দেলওয়ার হোসেন
বই প্রকাশনার জগতে মুক্তধারারার নাম কে না জানে। তারই কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা সেই নামেরই সমার্থক। তার সঙ্গে আমার আলাপ-পরিচয় ছিল না। ’৭১-এ সৈয়দপুরে গণহত্যা ও আমাদের পরিবারে ঘটে যাওয়া ঘাতক গোষ্ঠীর নৃশংসতার ঘটনা নিয়ে লেখা ২০২২-এর একুশে বইমেলার শেষদিনে প্রকাশিত আমার বই ‘৭১-এ সন্তানহারা এক মায়ের আত্মাহুতি, মোর নয়া মিয়া আর ফিরি আসপে না’ নিয়ে ভাবছিলাম দেশের বাইরে পাঠকদের হাতে বইটি পৌঁছানোর বিষয়ে।
মনে পড়ল বিশ্বজিত সাহার কথা। টেলিফোনে যোগাযোগ করলাম নিউইয়র্কে। সাগ্রহে সম্মতি দিয়ে বললেন, পাঠিয়ে দিন কিছু বই। সেইসঙ্গে জানালেন জুলাইয়ের ২৮ তারিখ থেকে অনুষ্ঠেয় চারদিনব্যাপী ৩১তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার কথা। বই পাঠাতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। ৩৬৮ পৃষ্ঠার ৫৬৪ গ্রাম ওজনের একটি বই ইউরোপ থেকে আমেরিকা পাঠানোর খরচ দাঁড়ায় সর্বনিম্ন ২৪০০ টাকা। ভারতে ১৫০০ টাকা। মাথায় বাজ পড়ল। এমন ধারণা ছিল না আমার। কম মূল্যে পাঠানোর অনেক বিকল্প খোঁজার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। অগত্যা মধুসূদন। বিশ্বদাকে জানালাম।
তিনি তার কন্টেনারের মাধ্যমে পাঠানোর কথা বললেন। তাতে কিছুটা সাশ্রয়ের সুযোগ পাওয়া গেল। প্রতি কেজি বই এক শ’ ডলার অর্থাৎ কম-বেশি এক হাজার টাকা। বিশ্বদা ঢাকা থেকে বই নিয়ে যাওয়ার পর আবার যোগাযোগ করলাম। তিনি এক পর্যায়ে বইমেলায় যোগ দেয়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করলেন। বললেন, রথ দেখা, কলা বেচা দুটোই হবে। মেলায় অন্যান্য লেখক-প্রকাশক ও পাঠকের সঙ্গে সরাসরি মেশার সুযোগ হবে। বিষয়টি বেশ ইতিবাচক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিলাম বইমেলায় যাব। জানালাম আশির দশক থেকে ঢাকায় সাংবাদিকতায় জড়িত সহকর্মী বন্ধু নিউইয়র্ক প্রবাসী আকবর হায়দার কিরণ ভাইকে। দুজনেই খুশি মনে স্বাগত জানালেন বইমেলায়।
মেলা শুরুর তিনদিন আগে ২৫ জুলাই স্টকহোম থেকে ফিনল্যান্ডের এয়ারলাইন ফিন এয়ারের ফ্লাইটে রওয়ানা হলাম নিউইয়র্ক। সরাসরি এ ফ্লাইটে সাড়ে সাত ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে। এ নিয়ে নিউইয়র্কে দ্বিতীয়বার আগমন। প্রথম এসেছিলাম ২০১৯-এর ডিসেম্বরে কানাডার মন্ট্রিয়ল থেকে, মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জায় সজ্জিত ক্রিস্টমাসের দিনে। সুইডেন বা গোটা ইউরোপই এমন মোহনীয় সাজে সজ্জিত হয় ক্রিস্টমাসে। তবে নিউইয়র্ক শহরের এই আলো ঝলমলে বাহার মনে হয়েছে অপরূপ।
তাই নিউইয়র্ক বারবার আসার আকর্ষণ তো ছিলই। বইমেলার ছুতোয় সুযোগ ঘটল দ্বিতীয়বার। এই সুযোগে আরও একটা কথা বলে রাখি, নিউইয়র্ক ছাড়া আরেক দেশের যে শহরটি আমার ভাল লেগেছে তা হলো তুরস্কের ইস্তানবুল। চিত্ত জুড়ানোর মতো প্রশান্তি দিয়েছে এই দেশ ও শহরটি। তাই নিয়মিতই আসি এই শহরে। স্বল্প মূল্যে ভ্রমণ, থাকা-খাওয়া, পছন্দসই জিনিসপত্র ইচ্ছামতো কেনাকাটার এক অপার আনন্দ, স্বস্তি ও স্বজন-বান্ধবের মতো নিশ্চিন্ত-নিরাপদ ও পরম স্বস্তিদায়ক পরিবেশ কার না ভাল লাগে!
