ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৮ আগস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই ঘোষণাপত্র যাদের দাবি ছিল, তারা বেড়াতে গিয়েছিল কক্সবাজার: মাসুদ কামাল

প্রকাশিত: ১০:২৪, ৮ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১০:৩১, ৮ আগস্ট ২০২৫

জুলাই ঘোষণাপত্র যাদের দাবি ছিল, তারা বেড়াতে গিয়েছিল কক্সবাজার: মাসুদ কামাল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, রাষ্ট্রীয় বৈধতা দেওয়া জরুরি। অন্যথায় ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্টদের আতঙ্কের মধ্যে জীবন কাটাতে হবে। এই কারণে ঘোষণাপত্রটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল এবং তা অনেক আগেই দেওয়া যেত। তাঁর মতে, এটি এক ধরনের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, যা মূলত গত জুলাইয়ের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে।

 

 

তিনি উল্লেখ করেন, আন্দোলনের পরপরই আগস্টে ঘোষণার দাবি ওঠে। এমনকি এনসিপি গঠনের আগেই ছাত্ররা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘোষণা না এলে নিজেরাই তা প্রকাশ করার আল্টিমেটাম দেয়। সরকার তখন ১৫ দিনের সময়সীমা দিলেও শেষ পর্যন্ত সাত মাস পর ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। মাসুদ কামালের ভাষায়, “যে কাজ ১৫ দিনে করা যায়, তা সাত মাসে করা সরকারের নন-সিরিয়াস মনোভাবের পরিচয়।”

তাঁর দাবি, ঘোষণাপত্র কোনও জটিল বিষয় ছিল না; রাজনৈতিক দলগুলো সামান্য শব্দ পরিবর্তন করে তা অনুমোদন দিয়েছিল। তবুও তিনি স্বীকার করেন, দেরি হলেও এটি একটি প্রয়োজনীয় কাজ এবং সরকারের অর্জন, কারণ এতে সব রাজনৈতিক দলকে এক প্ল্যাটফর্মে আনা হয়েছে।

 

 

 

তবে তিনি সমালোচনা করেন যে, অনুষ্ঠানে মূল দাবি উত্থাপনকারীদের কেউ কেউ কক্সবাজারে ভ্রমণে গিয়েছিলেন, যা তাঁর কাছে অনুচিত মনে হয়েছে। বিশেষ করে হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুপস্থিতি তাঁকে হতাশ করেছে।

সংবিধান প্রসঙ্গে মাসুদ কামাল বলেন, অতীতে শেখ হাসিনা সংবিধানের কিছু ধারা অপরিবর্তনীয় ঘোষণা করলেও বাস্তবে সেগুলো পরিবর্তিত বা উপেক্ষিত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি একজন প্রধান শিক্ষিকার চাকরিচ্যুতির ঘটনা উল্লেখ করেন, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকা সত্ত্বেও শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান মেনে গঠনের কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে ক্ষমতাসীনরা সংবিধানকে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

 

 

তিনি ১৯৭৫ সালের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনিরা প্রথমে ‘হিরো’ হিসেবে বিবেচিত হয়, পরবর্তী সরকারগুলোও তাদের বিচার এড়িয়ে যায়, কিন্তু জনসম্পৃক্ততার অভাবে তারা শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি। বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি ও জামায়াতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জনসমর্থন থাকলে কোনও দল বা সংগঠনকে পুরোপুরি ধ্বংস করা কঠিন। আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে বিএনপিকে নানা বিশেষণে আক্রমণ করলেও তা বিলুপ্ত করতে পারেনি, একইভাবে জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করা যায়নি।

 

ছামিয়া

আরো পড়ুন  

×