু নির্মাতা ড্রিম ট্র্যাকের সুবিধা ব্যবহার করে লিরিয়ার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কিছু শিল্পীর কণ্ঠ ও সুরভঙ্গি ব্যবহার করে মৌলিক গান তৈরি করতে পারবেন। এ জন্য নির্মাতারা অ্যালেক বেঞ্জামিন, চার্লি পুথ, চার্লি এক্সসিএক্স, ডেমি লোভাটো, জন লিজেন্ড, সিয়া, টি পেইন, ট্রয়ে সিভান এবং পাপুজের মতো শিল্পীর কণ্ঠ ব্যবহার করতে পারবেন। একটি ক্যারোসেল থেকে কাক্সিক্ষত শিল্পীর নাম নির্বাচন করে ইউটিউব শর্ট ভিডিও তৈরির জন্য ৩০ সেকেন্ডের গান তৈরি করতে পারবেন নির্মাতারা। ড্রিম ট্র্যাক দিয়ে গানের কথাও লিখে নেওয়া যাবে। এসব গান যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা শনাক্তে ওয়াটারমার্কও দেবে গুগল। এর ফলে শ্রোতারা সহজে বুঝতে পারবেন, গানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি হয়েছে নাকি শিল্পীর প্রকৃত কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে। এই কাজে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। জার্মান ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জ্যামাহক jamahook.com (বিশ্বের একমাত্র এআই সাউন্ড ম্যাচিং প্রতিষ্ঠান) এর  কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান elobyte.com, এবং এদেশিও সফটওয়ার প্রকৌশলীরাই সুনামের সাথে এসকল এআই সফটওয়ার নির্মাণ করছেন।   তাই বলা যেতে পারে এআই প্রযুক্তিতে বাংলাদেশও নেই পিছিয়ে।

×