ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংগ্রামী জীবনের প্রেক্ষাপট

নাজনীন বেগম

প্রকাশিত: ০১:০৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২; আপডেট: ০১:২৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

সংগ্রামী জীবনের প্রেক্ষাপট

.

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য রমণীয় সত্তা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা শুধু তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরিই নন, বরং আধুনিক ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশের যথার্থ স্থপতিও। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া এই সংগ্রামী দেশ গড়ার কর্ণধার একজন কৃতী রাজনীতিবিদের মর্যাদায়ও অভিষিক্ত। ৭৫ বছরের দীর্ঘ জীবন পার করা এই উদ্দীপ্ত নারীশক্তি বিপদে-সঙ্কটে যে মাত্রায় নিজের জীবনকে শাণিত ও সফল করেছেন তাও এক সুদীর্ঘ সংগ্রামের অনন্য ইতিবৃত্ত। সমৃদ্ধ জীবনের হরেক পালাক্রমে স্নেহ-মায়া-মমতায় বিজড়িত থাকা ছাড়াও দুঃসহ ক্রান্তিকাল পার করাও প্রতিদিনের ঘটনাপ্রবাহের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ অভিগমন। আবশ্যিকভাবে সবার আগে স্মরণ চেতনায় উঠে আসে এক তমশাচ্ছন্ন ঘোর অন্ধকার রাত্রির বীভৎসতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আবহমান বাংলার শ্রেষ্ঠ মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে অনাকাক্সিক্ষত দুর্যোগের ঘনঘটায় পরিবারসহ নৃশংসভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন, যা আজও বাঙালীকে রীতিমতো বেদনাহত করে।

