ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

শীঘ্রই সক্রিয় হচ্ছেন রাজনীতিতে

হেঁটে বাসায় প্রবেশ খালেদা জিয়ার

শরীফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৬ মে ২০২৫

হেঁটে বাসায় প্রবেশ খালেদা জিয়ার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ

দলের নেতাকর্মীদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাকে স্বাগত জানাতে রাজপথে দলের নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতার ঢল নামে।

নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে তার গাড়ি বহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা পর্যন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘণ্টা। বেলা দেড়টায় তিনি  দুই পুত্রবধূকে নিয়ে  হেঁটে নিজ বাসা ফিরোজায় প্রবেশ করেন। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে শীঘ্রই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন বলে দলীয় সূত্র জানায়। 
বিমানবন্দরে অবতরণের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। এর পর বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের বাসায় আসার পথে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও ফুল হাতে নিয়ে বাদ্যের তালে তালে নেচে- গেয়ে নানান স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

এ সময় খালেদা জিয়াও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। নেতাকর্মীদের রাজপথের দুই পাশে অবস্থান করতে বলা হলেও তারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে রাস্তায় নেমে এসে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ির চারপাশে অবস্থান করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। 
দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়ি বিমান বন্দরের ৮ নং গেট দিয়ে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত, নিকুঞ্জ, কুড়িল, বনানী কাকলী ও গুলশান ২ নম্বর হয়ে ৭৯ নম্বর রোডের এক নম্বর বাড়ি ফিরোজায়  পৌঁছেন। পুরো রাস্তা জুড়ে ছিল জনতার বাঁধভাঙা ¯্রােত। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূ ছাড়াও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান ও দুই গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রূপা হক লন্ডন থেকে তার সঙ্গে আসেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার সময় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজকীয় বহরের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) দিয়েছিলেন। ওই বিশেষ বিমানে করে তিনি ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান। আবার সেই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুন্সেই লন্ডন থেকে তিনি দেশে ফিরেছেন।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হিথ্রো বিমান বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া। এর আগে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমান বাসা থেকে নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে মাকে হিথ্রো বিমানবন্দরে নিয়ে আসেন। পরে তিনিসহ লন্ডনে থাকা বিএনপি নেতাকর্মী ও স্বজনরা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান। যাত্রা পথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি করেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।  
দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল অতিমাত্রায় উচ্ছ্বাস। খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে অবতরণের অনেক আগেই বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তার আসার পথের দুই পাশের রাস্তায় গিয়ে জড়ো হন। 
খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে পূর্বনির্ধারিত রোডম্যাপ অনুসারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল, ছাত্রদল লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত, যুবদল খিলক্ষেত থেকে হোটেল রেডিসন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি হোটেল রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড়, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল, ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল বনানী শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার, মুক্তিযোদ্ধা দল, সকল পেশাজীবী সংগঠন বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ এবং মহিলা দল গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান এভিনিউ রোড পর্যন্ত অবস্থান করে।

এ ছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান এভিনিউ রোড এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা যার যার সুবিধামতো স্থানে অবস্থান করে। তবে কঠোর নিরাপত্তা বলয় উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার আশপাশে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা টিম- এসএসএফর সদস্যরাও সক্রিয় ছিল। 
বিমানবন্দর থেকে পথে পথে নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে বেলা দেড়টায় খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বেলা দেড়টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় পৌঁছে। হুইল চেয়ার নিয়ে চলাচল করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবাইকে অনেকটা বিস্মিত করে দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে নিয়ে হেঁটে বাসায় প্রবেশ করেন।

এর আগে ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছেই তিনি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন।  টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে অবস্থান করে ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। এর পর ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। বাসায় থেকেও অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
প্রায় ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দেয়। এর পর থেকে তিনি বাসায় থাকলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়াসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বেশ ক’বার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।

গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির  আদেশে খালেদা জিয়া স্থায়ীভাবে মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দৃ’টি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত। 
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসায় অবস্থান করলেও ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর পর বেশ কয়েকবার তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চলে গিয়েছিলেন। কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৃত্যুর গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। তবে এভারকেয়ার হাসপাতালে দেশী-বিদেশী চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পর তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে চার মাস অবস্থান করে তিনি মোটামোটি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরেছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া আগের চেয়ে ভালো আছেন। খালেদা জিয়ার এই সুস্থতার খবর বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত হন। এখন তারা চান, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হোন এবং দেশের হাল ধরুন। দলীয় সূত্র জানায় কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে শীঘ্রই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। তবে তিনি পুরোপুরি সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন।
খালেদা জিয়া দেশে ফেরায়  গণতন্ত্র উত্তরণ সহজ হবে- ফখরুল ॥  বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসায় গণতন্ত্র উত্তরণ সহজ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। 
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলে কারাবন্দিত্ব মুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণে সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।
পরে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় প্রবেশ করার পর সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সকাল থেকে কষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকলে তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, দলের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, সবাই যার যার বাড়ি চলে যান। ম্যাডামকে এখন বিশ্রাম নিতে হবে। এখানে কেউ স্লোগান দেবেন না, কেউ ভিড় করবেন না। 
১৭ বছর পর ডা. জোবাইদা রহমান ॥ দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফিরে এসেছেন বিএনপির  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। এই ১৭ বছর তিনি তার স্বামী ও একমাত্র সন্তান জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছিলেন।

তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের বাসায় উঠলেও পরে মাকে দেখতে রাজধানীর পান্থপথ এলাকার একটি হাসপাতালে যান। তার মা নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মরহুম মাহবুব আলী খানের স্ত্রী বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। পরে ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় যান।

‘মাহবুব ভবন’ নামে বাড়িটি তার প্রয়াত বাবা সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের বাসভবন। তিনি আপাতত সেখানেই থাকবেন। তবে নিয়মিত গুলশানের বাসায়ও যাওয়া-আসা করবেন। তার নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করা হয়েছে।  
পরিবেশ সৃষ্টি হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান- ডা. জাহিদ ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় পৌঁছার পর তার বাসা ফিরোজার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। এ সময় এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পরিবেশ সৃষ্টি হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান।

আশা করছি তিনি খুব তাড়াতাড়িই দেশে ফিরবেন। আপনাদের বোঝা উচিত ডা. জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর এসেছেন। তারেক রহমানও ফিরবেন। আর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান আমেরিকাতে একটি রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করেছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে এসে নেতৃত্ব দেবেন। শুধু বিএনপির নয়, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেও নেতৃত্ব দেবেন। আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, সময়ই বলে দেবে জোবাইদা রহমান কয়দিন থাকবেন। সব কিছু গুছিয়ে তিনি আবার লন্ডনে যাবেন। জনসমাবেশে খালেদা জিয়াকে সশরীরে দেখা যাবে কি? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনাকে মনে রাখতে হবে বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে কোনো ধরনের গ্যাপ নেই।

অনেকে বলেছিল সেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে’ জিয়াউর রহমানের নিহত হওয়ার ঘটনার পর যে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বরণের পরে বিএনপি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আবার ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপিকে নেতৃত্ব শূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তারেক রহমানের কোমার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু আল্লাহর কি অশেষ মেহেরবানি তারেক রহমান আজকে আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বিদেশের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ। আর বেগম খালেদা জিয়াও আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। কাজেই মনে রাখবেন যখনই প্রয়োজন,  জাতির প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দেবেন। 
আরেক প্রশ্নে ডা. জাহিদ বলেন, লন্ডনে চিকিৎসার পর শারীরিক ও মানসিকভাবে খালেদা জিয়া অনেকটাই সুস্থ আছেন। তবে ১৪ ঘণ্টার জার্নি এবং বিমান বন্দর থেকে বাসায় আসার রাস্তার জার্নির কারণে উনি শারীরিকভাবে একটু অবসন্ন। তারপরও মানসিক ভাবে উনার অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল আছে। খালেদা জিয়ার এই সুস্থতা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

×