
ছবি: সংগৃহীত।
নারী-পুরুষের মাঝে পারস্পরিক আকর্ষণ এক স্বাভাবিক বিষয়। ইসলাম এই আকর্ষণকে বৈধ রূপ দিয়েছে বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু সব নারীকেই যে বিয়ে করা যাবে না, সে বিষয়ে কুরআন ও হাদিসে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, "তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মায়েরা, তোমাদের কন্যাসন্তান, তোমাদের বোনেরা, তোমাদের পিতার বোন, তোমাদের মাতার বোন, তোমাদের ভাইয়ের কন্যা, তোমাদের বোনের কন্যা, তোমাদের দুধমাতা..." (সুরা নিসা, আয়াত ২৩)
নিচে ইসলামে যেসব নারীদের বিয়ে চিরতরে নিষিদ্ধ, তা তুলে ধরা হলো:
১. নিজের মা ও দাদিমা (নানিসহ তাদের ঊর্ধ্বতন নারী পূর্বসূরি)
২. নিজের কন্যা, নাতনি, ফলনিসহ সব বংশধর কন্যাসন্তান
৩. সহোদর বা সৎ বোন (বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয়)
৪. বাবার বোন (ফুপু) এবং মাতার বোন (খালা)
৫. ভাতিজি ও ভাগ্নি এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কন্যাসন্তান
৬. স্ত্রীর মা (শাশুড়ি), দাদিশাশুড়ি, এবং স্ত্রীকে ভোগের পর তার মেয়ে (পূর্ব স্বামীর সন্তান হলেও)
৭. ছেলের স্ত্রী (বউমা)
৮. নিজের স্ত্রীর দুধ পানকারী শিশু মেয়ে ও তার বংশধর
৯. দুধ মা, দুধ বোন, দুধ ভাইয়ের মেয়ে এবং দুধ সম্পর্কের নারীরা
১০. যে নারী অন্যের বৈধ স্ত্রী
সংক্ষিপ্তভাবে, তিন ধরনের নারীর সঙ্গে বিয়ে করা হারাম:
- রক্ত সম্পর্কীয় (নসবি)
- দুধ সম্পর্কীয় (রাযায়ী)
- বিবাহ ও যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে তৈরি হওয়া সম্পর্কীয় (সাহরী)
এই নিষেধাজ্ঞা ইসলামের পারিবারিক ও নৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা, যা সমাজে বিশৃঙ্খলা, জেনা এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধ করে।
নুসরাত