ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১ জুন ২০২৩

এশিয়ার ‘আয়রন লেডি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কাতার ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩-এ যোগ দিয়ে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কাতার ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩-এ যোগ দিয়ে তিন-দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। কাতার ইকোনমিক ফোরাম মধ্যপ্রাচ্যের বৈশি^ক ও বিনিয়োগে নিবেদিত। বিশ^ব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান বের করাই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক কর্মকা- বিশ^জুড়ে সমাদৃত হয়েছে। ব্রিটেনের বিখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার আয়রন লেডি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্রিকাতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারী সরকারপ্রধান। তার নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি বেশিরভাগ সময় ৭ ভাগ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন ভার্জিনিয়ার হোটেল স্যুটে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে ব্রিটেনের বিখ্যাত সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট। শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। 
১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল : ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। এ ছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প।

২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮.৪ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস, জাতিসংঘ কর্তৃক শেখ হাসিনার শান্তির মডেল গ্রহণ ইত্যাদি।

২০১৪-২০১৮ মেয়াদে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে : বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থলসীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন, (এর ফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান হয়েছে), মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ ইত্যাদি।

চতুর্থ  মেয়াদে এ পর্যন্ত অর্জিত উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্তিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত এবং ঢাকায় মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক চারলেনে উন্নীত করা হয়েছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। সব বিভাগে আইসিটি পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে।

বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে। 
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে চারদিকে শত নেতিবাচক খবরের মাঝেও প্রবৃদ্ধিতে আশা জাগিয়েছে বাংলাদেশ। জিডিপির অগ্রগতিতে অনেক আগেই পাকিস্তানকে পেছনে ফেলার পর করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোতে গত বছর ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ ভারতকেও পেছনে ফেলেছে। গত মাসে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মাথাপিছু আয় এখন ২৮০ ডলার কম। ভারতের মতো একটা বিশাল সমৃদ্ধ দেশকে অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকে টপকে যাওয়া অবশ্যই বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন।

তদুপরি, গত বছর আইএমএফের আউটলুকে ভারতকে পেছনে ফেলার পর বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কৌশিক বসু বাংলাদেশের উত্থানের প্রশংসা করে বলেছিলেন- এমার্জিং ইকোনমির যেকোনো দেশের এগিয়ে যাওয়া ভালো সংবাদ। মনে রাখতে হবে মাত্র ৫ বছর আগেও জিডিপিতে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ২৫ শতাংশ এগিয়ে ছিল। করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, তখনো বাংলাদেশ রেকর্ড ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। চলতি অর্থবছরে তা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণ ও কার্যাবলী নিয়ে রীতিমতো গবেষণা হচ্ছে এখন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে যে দেশটির এক কোটিরও বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল, অর্থনৈতিক শক্তিমত্তার কারণে তারাই এখন মিয়ানমার থেকে ভয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয় দিতে পারছে। তাছাড়া সম্প্রতি  বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বাংলাদেশ। যেভাবে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, সেটি সাধারণত দুর্বল অর্থনীতির দেশকে দেওয়া হয়। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ ও মাইলফলক হয়ে থাকবে।

অপরদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালে প্রকাশিত ‘এইড ফ্রম বাংলাদেশ’ শিরোনামের এক নিবন্ধে বিশ্বব্যাংকের সাবেক উপদেষ্টা আবিদ হাসান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রশংসা করে সম্প্রতি লিখেছেন, ২০ বছর আগেও চিন্তা করা যেত না যে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের দ্বিগুণ হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে এটি ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্রে পরিণত হবে। তিনি আরও লিখেছেন, পাকিস্তানের এখনকার পরিস্থিতির পরিবর্তন না ঘটলে ২০৩০ সালের দিকেই হয়তো বাংলাদেশের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। ১৯৭৫ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বাংলাদেশ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২৬ সাল এলডিসির তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে। 
করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ সব উন্নত দেশের অর্থনীতি যেখানে দিশাহারা ও গতিহীন, সব দেশে যেখানে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে- সেখানে বাংলাদেশ কোন জাদুমন্ত্রবলে উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে, সমগ্র বিশ্বের কাছে এটাই এখন বিস্ময়ের কারণ। মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কিছু সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত রেখেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশীয় শিল্পকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে দ্রুতই করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।

এই বিষয়ে বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের বৈশ্বিক অর্থনীতিবিদরাও গত বছর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর বড় মাপের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা এবং নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও অর্থনীতি খুলে দেওয়ার মতো সরকারের সাহসী পদক্ষেপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করছে। মূলত, গত এক যুগে শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থানে মূল ভূমিকা পালন করছে। এ সময়ে দেশের অর্থনীতি তরতর করে এগিয়ে গেছে, তিন গুণেরও বেশি বড় হয়েছে জিডিপি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে নতুন রেকর্ড অর্জন করেছে। ছাড়িয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক।

আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে হয়েছে বিস্ময়কর উন্নয়ন। এর ফলে দ্য ইকোনমিস্টের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নবম স্থান দখল করেছে। উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের কাছে বাংলাদেশের এ সাফল্য বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের চেয়ে এগিয়ে আছে। খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাফল্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিসরে। যারা একদিন এই দেশকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছিল, তারাই আজ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ যে আজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব সূচকই তার সাক্ষ্য বহন করছে।

দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনষ্ক জীবনদৃষ্টি তাকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কা-ারী তিনি। সারা বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের ভরসাস্থল। বিশ্ব মানবতা যখন মুখ থুবড়ে পড়ছে, মানবতার ঝান্ডা হাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা তখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। তার কণ্ঠে উচ্চারিত হয় নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঘোর শত্রুরাও আজ তার মানবিকতার প্রশংসা করছেন।

বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিকে বাস্তবায়ন, দেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সাধন, জঙ্গিবাদ উৎখাতে অকুতোভয় দুঃসাহসী অভিযাত্রিক হিসেবে যিনি নিজের জাত চিনিয়ে বিশ্ববুকে নন্দিত হয়েছেন অপরাজেয় লৌহ মানবী হিসেবে তিনিই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য।

লেখক : অধ্যাপক, ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

×