ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

বেগম খালেদা জিয়া প্রতিপক্ষকে কখনও অসম্মানসূচক, নোংরা, কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ বা গালাগালি করেননি: ড. তুহিন মালিক

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১২ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩৬, ১২ মে ২০২৫

বেগম খালেদা জিয়া প্রতিপক্ষকে কখনও অসম্মানসূচক, নোংরা, কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ বা গালাগালি করেননি: ড. তুহিন মালিক

ছবি : সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক জীবনে কখনোই প্রতিপক্ষকে অসম্মানজনক, কুৎসিত বা গালাগালপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেননি। এমনকি ৫ আগস্ট মুক্তি পাওয়ার পর তিনি শেখ হাসিনার নামটিও উচ্চারণ করেননি। ড. তুহিন মালিকের মতে, খালেদা জিয়ার মধ্যে প্রতিহিংসার মনোভাব ছিল না এবং তাঁর রাজনৈতিক সহনশীলতা, শিষ্টাচার, উদারতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতা তাঁকে সর্বজনস্বীকৃত নেত্রীতে পরিণত করেছে।

 

 

এর বিপরীতে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে সমালোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর নিজের মুখের ভাষা, অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, অহংকার ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ মনোভাব। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রকাশ্যে পানিতে চুবানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা রাজনৈতিক পরিপক্বতার বিপরীত। সর্বশেষ ছাত্রদের রাজাকার বলেও প্রধানমন্ত্রী নিজেই দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

 

ড. তুহিন মালিক মনে করেন, প্রতিপক্ষকে কী ভাষায় জবাব দিতে হয়, এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার, সহনশীলতা, ধৈর্য ও উদারতা কিভাবে বজায় রাখতে হয়, এই ‘কমনসেন্স’ রাজনীতিবিদের অবশ্যই থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের আচরণ আরও সংযত ও মার্জিত হওয়া প্রয়োজন।

 

 

তিনি তাঁর লেখার শেষাংশে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা নিয়ে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খালেদা জিয়ার মতো হবে, নাকি শেখ হাসিনার মতো? তরুণদের এখনই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, জাতি তাঁদের চোখ দিয়ে ভবিষ্যতের যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়ন করাই হতে হবে তাঁদের প্রধানতম এজেন্ডা। জাতির প্রত্যাশাও তাই।

আঁখি

×