ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খোলাবাজারে ডলার

ড. ইউসুফ খান

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৭ মে ২০২৩

খোলাবাজারে ডলার

বিশ্বব্যাপী মুদ্রা বিনিময় ও বিনিময় হার নির্ধারণের বাজারকেই বৈদেশিক মুদ্রা বাজার বা ফরেক্স মার্কেট বলা হয়

বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি বা অফিসিয়াল রেটের বাইরেও বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক মূল্য বা রেট বিরাজমান থাকে। আবার অনেক অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত বাজারে যতটা না লেনদেন হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি লেনদেন হয় কার্ব মার্কেটে। যেসব দেশে বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক রেট রয়েছে, ওইসব জায়গায় অফিসিয়াল রেটের চেয়ে কার্ব মার্কেটের রেট তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি থাকে

বিশ্বব্যাপী মুদ্রা বিনিময় ও বিনিময় হার নির্ধারণের বাজারকেই বৈদেশিক মুদ্রা বাজার বা ফরেক্স মার্কেট বলা হয়। যেখানে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংকসমূহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ক্রয় বিক্রয় এবং বিনিময় করে থাকে। বস্তুত স্বাধীনতার পরে দেশে অনেক দিন বৈদেশিক মুদ্রা বাজার ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী ব্যাবহারকারীদের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা বরাদ্দ প্রদান করে আসছিল। এভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য রক্ষায় নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে অবশ্য এ ব্যবস্থার অবলুপ্তি ঘটে। ১৯৯৩ সালের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশী মুদ্রার রূপান্তরযোগ্যকরণের প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যা ছিল দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের আংশিক উন্মুক্তকরণ। 
২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশী মুদ্রার ভাসমান বিনিময় হার চালুর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার একটি  নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার শুধু ঢাকা শহরেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরেও বিস্তার লাভ করেছে। সকল তফসিলি ব্যাংকসহ অনুমোদিত ডিলারগণই শুধু বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করতে পারে। এছাড়াও পর্যটকদের নিকট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিদেশগামী বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত লাইসেন্সধারী অনেক মানিচেঞ্জার রয়েছে। এ মানিচেঞ্জারগুলোর অনেকেই আবার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে ডলার ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। তাদের এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কর্মকা-ের জন্য ইতোমধ্যে  বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটি  মানিচেঞ্জারের লাইসেন্সও বাতিল করেছে। 
আশির দশকেও যখন বৈদেশিক মুদ্রা বাজার গড়ে ওঠেনি, সরকারের নির্ধারিত রেটে চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বরাদ্দ দিত। ঠিক ওই সময়টাতে অফিসিয়াল বিনিময় মুদ্রা হারের পাশাপাশি বাজারভিত্তিক সেকেন্ডারি বিনিময় মুদ্রা বাজার চালুর অনুমতি দেয়া হয়। এ অবস্থায় দেশে একটি কার্ব মার্কেটের উদ্ভব হয় যা অপ্রাতিষ্ঠানিক খোলাবাজার হিসেবে পরিচিত, যেখানে দালালদের মাধ্যমে লেনদেন হয়। অনুমোদিত ডিলারদের আশপাশেই ঢাকা শহরের অলিগলিতে এ বাজার পরিচালিত হয়। এ বাজারটির একটি বড় অংশ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। জানা গেছে, মূলত বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট এ কার্ব মার্কেট পরিচালনা করে থাকে। এ মার্কেটে ডলার কেনাবেচার বৈধতা না থাকলেও তা অলিখিতভাবে বৈধতা পেয়েছে।

সাধারণত ব্যক্তি পর্যায়েই কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কেনাবেচা বেশি হয়। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকে প্রয়োজনে কার্ব মার্কেট থেকে ডলার সংগ্রহ করে থাকেন। ডলার কেনাবেচার সঙ্গে অনেকের বড় বিনিয়োগও রয়েছে। 
বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারি বা অফিসিয়াল রেটের বাইরেও বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক মূল্য বা রেট বিরাজমান থাকে। আবার অনেক অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত বাজারে যতটা না লেনদেন হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি লেনদেন হয় কার্ব মার্কেটে। যেসব দেশে বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক রেট রয়েছে, ওইসব জায়গায় অফিসিয়াল রেটের চেয়ে কার্ব মার্কেটের রেট তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি থাকে। অর্থাৎ অনুমোদিত রেটের চেয়ে অননুমোদিত রেট বেশি থাকে।

