
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেকেই জানেন না কোথায় "আউজুবিল্লাহ" পড়তে হবে আর কোথায় "বিসমিল্লাহ" পড়তে হবে। এ বিষয়ে ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কোনো ভালো ও বৈধ কাজের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" পাঠ করা উচিত। বিশেষ কিছু আমলের ক্ষেত্রে হাদিসে বিসমিল্লাহ পাঠের নির্দেশও রয়েছে। যেমন:
✅ খাবার শুরুর আগে
✅ মসজিদে প্রবেশের সময়
✅ বাড়িতে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়
কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ
কোরআন তেলাওয়াত শুরুর ক্ষেত্রে অনেকের ধারণা ভুল। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, তেলাওয়াত শুরু করার সময় "আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম" পড়া বাধ্যতামূলক। কুরআনে সূরা নাহলের ৯৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন:
❝সুতরাং যখন তুমি কোরআন পাঠ করবে, তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো।❞ (সূরা নাহল: ৯৮)
🔹 নামাজের ভিতরে:
- তাকবিরের পর সানা পড়তে হবে
- এরপর "আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম"
- তারপর "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" পড়ে সূরা ফাতিহা শুরু করতে হবে
🔹 কোরআন তেলাওয়াতের সময়:
- যদি কোনো সূরার শুরু থেকে পড়েন, তাহলে "আউজুবিল্লাহ" ও "বিসমিল্লাহ" দুটোই পড়তে হবে
- যদি সূরার মাঝখান থেকে পড়েন, তাহলে শুধু "আউজুবিল্লাহ" পড়লেই হবে
দোয়া ও জিকিরের ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহ ও আউজুবিল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সকাল-সন্ধ্যার দোয়া, বিভিন্ন সময়ের জিকির বা আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় আলাদা করে "বিসমিল্লাহ" বা "আউজুবিল্লাহ" পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এই দোয়াগুলো আল্লাহর নামেই শুরু হয়। তবে যে কোনো বৈধ ও ভালো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা উচিত।
কেন বিসমিল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ?
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"যে কোনো কাজ যদি বিসমিল্লাহ ছাড়া শুরু করা হয়, তবে তাতে বরকত থাকে না।" (আবু দাউদ, ইবন মাজাহ)
তাই প্রতিটি বৈধ ও ভালো কাজের শুরুতে "বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম" বলা উচিত, যাতে বরকত ও কল্যাণ থাকে।
🔹 সংক্ষেপে:
✔ ভালো কাজের শুরুতে → বিসমিল্লাহ
✔ কোরআন তেলাওয়াতের আগে → আউজুবিল্লাহ
✔ সূরার শুরুতে → বিসমিল্লাহ
✔ সূরা তাওবা ব্যতীত সব সূরার শুরুতে → বিসমিল্লাহ
✔ সূরার মাঝখান থেকে পড়লে → শুধু আউজুবিল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহর এই ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট হয়, কোথায় আউজুবিল্লাহ ও কোথায় বিসমিল্লাহ পাঠ করা উচিত, তা জানা ও পালন করা জরুরি।
ইমরান