তেমন জঘন্য ক্ষমার অযোগ্য জিঘাংসা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত একটি দেশ ২৪ বছরের শাসন-শোষণের রক্তাক্ত যাত্রাপথ পাড়ি দিয়ে মাত্র একটি নতুন ও আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যাশায় সামনের দিকে এগোনোর মহাপরিকল্পনায় তৈরি হচ্ছিল। অসময়ে নীল আকাশে ঘনকালো মেঘের গর্জনে সারা বাংলা যেভাবে কেঁপে উঠেছিল সেখান থেকে বের হয়ে আসতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। যাত্রাপথও ছিল কণ্টকাকীর্ণ। ইতিহাস বিকৃতির পালাক্রমে দেশ ও জাতির যে চরম স্খলন সেখানেও পদে পদে দুর্ভোগ আর দুঃশাসনের জগদ্দল পাথর। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রবল দাপটে লাল সবুজের পতাকা বিধ্বস্ত হওয়া ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লুণ্ঠিত হওয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স তখন মাত্র ২৮। পরবর্তী জন্মদিনগুলোতে কি অত আনন্দ আর খুশির বন্যা বয়ে যেত? ভাবাই যায় না। নীরবে, নিঃশব্দে, জমাটবাঁধা কান্নায় হৃদয়মন ভারি হয়ে থাকাও জন্মদিনের চরম দুঃসময়। ক্লান্ত, বিষণœ, বিমর্ষ, অবসন্ন কত শুভ জন্মক্ষণ তার যাত্রা পাড়ি দিয়েছে তার হিসাব জানি নেই। সরকারপ্রধানের শুভ জন্মদিনের পরম আনন্দের নতুন সময়টি যেন তার জীবনের প্রতি মুহূর্তে আলোকের ঝর্ণাধারার প্লাবন বয়ে যাবে এটাই তো ছিল স্বাভাবিক। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের সেই  রক্তস্নাত উন্মত্ততার দুঃসময়ে দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। তবে দৈবক্রমে মোটেও নয়, বরং ইতিহাসের অনিবার্যতাকে যথাস্থানে ফিরিয়ে দিতে সৌভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাই উত্তাল রক্তের বন্যা থেকে ছিলেন যোজন যোজন দূরে। বেঁচে যাওয়া দুই কন্যার পরবর্তী জীবন শুধু বাংলার সমৃদ্ধ ইতিহাসের অভাবনীয় যোগই নয়, নতুন যাত্রাপথে নব অধ্যায়ের আধুনিক বাংলাদেশের বরমাল্যও বটে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে চলার চরম সঙ্কটকাল থেকে শুরু করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভিন্নমাত্রায় দুঃসহ পথ ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনের আবর্তে পতিত হওয়া যেন মহাকালের অমোঘ নির্দেশ। ১৯৮১ সালে দেশের মাটিতে পা রাখার দুঃখজনক পালাক্রমে মূল্যবান জীবনটা কতভাবেই না দুর্যোগের চরম কোপানলে আবর্তিত হয়েছে। প্রতিদিনের জীবন শুধু সাদামাটাই নয়, বরং ভয়, শঙ্কা, আতঙ্ক আর লাঞ্ছনার এক অবিমিশ্র দুর্গম পথ। অসংহত এবং হাজারো সমস্যায় জর্জরিত দোদুল্যমান আওয়ামী লীগকে যথার্থ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কতই না কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে! সেখানে শুভ জন্মদিনের উৎসবে মেতে থাকার সময় সুযোগ কখনও কি পেয়েছেন? মা-বাবা হারানো এক অসহায় কন্যা তিনজন নিরপরাধ ভাইকেও যেভাবে নৃশংসতার বলি হতে দেখলেন সেটাও তো কোনদিনও ভুলে থাকার নয়। তাই শুভ জন্মদিন নিজের কখনই ছিল বলে মনে হয় না। বরং বাংলাদেশকে নতুন জীবন উপহার দিতেই জীবনের লড়াই-সংগ্রামের শেষ পরিশেষ থাকেনি।
একদিকে পিতৃ-মাতৃ হত্যার চরম যন্ত্রণায় বুকের মধ্যে দাবানল জ্বলছে, পাশাপাশি পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপায়ণও ভেতরের বোধে জেগে উঠছে। প্রয়োজন হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের মতো বিশাল সংগঠনটিকে নতুন মাত্রা দেয়াই নয়, বরং নেতৃত্বশূন্য জাতিকে আধুনিক যোগ্য কর্ণধার তৈরি করে দেয়াও আশির দশকে সময়ের অনিবার্য দাবি হয়ে যায়। সে সময় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির চরম আস্ফালনে দেশ শুধু ক্ষতবিক্ষতই নয়, বরং দিশেহারা, উদ্দেশ্যহীন এবং লক্ষ্যভ্রষ্টের উপক্রমও। সেখান থেকে এক দশকে অর্থাৎ ’৯০-এর পালাক্রমে শুধু নিজেকে তৈরি করাই নয়, দলকে সুসংহত করা ছাড়াও সুযোগ্য নেতৃত্বের আসনটি জনসমর্থনে নিয়ে আসাও। সবটা যেন একসঙ্গে অভিন্ন সুতায়  গেঁথেও যায়। আবহমান বঙ্গললনার চিরায়ত রূপ-শৌর্যের আধার বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনা নিজের ভাবমূর্তি আর বৈশিষ্ট্যে অটল থেকে নেতৃত্বের আসনে যে মাত্রায় অভিষিক্ত হলেন সেটাও এক অবিস্মরণীয় উপহার বাংলাদেশের জন্য। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাননি। শত প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা, হত্যার ষড়যন্ত্র সব কিছুকে অদম্য দুঃসাহসিকতায় দাপটের সঙ্গে অবজ্ঞা করে যেন সামনের দিকে শুধুই এগিয়ে গেলেন। ঝড়-ঝাপটা কম আসেনি জীবনে। থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বহুবার। মরণফাঁদ পাততেও কার্পণ্য করেনি অপশক্তি। সেসব ভ্রুক্ষেপও করলেন না কোনদিন।
