
ছবিঃ সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই যে জাতীয় পার্টি—কিছুদিন আগেও যার প্রধান জিএম কাদের একজন হত্যা মামলার আসামি—তিনি প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন যে তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মানেন না। স্বৈরাচারের দোসর এই জিএম কাদের কোন সাহসে বলেন যে তিনি এই সরকারকে মানেন না? এই গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এবং আগামী দিনে এই বাংলাদেশে যাতে আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি জন্ম নিতে না পারে, সেই জন্য যতগুলো রাজনৈতিক দল আছি আমরা, সবাই রাজপথে সোচ্চার ভূমিকা পালন করব।
জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বরাবর যে আবেদন করা হয়েছে তা নিচে প্রদান করা হল:
বরাবর
মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
বিষয়: আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ জোটভুক্ত গণহত্যাকারী ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল প্রসঙ্গে।
জনাব,
গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন। আপনি অবহিত আছেন, গত ১০ই মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে এবং জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইভাবে, তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য ১৪ দলও বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যাকে সমর্থন করে গণহত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
এছাড়াও, গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। তাদের অন্যতম সহযোগী এবং সেই শাসনের বৈধতা প্রদানকারী হিসেবে সক্রিয় ছিল জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য জোটভুক্ত দলসমূহ। বিগত তিনটি একতরফা জাতীয় নির্বাচন—২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে—আওয়ামী লীগকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে এই ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরপর তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
গুম, ক্রসফায়ার, আয়নাঘরে নির্যাতন, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিবেশী দেশের হাতে তুলে দেওয়া, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করাসহ বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের ওপর যেভাবে আওয়ামী দুঃশাসন চালানো হয়েছে—তার ভিত্তিকে শক্তিশালী করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের মৌলিক মানবাধিকার হরণের মাধ্যমে নিজেদেরকে একটি রাষ্ট্রদ্রোহী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ইমরান