
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে "রোড টু ডেমোক্রেসি" কর্মসূচি ডেকেছিলো বিএনপি।দলের প্রধান হিসেবে ওইদিন নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল বেগম খালেদা জিয়ার। সেদিন গুলশান ৭৯ নাম্বার রোডের বাসা থেকে বের হন বেগমজিয়া, কিন্তু বাড়ির সামনে বালু ভর্তি ট্রাক রেখে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। সাধারণ মানুষের চলাচলও বাধাগ্রস্ত করা হয়। আওয়ামী সরকারের এমন পদক্ষেপ দেশবাসী জানে।
৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আবারও আলোচনায় আসে এক যুগ আগে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা। দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, “তারা আমার কাছে দুই গাড়ি বালু এবং দুই লাখ টাকা চেয়েছিল, এই লোকগুলো ছিল শ্রমিক লীগ এবং চালক লীগের সদস্য।”
দেলোয়ার হোসেন পেশায় গাড়িচালক এবং রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী। তার দাবি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসার সামনে ব্যারিকেড দিতে শ্রমিক লীগ নেতারা তার কাছ থেকেই বালুর ট্রাক চেয়েছিল।
দেলোয়ার জানান, “আমি কেন বালু দেব? তখন তারা বললো, তাহলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে, নইলে আমাকে এয়ারপোর্টে থাকতে দেওয়া হবে না। আমি বললাম, আমি এগুলো দিতে পারব না।”
তারা চাঁদা না পেয়ে প্রথমে তাকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দেয়ায় হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে দেয়। ওই ঘটনার ১২ বছর পর সম্প্রতি মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। তার দাবি, এতদিন মামলা করার সাহস পাননি।
দেলোয়ার বলেন, “স্বাধীনতার পর আমি কোর্টে গিয়ে মামলাটি দায়ের করেছি। ম্যাজিস্ট্রেট আমার অবস্থার কথা শুনে আমাকে মামলা করতে বলেন।”
মামলায় দুই নম্বর আসামি হিসেবে বিমানবন্দর থানার তৎকালীন ওসি ফরমান আলীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গাড়িচালক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে মূল আসামী নুরুল ইসলাম, একজন রেন্টেকার ব্যবসায়ী, যার ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করা হচ্ছে। নুরুল ইসলাম দাবি করেন, “দেলোয়ার মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। ২০০০ সালে তিনি এক্সিডেন্ট করে পা ভেঙে ফেলেছিলেন, আর পরে এটিকে ২০১৩ সালে সাজানো হয়েছে।”
এদিকে, মোহাম্মদ পিন্টু, এক গাড়িচালক এবং দেলোয়ারের পরিচিত, জানান, “দেলোয়ার মিথ্যা মামলায় ফায়দা লুটতে চেয়েছেন, আর এর পেছনে তার অপরাধের ইতিহাসও রয়েছে।”
এছাড়া, দেলোয়ারের সম্পর্কে এক রহস্যও উন্মোচিত হয়েছে, যেখানে তিনি একসময় শ্রমিক লীগের সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে বর্তমানে তার দাবি, তিনি শ্রমিক লীগে আর সদস্য নন।
মোহাম্মদ ইলিয়াস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার, জানান, “দেলোয়ার পাঁচ তারিখের আগে শ্রমিক লীগ করতেন, তার ডকুমেন্ট পত্র আমার কাছে আছে।”
এছাড়া, দেলোয়ার হোসেনের নাম ২০১০ সালে শ্রমিক লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের তালিকায় ছিল এবং ২০২৪ সালে একই ইউনিটের সদস্য হিসেবে তার নাম রয়েছে।
তবে দেলোয়ারের দাবী, "আমি কখনো শ্রমিক লীগের সদস্য ছিলাম না।"
সূত্র:https://tinyurl.com/yncetj7z
আফরোজা