
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “কথা বলার সময় সাবধানে বলবেন। আপনি আমার মুরব্বি কি না, আপনি আমার থেকে শ্রদ্ধা বা সম্মান পাবেন কি না, তা নির্ধারণ করবে আপনার ভাষা।”
সারজিস আলম বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এক ধরনের রাজনৈতিক কালচারের শিকার হয়েছি। খুনি হাসিনা ও তার দোসররা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করেছে। কিন্তু এখন আমরা কিছু রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের মুখেও সেই একই ভাষা শুনতে পাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— যে ভাষায় আপনাদের ওপর জুলুম হয়েছে, এখন যদি আপনারাও সেই ভাষার চর্চা করেন, জনগণ আপনাদের ছুঁড়ে ফেলবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আর সেই পুরনো কালচার দেখতে চাই না। তরুণ প্রজন্ম এখন সচেতন। তারা আর সেই দম্ভ, ক্ষমতার অপব্যবহার, এবং অপমানের রাজনীতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশে একটা সম্মাননির্ভর, শ্রদ্ধাশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে।”
বর্তমান সরকার নিয়ে সারজিস আলম বলেন, “এখন যারা সরকারে আছেন, তারা সরাসরি কোনো দলের প্রতিনিধি নন। তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে, রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শক্রমে সেখানে গেছেন। নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে—এটা বলা ঠিক নয়। বরং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, উপযুক্ত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী জুনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। এই নির্বাচন যদি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু না হয়, তবে এটি অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি কলঙ্কে পরিণত হবে। আমরা তা চাই না।”
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান বিগত ১৬ বছর ধরে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা হয়েছে। কোনো বড় অফিসার, যত বড়ই হোক না কেন, যদি জনগণের সঙ্গে অন্যায় করে, ভয় দেখায় বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারও বিচার হতে হবে।”
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=BCdkuPzjXNY
মেহেদী