ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্নিগ্ধতার পরশ ছড়ানো ব্যক্তিত্ব

মোয়াজ্জেমুল হক

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২১ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ২৩:৫৫, ২১ মার্চ ২০২৩

স্নিগ্ধতার পরশ ছড়ানো ব্যক্তিত্ব

সত্য প্রকাশে সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিংহহৃদয় আতিকউল্লাহ খান মাসুদ

সত্য প্রকাশে সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিংহহৃদয় আতিকউল্লাহ খান মাসুদ কখনো কারও জীবন, কারও দুর্বলতা, কারও আশা, কারও স্বপ্ন, কারও বিশ^াস, কারও সম্মান নিয়ে কাউকে বিব্রত বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যাননি। উল্টো প্রাণিত করতেন। সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন যথাসাধ্য। দারুণ সংস্কৃতিমনাও ছিলেন তিনি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। আর স্বাধীনতা অর্জনের পর রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী, বাঙালির চিন্তাচেতনা ও প্রগতিশীলতার বিপরীতে যারা অপতৎপরতা চালিয়েছে, তিনি তাদের বিরুদ্ধেই অবস্থানের শক্ত ভিত গড়ে গেছেন। 
তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক

 

যদি বলা হয়- কেমন ছিলেন তিনি? আমার মতো অনেকের উত্তর হবে- রাগী, জেদী, রাশভারি, গম্ভীর, কঠিন সত্য বলতে কোনো দ্বিধা করতেন না। স্মার্ট, চটপটে, চঞ্চল, বিশাল হৃদয়ের অধিকারী, চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারী, কঠোর পরিশ্রমী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বলিষ্ঠ ধারক ও বাহক। চাটুকারিতা ছিল না। চাটুকারদের করতেন ঘৃণা। স্নিগ্ধতার পরশ ছড়ানো ব্যক্তিত্ব তাঁর মাঝে। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার আবরণের মানুষ। স্বর্ণালী শিখরে উঠে মিডিয়া জগতের দৃষ্টি কেড়েছেন।

বহু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়েছেন, তবে অর্থলিপ্সা ছিল না। জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক হয়েছেন, আপোসকামিতা ছিল না। যা সত্য তাই লিখেছেন, লিখিয়েছেন। নীতি, আদর্শ বিসর্জন দেননি। সিআইপি ছিলেন, সুযোগ-সুবিধা নিতে আগ্রহী থাকতেন না। শিল্প গ্রুপের মালিক হয়েও নিয়মিত অফিস করা ছিল তাঁর নীতি-আদর্শের অন্যতম একটি দিক। গভীর রাত অবধি মগ্ন থাকতেন তাঁর শিল্প গ্রুপের নানা দিক নিয়ে। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মনোযোগী থেকে গেছেন নিবিষ্ট মনে। তিনি শিল্পপতি, গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ। 
ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মাহুতির এক মহাকাব্য মহান মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের অকুতোভয়  গেরিলা যোদ্ধা। দূরদর্শী, সূর্যসারথি। তিনি দ্যুতিময়, জ্যোতির্ময়। মিডিয়া জগতে অতীতের দীর্ঘ সময়ের পুরনো গতানুগতিক ধাঁচ উপড়ে দিয়েছেন। ঝুঁকি নিয়েছিলেন, ঝাঁকি দিয়েছেন। নতুন করে দীপ্তি ছড়িয়েছেন এ দেশের স্বাধীনতার সপক্ষীয় ও প্রগতিমনাদের কাছে। ২৮ বছরেরও বেশি সময় জুড়ে সাহসিকতার সঙ্গে ‘নীতির প্রশ্নে আপোসহীন’- তীক্ষ্ণ এ স্লোগানে অমিত বিক্রমে আমৃত্যু তিনি এই দৈনিকের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া তিনি শিল্প খাতেরও আধুনিক এবং স্বাপ্নিক উদ্যোক্তা। বড় একটি শিল্প গ্রুপের প্রাণপুরুষ। তাঁর জীবনাধ্যায় জুড়ে রয়েছে ত্যাগ, পরিশ্রম, কঠোর ব্রত ও সাধনা। নবতর প্রক্রিয়া নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর ওপর নির্যাতন, নিপীড়নের খড়্গও নেমেছে। ধর্মান্ধ, ফতোয়াবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ছিল তৎপর। ক্ষেত্রবিশেষে রাষ্ট্রীয় মদদও ছিল তাদের প্রতি। এরপরও তাঁর কঠোর অবস্থান উগ্রপন্থী ধর্মান্ধদের লালিত জঙ্গীগোষ্ঠীর ভিতে কুঠারাঘাত করেছে। 
১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ঢেউ আছড়ে পড়ে এই বঙ্গে। একুশ বছরের টগবগে যুবক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ। যৌবন তখন তাঁর দুরন্ত-দুর্বার। দুর্নিবার গতিতে দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রামের স্বপ্নের বীজ বপিত হয়ে যায় তাঁর রক্তের শিরায় শিরায়। এরই মধ্যে দেশ আরও উত্তাল হয়ে পড়ে। এসে যায় বজ্রকণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক। পাল্টে যায় তাঁর স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা। সতীর্থদের নিয়ে দ্রুত পরিকল্পনা মাফিক সীমান্ত অতিক্রম। যুদ্ধকালীন তাঁর দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড- সে আর এক ইতিহাস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোমহর্ষকও বটে।

