ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যেন আন্দোলনের উৎসব!

হামিদুর রহমান তুষার

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ২৮ মে ২০২৫

যেন আন্দোলনের উৎসব!

ঢাকা শহরে ভালো চাকরি, উন্নত শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসার জন্য সেরা। এখানে চাকরি করার পাশাপাশি চাকরি সন্ধানে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে এসে থাকেন। এছাড়া পড়াশোনা করার পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোচিংসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ ভিড় করে এই শহরে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে ঢাকা শহরে যেমন মুখরিত থাকে ঠিক তেমনি বিরক্তও। বর্তমানে রাজধানীতে আন্দোলন, বিক্ষোভ ও রাস্তা বন্ধ করে যেন প্রতিবাদ সভার উৎসব চলছে। কথা নেই বার্তা নেই নিজেদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। রাজনীতি দলগুলো থেকে শুরু করে বাদ যাচ্ছে না রিক্সা চালক, পরিচ্ছন্ন কর্মী। গণমাধ্যমে জানা যায় গত ২২ মে ব্যস্ত নগর ঢাকা শহরে তিনটি আন্দোলন হয়েছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিক্ত বিরক্ত কথা বলা যাক।  সকাল ১০টায় উত্তর বাড্ডা থেকে লোকাল বাসে উঠে জরুরি প্রয়োজনে গুলিস্তান যাওয়ার উদ্দেশে বের হলাম। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে আমি পৌঁছাতে পারিনি মালিবাগ ক্রসিং পর্যন্তও। জ্যামে কচ্ছপ গতির যান অবশেষে দুপুর ১টায় আমাকে কাকরাইল নিয়ে যায়। অতিষ্ঠ হয়ে আমি গুলিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে কাকরাইল মোড়ে নেমে যাই। এরপর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশ্যে অ্যাপে উবার পাওয়ার চেষ্টা করি। যখনই শুনি পল্টন হয়ে আমার গন্তব্যে যেতে হবে তখনই বাইক রাইডার অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এভাবে দুই-একজন রাইডারের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা বন্ধের কারণে আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে কেউ রাজি হয়নি, ফলে কাকরাইল মোড় থেকে বাসার উদ্দেশে আবার ফেরত যেতে হলো। আমার সেদিনের কষ্ট, গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষতি এই প্রশ্নের উত্তর সাগরে ঢিল মারার মতো হয়ে যাবে। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে চিন্তায় থাকতে হয় নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে কাজ করা সম্ভব কিনা। এছাড়া চাকরিজীবীদের অধিক টাকা ভাড়া দিয়ে বিকল্প পথে চাকরি বাঁচানোর জন্য যেতে হচ্ছে, নির্দিষ্ট খরচের বাইরে খরচ করে কষ্ট করতে হচ্ছে মাস শেষে। তার মধ্যে ঠিক সময় অফিসে ঢুকতে না পেরে বকা এবং মাস শেষে সেলারি কাটিয়ে নেওয়ার শাস্তি তো আছে। এমন আন্দোলন চলতে থাকলে কাঁচামাল আমদানি রপ্তানি, শিল্প পরিবহনে বিরাট হুমকি হয়ে আসবে।
পূর্বাচল, ঢাকা থেকে

প্যানেল

×