দুগ্ধপান কেন্দ্র চাই
পৃথিবীর শুরু থেকে অদ্যাবধি নারী-পুরুষের সহযোগিতায় সমৃদ্ধশালী হচ্ছে এ ধরা। বর্তমান সময়েও নারীর ক্রমাগত অগ্রযাত্রা বাড়ছে। নারীরা ঘরে বসে নেই, যুক্ত হচ্ছে নানা পেশায়। কিন্তু কর্মজীবী নারীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় শিশুদের স্তন পান করাতে। কেননা স্কুল, কলেজ, রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, টার্মিনাল, ব্যাংক ও পাবলিক প্লেসে নেই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার বা দুগ্ধপান কেন্দ্র। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই, সেখানে নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আলাদা স্থান রয়েছে।
আমাদের দেশে এক স্থান হতে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য নারীদের দীর্ঘসময় যানবাহনে আরোহণ করতে হয়, আর এ সময় বাচ্চাদের দুধ পান করানোর দরকার পড়ে। এজন্য একটু আড়াল হওয়ারও প্রয়োজন। কিন্তু এসব যানবাহনে নেই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। এজন্য মায়েদের নবজাতকদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। একজন বাচ্চার ছয়মাস পর্যন্ত মায়ের শাল দুধ পান করাতে হয়। আর এক্ষেত্রে দিনে কয়েকবার পর্যন্ত পান করানো লাগে।
কিন্তু দীর্ঘসময় যাত্রাকালে পান না করালে মা ও শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দেশে মাতৃদুগ্ধ দিবস ও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়। এবং নানা আয়োজন থাকে এ সময়। তবু বাড়ছে না ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। কিছু জায়গায় থাকলেও তা পর্যাপ্ত না। সমাজকে এ বিষয়ে ভাবতে হবে। এটা নারীকে যথাযথ সম্মান জানোনোর বিষয়। এবং নারীর অগ্রযাত্রায় বাধা।
অফিস, কলকারখানা, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র নারীদের জন্য আলাদা কক্ষ নির্মাণ করা এখন সময়ের দাবি। নইলে মায়েদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এজন্য মানবাধিকার সংগঠনসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।