
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক মো. সারজিস আলম বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আনতে হলে সৎ ও জনবান্ধব মানুষকে ভোট দিতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশে ‘মামলা ব্যবসা’ চলছে, যা বন্ধ হওয়া উচিত।
শনিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল পরিকল্পিতভাবে অন্য দলের নিরপরাধ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এই অপচর্চা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার কৌশল নয়, এটি এখন অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ নিরপরাধ হয়, তবে সে যেই দলেরই হোক না কেন, তার উপর অন্যায় করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা জুলুম করে, একদিন সেই জুলুম তাদের দিকেই ফিরে আসে—শেখ হাসিনার বাস্তব উদাহরণই তার প্রমাণ।”
নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “আজ যাদের কাছ থেকে আপনি রেহাই পাচ্ছেন, কাল তারা ঠিকই আপনার দরজায় এসে দাঁড়াবে। এখনই সময় অসৎ, লোভী, চাঁদাবাজ, সিন্ডিকেটধারী ও দখলদারদের পরিহারের।”
চাঁদাবাজদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাঁদাবাজি করে কেউ যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যদি দেখা যায়, কোনো চাঁদাবাজ শেখ হাসিনার থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, তবে মনে রাখতে হবে—যে শেখ হাসিনার পতন হতে পারে, সেই গোষ্ঠীরও পতন সম্ভব।”
তিনি জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের এখনই সঠিক অবস্থান নিতে হবে। প্রতিনিধি নির্বাচনের সময় দল বা প্রতীক নয়, মানুষ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যিনি আপনার কথা বলেন, এলাকার জন্য কাজ করেন, তিনি যদি ছোট দলে থাকেন বা বড় প্রতীক না পান— তবুও তাকেই বেছে নিতে হবে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার জন্য।”
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভালো নেতা পেতে হলে আগে ভালো ভোটার হতে হবে। বিবেক দিয়ে ভোট দিতে হবে। যদি কিছু টাকা বা সুবিধার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করেন, তবে নিজের এলাকার উন্নয়ন আশা করা বৃথা।”
ভিডিও দেখুন: https://www.facebook.com/share/v/1FDzoTCTvu/
এম.কে.