সঙ্গত কারণেই ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের সমর্থন পাওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে যোগ্য নেতৃত্বের নতুন অভিযাত্রা। ২১ বছরের দুর্ভেদ্য জঞ্জাল পরিষ্কার করা অত সহজ এবং স্বাভাবিক ছিল না। পদে পদে প্রাণ সংহারের চরম বিপত্তি ছাড়াও শেকড় গেঁড়ে বসা স্বাধীনতাবিরোধীদের ধৃষ্টতাসহ মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় চেতনা লুণ্ঠিত হওয়া যেন কণ্টকাকীর্ণ পথযাত্রার অশুভ সঙ্কেত। দেশকে ভালবেসেছেন অকাতরে, নির্দ্বিধায়, নিরাসক্ত, নির্মোহ অফুরান প্রাণশক্তিতে। পিতার রেখে যাওয়া স্বপ্নের সোনার বাংলার হাল ধরা ছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তির নতুন বাংলা গড়ার প্রত্যয়ও ছিল অনমনীয়। সেভাবে এগিয়ে যেতে প্রথমেই নজর দিতে হয়েছে ১৫ আগস্টের পুরস্কৃত খুনী ও মদদদাতাদের শাস্তির প্রক্রিয়াকে আইনী রূপরেখায় নিয়ে আসা। শেখ হাসিনা দর্পভরে অনেক কিছু করতে পারতেন। পিতৃহত্যার বিচারের জন্য সরাসরি আইনী প্রক্রিয়া শুরু করতেও পারতেন। আগের দুঃশাসনকে অনুকরণ করে। যারা পরিবারসহ বঙ্গবন্ধুকে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে বাধ্য করে তারাই শেষ অবধি এ জঘন্য হত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে রুদ্ধ করতে নতুন আইনী কর্মযোগও শুরু করে। যা সভ্যতা সূর্য তার আলোকিত জগতে আগে দেখেনি কোনদিন। সেই কালো আইন ‘ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়, যা সারাবিশ্বের বিচারিক কার্যক্রমের এক বিষফোঁড়া।’ যা জোর-জবরদস্তিতে উপড়ে ফেলা কোন ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিকে নজর দিলেন না। বরং সুচিকিৎসায় বিষফোঁড়াকে অত্যন্ত সযতেœ মিশিয়ে দিলেন আইনী বৈধ প্রক্রিয়ায়। যার জন্য সময় লেগেছে অনেক। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন দেশ শাসন অধিকর্তা নিজের সহনশীলতা আর নীতি-নৈতিকতাকে সবার ওপরে স্থান দিয়ে। আইনী প্রক্রিয়াকেও যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান জানিয়ে।
ইতিহাস বিকৃতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে নতুন বাংলাদেশের নব অধ্যায় সূচনা জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় উপহারও বটে। তারপর শুরু হলো আবার এক জঘন্য আধিপত্যের দুঃসহ পালাক্রম। ২০০১ থেকে ২০০৬। এরই মধ্যে ঘটানো হলো সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা। ২১ আগস্টের সেই নৃশংস গ্রেনেড বিস্ফোরণ যেন ১৫ আগস্টের পুনরুত্থান! এবারও অলক্ষ্যে সর্বশক্তিমান হাসলেন। বিধি বাম হলো। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রীর চার পাশের নিকটজনের অনেকেই নৃশংসতার শিকার হলেও শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেন পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে। তবে তার কানে গ্রেনেডের যে আঘাত আসে তার ক্ষত এখনও তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে কানের যন্ত্রণা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন চলতে হবে।
সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার পথ কতবার যে বিধ্বংসী আকার নিয়েছে তার সাক্ষী তো বাংলার আপামর জনগণ। মূলত প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯৬-২০০০ সাল পর্যন্ত দেশের আবর্জনা উপড়ে ফেলা ছাড়াও সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকা- আইনী প্রক্রিয়ায় রূপ দিতে অনেকটা সময় শেষ হয়ে যায়। বিপরীত দিকে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা নানা মাত্রিক সমস্যার ফাঁদ পেতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতেও পিছপা হয়নি। মনে করা যেতে পারে গত শতাব্দীর অন্তিম লগ্নে দুর্ধর্ষ বাংলা ভাইয়ের উত্থান দেশের জন্য এক চরম হানাহানি ও বিপর্যয়ের দুঃসময়। মৌলবাদের অনাকাক্সিক্ষত অভ্যুদয়ে সারাদেশ বিপন্ন পরিস্থিতির প্রতিকূল পরিবেশে নিরাপদে, নির্বিঘেœ থাকতে রীতিমতো হিমশিম খাওয়ার অবস্থা। বর্তমানেও বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির খড়গহস্তের নির্মম শিকারে পরিণত হওয়াও জাতির জন্য যেন অমানিশার ঘোর অন্ধকার। ২০০৭ সালের জানুয়ারির ১১ তারিখে সেনা সমর্থিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বাংলাদেশকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। অনির্বাচিত সেই সরকার প্রায় দুই বছর তাদের শাসনকাল দীর্ঘায়িত করলে সংবিধান সুরক্ষায়ও বিপত্তি ঘটার উপক্রম ঘটে। সব কিছুকে সামাল দিতে গিয়ে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য হয়। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ বিজয়।
নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ তিনি পেলেন সেখান থেকে অদম্য গতিতে, ক্লান্তিহীনভাবে শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। পেছনে তাকানো কিংবা থমকে যাওয়ার কোন সুযোগই হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ৭৬ বছর জন্মবর্ষে এমন সব তথ্য কাহিনী অনিবার্যভাবেই চলে আসে। এক দুঃসাহসিক সংগ্রামী নারী কিভাবে তার যাপিত জীবনকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন জীবনের অভিযাত্রায় তাতে কত জন্মদিন যে চাপা পড়ে গেছে, তেমন শোক গাঁথা তো প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ে এখনও করুণ সুরে বেদনার ঝঙ্কার তোলে। পিতা-মাতা-ভাইদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তাদেরকে নৃশংস পৈশাচিকতায় নির্মমভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। জীবনভর ক্ষতবিক্ষত যন্ত্রণা নিয়ে জীবনটাকে এগিয়ে নিয়েছেন একা নন, আপামর বাঙালীকে সঙ্গে নিয়ে। মাথা উঁচু করে সামগ্রিক অশান্ত পরিবেশকে ঠান্ডা মাথায়, ধীরস্থির সামলে নেয়াও অনেক বড় কঠিন ব্রত। এখন অবধি সাফল্যের সঙ্গে সেসব পেরেই যাচ্ছেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে এবং উন্নয়ন কর্মের জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে দিয়ে আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে উজ্জীবিত হতে হবে।
লেখক : সাংবাদিক

×