
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবরোধ
সারা দেশেই তাপপ্রবাহ বয়ে গেল ক’দিন। ঢাকায় ১০ মে শনিবার তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সেদিন এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগের দিন শুক্রবার ছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি এবং আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবরোধ (ব্লকেড) কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে। এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে তিন দফা দাবি দিয়েছি। প্রথম দফা, আওয়ামী লীগের যত সহযোগী সংগঠন রয়েছে সকল সংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
দ্বিতীয় দফা দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের এ তিন দফা যতক্ষণ না পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়, ততক্ষণ কী আমরা এই মাঠ ছাড়ব?’ এ সময় সবাই ‘না’ বলে সমর্থন জানান।
পরে হাসনাত আবদুল্লাহ শনিবারের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এ তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শনিবার বেলা তিনটার দিকে শাহবাগে গণজমায়েত ঘোষণা হয়। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সারা ঢাকায় জুলাই-অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি যারা আওয়ামী লীগের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন; পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন তাঁদের স্বজন; মোদিবিরোধী আন্দোলনে যারা শিকার হয়েছেন- সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই শাহবাগে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জুলাই পয়েন্টে গণজমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার শাহবাগ মোড় বন্ধ করে আন্দোলনকারীরা আলাদা আলাদা দলে ভাগ হয়ে স্লোগান দিয়েছেন। তাঁদের সবার স্লোগানের মূল বিষয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। শাহবাগ চত্বরে বিজ্ঞাপন বোর্ডের নিচে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন এনসিপি নেতা-কর্মীরা।
এ ছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরাও আলাদা আলাদাভাবে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। আন্দোলনকারীরা ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘এই মুহূর্তে ব্যান (নিষিদ্ধ) চাই, আওয়ামী লীগের ব্যান চাই’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ এবং ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’- এ রকম বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের হাতে জাতীয় পতাকাসহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি সংবলিত পোস্টার ছিল।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে তিন দিন ধরে টানা কর্মসূচির মাঝেই শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে। যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
এ ঘোষণা আসার পর ছাত্র-জনতা উল্লাস প্রকাশ করে।
বিদায় মুস্তাফা জামান আব্বাসী
পরিণত বয়সে চলে গেলেন খ্যাতিমান লোকসংগীতশিল্পী ও গবেষক মুস্তাফা জামান আব্বাসী। পল্লিগীতির অন্যতম দিকপাল আব্বাসউদ্দীন আহমদের সুযোগ্য এই সন্তান একসময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫০ বছর ধরে ফোক মিউজিক রিসার্চ গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি ভাওয়াইয়া নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের একাধিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। বিটিভি ভবনে সাহিত্যের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে দুয়েকবার দেখেছি তাঁকে। গুণী মানুষটার ¯িœগ্ধ, শান্ত, সৌম্য উপস্থিতি মন ভালো করে দিত।
তাঁর পিঠাপিঠি ছোট বোন জনপ্রিয় শিল্পী ফেরদৌসী রহমান এক স্মরণাঞ্জলিতে লিখেছেন: ‘মানুষ হিসেবে আব্বাসী ভাই ছিল অতুলনীয়। অসুখ হওয়ার আগে পর্যন্ত সারাজীবন বাজারসদাই আমি নিজেই করতাম। বাজারে গেলে দোকানদারেরা বলত, আব্বাসী সাহেব আপনার ভাই হয় না? ওনার মতো মানুষ হয় না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তার।’
একটি ডাব ২০০ টাকা!
রবিবার জনকণ্ঠ ভবনে প্রবেশের আগে বিয়ামের গলিতে দেখি মা-মেয়ে ডাব বিক্রি করছেন। জানতে চাইলাম একদম কচি ডাব কত? মেয়ে বলল ১৩০ টাকা। অন্য ডাব ১৫০ টাকা। অফিসে এসে অনলাইন খুলে ডাবের দামে চোখ আটকে গেল। ২০০ পর্যন্ত উঠেছে!