কাজেই ক্রেতাকে খোলাবাজার থেকে কিছুটা বেশি রেটে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় করতে হয়। খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কেনা বেচা দেশের অর্থনীতির গতির সঙ্গে বড় ধরনের সংযোগ রয়েছে। ইদানীং বিদেশ থেকে লোকজনের আসা যাওয়া বেড়ে যাওয়ায় অনেকে নগদ অর্থ হাতে হাতে পাঠানোর সুযোগ নিতে পারছেন। মূলত এভাবে আসা অর্থ কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে অফিসিয়াল রেটের চেয়ে বেশি রেটে বিক্রি হচ্ছে। কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ নির্ভর করে মূলত ডলারের চাহিদা ও সরাবরাহের ওপর। সময়ের প্রেক্ষাপটে কখনো কখনো  বিশেষ পরিস্থিতিতে এই ডলারের চাহিদা এতটাই ঊর্ধ্বমুখী হয় যে, বাজারে একটি সাময়িক অস্থিরতা বিরাজ করতে থাকে। পরে অবশ্য ডলারের দাম স্থবির হয়ে আসে। যে সকল কারণে ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
ক্স প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বিভিন্ন সামগ্রী আমদানির লক্ষ্যে আগাম এলসি খোলার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। আগে থেকেই তারা নিশ্চিত হয় কোন্ কোন্ আমদানি পণ্যে করারোপ হচ্ছে। ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ডলার সংস্থানের নিশ্চয়তা না-পেয়ে তারা খোলাবাজারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক থাকলে ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কম থাকে। 
ক্স প্রতিবছরই হজ মৌসুমে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ডলার ব্যবসায়ীরাও এ সময়ে পকেট ভারী করার একটা সুযোগ নিয়ে থাকে। কিছু কিছু অসাধু বেসরকারী এজেন্সিগুলো হাজিদের নামে নির্ধারিত কোটার অতিরিক্ত ডলার নিয়ে থাকে। এ সময়ে খোলাবাজারে ডলার ক্রয়-বিক্রয় অস্থিরতা বিরাজ করে। হজ ফ্লাইট সমাপ্ত হওয়ার পর থেকেই ডলারের দাম নিম্নমুখী হয়। 
ক্স সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য বেড়ে গেলেই খোলাবাজারে ডলারের টান পড়ে। বিশেষ করে রমজান ও ঈদ-মৌসুমকে সামনে রেখে চোরাচালানি সিন্ডিকেটগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। সীমান্ত ও সমুদ্রপথে চোরাচালান পণ্য নিয়ে আসে। তখন খোলাবাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি পায়। 
ক্স ঈদের বাজারকে সামনে রেখে একশ্রেণীর আমদানিকারক অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় খোলাবাজার কিংবা কার্বমার্কেট থেকে বেশি দামে বাড়তি ডলার সংগ্রহের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ কারণে কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। সীমান্ত ও সমুদ্রপথে চোরাচালান-বাণিজ্য রোধকল্পে আকস্মিক চেকিং ব্যবস্থা জোরদার করলেই খোলাবাজারে ডলারের দাম স্থবির হয়ে আসে। জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার চোরাচালান-পণ্য বাংলাদেশে ঢুকছে। বিশ্বব্যাংকের ‘দক্ষিণ এশিয়া বাণিজ্য নীতি’- বিষয়ক এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শুল্ক-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ না হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শুল্কহার বিরাজ করছে। বাংলাদেশে এই উচ্চশুল্কের কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বাড়ছে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের ঘটনা ঘটছে। 
ক্স দেশের স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রপথ ছাড়াও বড় বড় সিন্ডিকেট যারা আন্তর্জাতিক চোরাচালানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে, তারা প্রায়ই বিমানবন্দরের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের চোরাচালানসহ অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। এর অনেকাংশই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসব অবৈধ দ্রব্যের লেনদেন ডলারের মাধ্যমেই বেশি হয়ে থাকে। এ অবস্থায় মুহূর্তের মধ্যে খোলাবাজারে ডলারের দাম অস্থিরতায় পর্যবসিত হয়। ডলারের চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ কম। ডলার-ব্যবসায়ীরা সুযোগের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে পকেট ভারী করে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বস্তির জায়গায় থাকার কারণে খোলাবাজারে ডলারের এ সাময়িক উর্ধ্বমুখী অস্থিরতা কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে না। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তদারকির ফলে ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট চালু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক ডলার বাজারে কোনো ধরনের অঘটন ঘটেনি। 
