
খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা নেবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো। খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন।
এরপর রোববার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, আগের মতো দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ওইদিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার যে আবেদন সেটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি প্রকাশ করেছেন। কাজেই মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি হয়ে যাবে। পূর্বে যে শর্ত ছিল, কোর্টে নির্ধারিত যে শর্ত ছিল, সেটা অনুযায়ীই সময়কাল ৬ মাস বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাসাজা দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
এছাড়া একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাসাজা ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। করোনার সময় ২০২০ সালে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। সেই থেকে কয়েক দফায় ছয় মাস করে বেড়েছে তার মুক্তির মেয়াদ।
এমএইচ