
ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ
তীব্র দহনে পুড়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা। বৈশাখ মাসের শেষের দিক, তবুও কালবৈশাখী নিয়ে স্বস্তির বার্তা দিতে পারছে না চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বরং তাপমাত্রার পারদ যে আরও উঁচুতে চড়তে পারে, তেমনই পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস।
রবিবার (১১ মে) তাপপ্রবাহের মধ্যেই চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অতিতীব্র তাপ প্রবাহ। শনিবার একই সময় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারও একই সময়ে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। চরম গরম অনুভূত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ ছাতা মাথায় অথবা রিকশায় চলাচল করছেন।
টানা তাপদাহের কারণে বেড়েছে জনজীবনে অস্বস্তি। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন শ্রেণির খেটে-খাওয়া মানুষ। তারা এ ভ্যাপসা গরমে কাজ করতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে সূর্যের প্রখরতা ও ভ্যাপসা গরম। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে দুপুরের পর থেকে সড়কগুলো এক প্রকার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, রবিবার বেলা ৩ টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৬ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, পশ্চিম থেকে গরম হাওয়া প্রবেশ করায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আগামী কয়েকদিন এই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ১৪ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
মিরাজ খান