রিসাদ মাহমুদ খানের প্রতিবেদন থেকে তুলে দিচ্ছি: ‘দেশব্যাপী চলছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। রাজধানীর বাজার, পাড়ামহল্লার রাস্তায় ডাবের বেচাকেনা বেড়েছে। বাড়তি তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চাহিদা বেড়েছে পানি ও পানীয় ফলে। তীব্র গরমে কিছু স্বস্তি পেতে ডাবের পানির ওপর ভরসা করেন অনেকে। তীব্র গরমে চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে ডাবের দাম। রাজধানীতে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের ডাবের দাম ১৮০-২০০ টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন দোকানিরা।
ছোট আকারের কচি ডাব কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। একটি ডাবে পানি মেলে গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার। বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি পর্যায়ে ডাবের দাম দুই সপ্তাহ ধরে ১০০টি ডাবে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদেরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে মূলত বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা, নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে বেশি ডাব ঢাকায় আসে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, গরমের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন দোকানিরা। এতে তাঁরা অসন্তোষ প্রকাশও করছেন।
রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, কৃষিবাজার, টাউন হল, বিমানবন্দর এলাকার হাজি ক্যাম্প ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, ডাবের দাম সর্বনিম্ন ১০০ টাকা। বড় আকারের ডাব (আধা লিটারের মতো পানি আছে বলে ক্রেতা বিক্রেতাদের দাবি) বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। আবার কেউ কেউ ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছেন। মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়; দরদাম করলে কোথাও কোথাও একটু কম রাখছেন কোনো বিক্রেতা।’
ক্স বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়। সমস্যা মনমানসিকতার। পাকিস্তান সৃষ্টির মূল কারিগর ছিল মুসলিম লীগ। আজকে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। জাসদও বড় দল ছিল। আজ কয়েক ভাগে বিভক্ত। ভাসানী-কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন ইউপিপিও বিলীন হয়ে গেছে। জনগণের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নেয় তারা এমনিতেই বিলীন হয়ে যায়।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্স সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগে ক্ষুব্ধ একদল শিক্ষার্থী অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় উপদেষ্টা দিনাজপুরের বিরল থেকে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন।
ক্স অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এবং রক্তাক্ত জুলাই আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্ম দেশব্যাপী ছাত্রদের গুছিয়ে নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা বিভক্ত ও দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহফুজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘কৈফিয়ত কিংবা বাস্তবতা’ শিরোনামে এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা
চার মাস বিদেশে চিকিৎসা শেষে গত মঙ্গলবার ৬ মে সকালে দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গুলশানে তাঁর বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত হাজারো নেতা-কর্মীর ঢল নামে। সপ্তাহের নির্বাচিত ছবিটি তারই দৃষ্টান্ত। এটি নেওয়া হয়েছে ইংরেজি দৈনিক দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড থেকে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সহজ করবে। আজ দেশের ও জনগণের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দিন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রীর আগমন আমাদের জন্য শুধু আবেগ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক শক্তির প্রকাশ।’
বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী, দলীয় নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই সড়কের পাশের ফুটপাতে অবস্থান নিতে শুরু করেন। ব্যানার-ফেস্টুন ও ফুল নিয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। অনেকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেন। কেউ আবার খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে ও মাথায় ব্যান্ড বেঁধে উপস্থিত হন।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন দলের নেতা-কর্মীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও মোতায়েন করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডনে যান। কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই আবার লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে যানজট ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলতে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলার অনুমতি দেওয়া হয় ওই দুটি যানকে। প্রতিটি যানের জন্য ২০ টাকা টোল আদায়ের কথা বলা হলেও এ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেনি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত যানজটের আশঙ্কা করেছিল পুলিশ প্রশাসন। তাই সাত দফা বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নেতা-কর্মীরা যাতে সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেন, সে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিএনপির মহাসচিব। কেউ যাতে সড়কে নামতে না পারেন, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।
১১ মে ২০২৫