‘যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা’ নিবন্ধে নিজেই তিনি লিখে গেছেন, যা প্রকাশও হয়েছে। দেশজুড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াইয়ে পরাজয় ঘটে পাক বাহিনীর। ৯ মাস যুদ্ধশেষে আসে বিজয়ের বার্তা। বিজয়ী হয় বাঙালি জাতি। অর্জিত হয় বাঙালির স্বপ্নের প্রিয় স্বাধীনতা। লাল-সবুজের পতাকা উড্ডীন হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অঙ্কিত হয় নতুন একটি দেশের নাম। রক্ত দিয়ে লেখা সে নাম- বাংলাদেশ। সূচিত হয় নবতর যাত্রার। 
আতিকউল্লাহ খান মাসুদ  সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা। জাতির শ্রেষ্ঠ এক সন্তান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘বস করপোরেশন’ নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। সফলতার ভাগ্যলক্ষ্মী তাঁর ওপর সুপ্রসন্ন হয়। এগিয়ে  যেতে থাকেন তিনি। পাল্টে যেতে থাকে তাঁর অধিকতর পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষমতার ক্ষেত্রের বিস্তৃতি। কর্মকা- আরও বিকশিত হয়। ১৯৯৩ সালে এই সফল শিল্পোদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠা করেন দেশজুড়ে জনপ্রিয় জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’। ওই বছরের মহান ২১ ফেব্রুয়ারি ‘মাথা নত না করা’র দীপ্ত শপথের দিনে সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রকাশক হিসেবে দেশজুড়ে চমক সৃষ্টিকারী প্রগতিশীল এই পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন।

এ পত্রিকার জন্য ঢেলে দেন তাঁর বহুমাত্রিক প্রতিভা। জনকণ্ঠের মালিক সম্পাদক মুদ্রাকর ও প্রকাশক হিসেবে প্রগতিশীলতার সম্পাদকীয় নীতিমালার মিশেলে সংবাদ পরিবেশনে এক নতুন দুয়ার উন্মোচন করে যান তাঁর ধ্যান ও জ্ঞানগরিমায়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে বেছে নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা দেশবরেণ্য সাংবাদিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালনকারী বর্ষীয়ান তোয়াব খানকে। সঙ্গে যোগ দেন একঝাঁক মেধাবী সংবাদকর্মী ও কর্মচারী।

২০২১ সালের ২২ মার্চ জীবনের মায়া সাঙ্গ করে তিনি আকস্মিক এই পৃথিবীকে বিদায় জানান। মৃত্যু সৃষ্টির অমোঘ সত্য। চরম এই সত্যকে আলিঙ্গন করলেন- তবে অসময়ে। পরপারে পাড়ি জমালেন। শোকসাগরে ভাসিয়ে দিয়ে যান তাঁর প্রিয় পরিবার, শুভার্থী এবং এই শিল্পগোষ্ঠীর সকল কর্মকর্তা, সাংবাদিক-কর্মচারীকে। তিনি এখন দূর আকাশের তারা। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত চালচলনসহ সবকিছুতেই তিনি ছিলেন স্মার্ট, উদ্ভাসিত, শ্রীম-িত এবং নিবেদিত এক কর্মবীর।
তাঁর সঙ্গে আমার স্মৃতির শেষ নেই। কী স্বাপ্নিক একজন মানুষ! বহুমাত্রিক চরিত্রের অধিকারী! কী শিল্পজগতে! কী মিডিয়া জগতে! কী ক্রীড়া জগতে! ওতপ্রোতভাবে বিস্তৃত পর্যায়ে জড়িয়ে থেকে যে অবদান রেখে গেছেন, তা উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো হয়ে আছে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে, এক-এগারো সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৪ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তারের কিছুদিন আগে থেকেই সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন তাঁর ওপর নজরদারি শুরু করে।

