
ছবি:সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে ছাত্ররাজনীতিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ পরিচয়ের আড়ালে সক্রিয় কিছু গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, যারা এতদিন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ছায়ায় থেকে রাজনীতিতে টিকে ছিলেন, তারাই এখন ভিন্নমতের ছাত্রদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
তার দাবি, গত ১৫ বছরে অনেকেই ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় হলে দাপট দেখিয়েছেন। অথচ এখন তারা নিজেদের ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে অন্যদের ‘লীগের দোসর’ বলে আক্রমণ করছেন। উমামা বলেন, ৫ আগস্টের ঘটনার পর ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বে ‘সাধারণ ছাত্র’ পরিচয়ের আড়ালে এক শ্রেণির ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে টক্সিক পরিবেশ তৈরি করেছে। তাদের বারবারের চেষ্টায় প্রকৃত সাধারণ ছাত্রদের কথা বলার সুযোগ সংকুচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এসব গোষ্ঠীর কারণে ক্যাম্পাসে একটি নতুন, স্বাস্থ্যকর ছাত্ররাজনীতির ধারা গড়ে ওঠার সুযোগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
একটি উদাহরণ দিয়ে উমামা বলেন, “গত ৮ মার্চ আসিয়া ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সুফিয়া কামাল হল থেকে আমরা নারী শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করি। কিন্তু দীর্ঘসময় স্লোগান দিলেও হলপাড়া থেকে কোনো 'সাধারণ শিক্ষার্থী' বেরিয়ে আসেনি। অথচ অন্য সময় সামান্য বিষয়েই তারা মিছিল করেন। এটি তাদের দ্বৈত নীতির পরিচয় বহন করে।”
উমামা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব ‘পলিটিকাল বাটপারদের’ থেকে সাবধান থাকতে হবে। তার অভিযোগ, ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কখনও অবস্থান না নেওয়া এই গোষ্ঠী বরং ভিন্নমতের ছাত্রদের দমন-পীড়নকে ন্যায়সঙ্গত করেছে। এখন তারা নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে অন্যদের ওপর ভিত্তিহীন লেবেল সাঁটাচ্ছে।
তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে আমরা রাজু ভাস্কর্যে ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছিলাম। তখন যারা ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে আলাদা আন্দোলন করছিলেন, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যুক্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু সেই সময় তারা ভোটডাকাতির প্রসঙ্গে একটি কথাও বলেননি।”
উমামার মতে, একটি শ্রেণি রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য কখনো ট্রান্সজেন্ডার কোটা, কখনো সাধারণ ছাত্র পরিচয়কে ব্যবহার করছে। বর্তমানে তারা ‘জুলাই মাসের ঠিকাদারি ব্যবসায়’ও যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, “এই ঠিকাদারদের হাতে জুলাইও নিরাপদ নয়।”
আঁখি