ক্স তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত কোনো ধরনের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা সীমান্তের কাছাকাছি ভারতে আশ্রয় নেয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় খোলাবাজার থেকে প্রচুর পরিমাণ ডলার কিনে নিয়ে যায়। আবার সঞ্চিত ডলার শেষ হলেই বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের সহযোগীরা খোলাবাজার থেকে পুনরায় ডলার ক্রয় করে পাঠায়। ফলে, খোলাবাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। 
ক্স অনেক সময় টাকার অবমূল্যায়ন হবে বলে গুজবের কারণে অনেক ডলার-ব্যবসায়ী, এমনকি অনেক ব্যাংক ডলার ধরে রাখে। ফলে, ডলারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। আবার কোনো কোনো ব্যাংক অস্বাভাবিকহারে এলসি খুলে এই সংকট আরও ত্বরান্বিত করে। ফলে, খোলাবাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি পায়। 
ক্স আন্তর্জাতিক বাজার বন্ধ থাকায় সাধারণত শনিবার ও রবিবার ডলারের চাহিদা কম থাকে। তাই এই দুইদিন ডলারের মূল্য খোলাবাজারে নি¤œমুখী থাকে। কিন্তু সোমবার থেকে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বৃহস্পতিবার অর্থাৎ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডলারের মূল্য অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পায়। কাজেই খোলাবাজার থেকে কম দামে ডলার ক্রয় করতে হলে সাধারণত রবিবার ভালো দিন। তবে ডলারের দাম কখন যে ঊর্ধ্বমুখী হবে এবং কখন যে নি¤œমুখী হবে বলা মুশকিল। কারণ, কিছু অসাধু ডলার ব্যবসায়ী ডলার মজুত করার মাধ্যমে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে। ফলে, খোলাবাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি পায়। 
ক্স খোলাবাজার থেকে অবৈধভাবে ডলার কিনে বিদেশে পাচার করলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়। অনেকের ছেলেমেয়ে বিদেশে লেখাপড়া করে বিধায় খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে পাঠায়। আবার অনেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে ভ্রমণের সময় খোলাবাজার থেকে ডলার ক্রয় করে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, বিদেশে চিকিৎসা এবং ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ হিসেবে অফিসিয়ালভাবে নির্ধারিত পরিমাণের বেশি ডলার নেয়া যায় না বিধায় অনেকেই খোলাবাজার থেকে বাড়তি ডলার কিনে পাঠায়। আবার অনেকে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দেশে রাখা নিরাপদ মনে করে না বলে খোলাবাজার থেকে বেশি দামে ডলার কিনে তা বিদেশে পাচার করে। এছাড়া দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশের কারণে বিপুল অঙ্কের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয় বিধায় খোলাবাজারে ডলারের দাম বৃদ্ধি পায়। 
ক্স বর্তমানে বাজারে প্রবাসীদের জন্য ‘ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড’ এবং ‘ডলার বন্ড’ চালু রয়েছে। এ আকর্ষণীয় স্কিমে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবাসীরা উচ্চহারে মুনাফা অর্জন করতে পারেন। ডলার বন্ডের সুদ প্রতি ছয় মাস অন্তর উত্তোলনযোগ্য বিধায় এই বন্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার বিনিয়োগ করা হলে মূল অর্থ বিদ্যমান রেখে সুদের টাকায় মাসিক সাংসারিক খরচ চালানো সম্ভব। 
এমতাবস্থায় অনেকেই খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে তা বিদেশে পাচার করে পুনরায় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এনে উল্লেখিত আকর্ষণীয় স্কিম ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড বা ডলার বন্ডে বিনিয়োগ করছে। 
ক্স আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী মুদ্রার পাশাপাশি স্বর্ণের মূল্যমান পরিস্থিতিও প্রভাব বিস্তার করে। অর্থাৎ এ অবস্থায় যদি আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে ডলারের ওপর চাপ পড়ে। ফলে, ডলারের দাম বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য যে, মধ্যপ্রাচ্যে প্রায়ই বড় বড় আন্তর্জাতিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে স্বর্ণ মজুত করার মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। 

লেখক : চেয়ারম্যান, বুরো বাংলাদেশ ও সাবেক ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, পিপল্স লিজিং এন্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিঃ

×