একদিন টেলিফোনে জানালেন, ‘মোয়াজ্জেম দেখো তো আমাকে সাদা পোশাকের সন্দেহজনক লোকজন ফলো করছে বলে মনে হচ্ছে। কেন ফলো করছে খবর নাওতো?’ জানতে চাইলাম, কীভাবে ফলো করছে স্যার? জানালেন, তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে সকালে ইস্কাটনে জনকণ্ঠ ভবনে আসার পথে মোটরসাইকেলে সাদা পোশাকে তাঁকে ফলো করা হচ্ছে। আবার বাসায় ফেরার পথেও। বললাম. খোঁজ নিয়ে দেখি স্যার। খোঁজ নিলাম। জানতে পারলাম বিশেষ সংস্থার কিছু লোক তাঁকে নিয়মিত ফলো করছে।

এ প্রক্রিয়ায় তাঁকে যেদিন আটক করা হয় সেদিনও তাঁর সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়েছে। ইস্কাটনের বিয়াম ভবনের সামনে থেকে গাড়ি থামিয়ে তাঁকে যখন আটক করা হচ্ছিল তখন এ ঘটনা মোবাইলে কথা বলার সময় তিনি আমাকে জানালেন। বললেন, তারা কোথায় নিয়ে যাবে জানি না। বুঝতে পারলাম, তাঁকে আটক করা হয়েছে। মোবাইলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা শেষ হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বলে যাচ্ছিল টেলিফোন কোথায়? স্যার তাঁর টেলিফোন গাড়ির ব্যাকসিটে রেখে নেমে যান। মিনিট কয়েকের মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন টেলিফোনটি নিয়ে লাইন কেটে দেয়।

এ ঘটনা প্রথমে আমি জানাই গ্লোব-জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের তৎকালীন সিনিয়র নির্বাহী পরিচালককে। এরপর জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ও স্যারের বাসায় জানালাম। সকলেই বিস্মিত। কেন আটক করা হলো? আবার আটকের ঘটনা ঢাকায়। অথচ চট্টগ্রাম থেকে আমি জানাচ্ছি। সকলের কাছে বিষয়টি যেন এলোমেলো ঠেকল। এবার পাল্টা ফোন আসতে লাগল। জানালাম, ওটা কাকতালীয়। আমার সঙ্গে বেশ কদিন ধরে বিশেষ সংস্থার লোকজন ফলো করার ঘটনা স্যার বলে আসছিলেন। ওইদিনও ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে তিনি তাঁর বাসার অদূরে এ ধরনের লোকজন দেখেন। এবারো ফোন করলেন আমাকে।

এর আগে হয়ত আরও কাউকে কাউকে জানান দিয়ে থাকতে পারেন। মোবাইলে কথা চলাকালে আটক হওয়ায় তিনি জানিয়ে দিলেন ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে’। বিষয়টি নিয়ে আমি জনকণ্ঠ ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এসব বিষয়ে আমি নিশ্চিত হই তৎকালীন আইজিপি নুর মোহাম্মদ ও এক-এগারো সরকারের উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেনারেল (অব) আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা বলে। এ বিষয়টিও আমি তাৎক্ষণিকভাবে জনকণ্ঠ ভবনের সংশ্লিষ্টদের অবহিত করি।

আটক হওয়া এবং চলে আসছেন- এমন দুটি খবরেই অনেকে বিস্মিত হন! ঠিকই, কিছুক্ষণ পর উনি আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে জনকণ্ঠ ভবনে চলে আসেন। ফিরে এসে প্রথম ফোনটি করলেন আমাকে। জানতে চাইলেন, আটকের পর আমি কোথায় কোথায় কথা বলেছি। তাঁকে সংক্ষিপ্তভাবে তা জানালাম। স্যার আমাকে ধন্যবাদ দিলেন। এরপর হঠাৎ আটক ও ছাড়া পাওয়া নিয়ে মিডিয়াকে ব্রিফ করলেন।

এ ঘটনার তিনদিন পর অর্থাৎ ৭ মার্চ সন্ধ্যার পর শতশত র‌্যাব ও পুলিশ জনকণ্ঠ ভবন ঘেরাও করে তাঁকে আবার আটক করে নিয়ে যায়। পরে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একের পর এক মিথ্যা মামলায় এবার তাঁকে প্রায় দু’বছর জেলবন্দী করে রাখা হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্ত হন। 
সত্য প্রকাশে সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিংহহৃদয় আতিকউল্লাহ খান মাসুদ কখনো কারও জীবন, কারও দুর্বলতা, কারও আশা, কারও স্বপ্ন, কারও বিশ্বাস, কারও সম্মান নিয়ে কাউকে বিব্রত বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যাননি। উল্টো প্রাণিত করতেন। সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন যথাসাধ্য। দারুণ সংস্কৃতিমনাও ছিলেন তিনি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। আর স্বাধীনতা অর্জনের পর রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসবাদী, বাঙালির চিন্তাচেতনা ও প্রগতিশীলতার বিপরীতে যারা অপতৎপরতা চালিয়েছে, তিনি তাদের বিরুদ্ধেই অবস্থানের শক্ত ভিত গড়ে গেছেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক। 

লেখক : যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠ

×