সেদিক থেকে যন্ত্রের মতো ব্যস্ত মানুষের শহর নিউইয়র্ক এবং তারই মধ্যে আরেক বাংলাদেশ জ্যাকসন হাইটস ও জ্যামাইকা বাংলাদেশ থেকে দূর প্রবাসে মনের গহীনে স্বজন বিচ্ছিন্ন থাকার মানসিক যন্ত্রণা, হাহাকার, একাকীত্ব বোধের বাসা বাঁধার সুযোগ অনুপস্থিত বললেই চলে। বাঙালীর দৈনন্দিন জীবনে শোণিতের প্রবাহে এখানে নিরন্তর বইছে বাংলাদেশের মাটি, মানুষ ও জীবন প্রকৃতির উষ্ণ স্পন্দন। বেশি কিছু বর্ণনার সুযোগ নেই।
শুধু এটুকু বললেই বোঝা যাবে– বাংলাদেশের মতো গা ঘেঁষা দোকানপাট, অলি-গলি, দোকান ও ফুটপাথে হাজার পণ্যের সাজানো-গোছানো পসার, গাড়ি-ঘোড়া, বেশুমার বাঙালী বা মানুষজনের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীন আনাগোনা, সরব উপস্থিতি, কোলাহল আর রাস্তার ওপর বা দোকানের সামনে মধু মাসে আম-কাঁঠাল ও নানা জাতের ফলমূলের বিপুল সমাহার কেউ এই শহরে না এসেও ছবিতে দেখলেই খুঁজে পাবে বাংলাদেশকে।
সরাসরি জ্যাকসন হাইটসের কাছেই উডসাইডের পাশে উঠলাম কুইনস হোটেলে। বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় অতিথি হওয়ার আগ্রহ আমার স্বভাবে একেবারেই নেই। শত অনুরোধ সত্ত্বেও কারও অনুরোধের ঢেঁকি গিলিনি। তবে হোটেলের একটা বিষয়ে বেশ খটকা লাগল। সকালে নাস্তার ব্যবস্থা নেই। ইস্তানবুলের খুব সস্তা দরের মামুলি হোটেলগুলোতেও চোখ ধাঁধানো নাস্তার বিপুল সমাহার দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। একটি উন্নত দেশের হোটেলে এই ব্যবস্থা না থাকা স্বাভাবিকভাবেই আমাকে বিস্মিত করেছে।
দৈনিক ১২০ ডলার ভাড়ার এই হোটেলে নেই রুম সার্ভিসও। হোটেলজুড়ে চীনা আদলের স্টাফগুলোর আচরণও গেস্টবান্ধব নয় এবং অদক্ষ। সেবার মান নিম্ন পর্যায়ের। রুমের শাওয়ার সিস্টেম অদ্ভুত ও জটিল। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান দেশের যে সবকিছুই উন্নত মানের তা ভাবার কারণ নেই। যা হোক, বইমেলায় যোগ দেয়ার আনন্দে এসব বিড়ম্বনা তেমন মনঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি।
আগের মতো এবার বইমেলা বাঙালীর মিলনমেলার প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসে হয়নি। করোনা বিষয়ক জটিলতার কারণে এবার মেলা ২৮ জুলাই বৃহস্পতি, শুক্র ও রবিবার এই তিনদিন অনুষ্ঠিত হয়েছে দূরে জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে, বেলা ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। তবে রবিবার ছিল ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মেলার স্থান ছিল পাশেই জ্যামাইকা সেন্টার ফর আর্টস এ্যান্ড লার্নিং ভবনে। এদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারিনি বাঙালী রেস্টুরেন্টের খাবার খেয়ে পেটের পীড়ায় ভোগার কারণে।
এছাড়া বাকি তিনদিনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই যোগ দেয়ার সুযোগ হয়েছে। মেলার প্রথম স্থানটি ছিল বইমেলার জন্য একটি অত্যন্ত উপযোগী স্থান। বিশাল খোলামেলা প্রাঙ্গণ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম। বিশাল মঞ্চ, কয়েক শ’ লোকের বসার আসনযুক্ত ভবনটি নানা অনুষ্ঠানসূচীতে বিভক্ত। দুপুর এবং বিকেল থেকে সমবেত স্বতঃস্ফূর্ত লোক সমাগমে ছিল পরিপূর্ণ। মেলা প্রাঙ্গণও ছিল তেমনই, যেন প্রবাসে বাঙালীর এক মিলনমেলা– নিউইয়র্কে আরেক বাংলাদেশ। আমার কাছে মনে হয়েছে জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলা একাডেমির বইমেলার যে আয়োজন এবং লোকসংখ্যা ও পাঠক-ক্রেতার সমাগম ঘটে, প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিলে নিউইয়র্কের বইমেলা প্রায় তার সমকক্ষ হওয়ার গৌরব রাখে।
মেলায় বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছিল স্বনামখ্যাত ১৩ জন প্রকাশক বা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান- অঙ্কুর, অন্বয়, অনন্যা, আকাশ, ইত্যাদি, কথাপ্রকাশ, কাকলী, নালন্দা, প্রথমা বাতিঘর, সময়, স্বদেশ শৈলী এডর্ন এবং আমেরিকা থেকে মেলার আয়োজক মুক্তধারা, ঘুংঘুর, ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন্স, ছড়াটে, পঞ্চায়েত, বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব, কালের চিঠি ও তিন বাংলা।
মেলায় দেশ-প্রবাসের নতুন ও পুরনো লেখক-লেখিকার বইয়ের সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার। উল্লেখযোগ্য খ্যাতিমান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র, বাংলাদেশ থেকে ড. আনু মুহাম্মদ, বিরুপাক্ষ পাল, কবি আসাদ মান্নান, ড. হুমায়ুন কবির, শিল্পী লায়লা হাসান, শিল্পী রিজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ।
উদ্বোধনী দিনে অত্যধিক তাপমাত্রায় গলদঘর্ম হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেভাগেই গিয়ে পৌঁছলাম মেলা প্রাঙ্গণে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়ামের রিসেপশনে প্রবেশ করতেই চেয়ারে বসা চার গুণীজনকে পেয়ে গেলাম। তাদের মধ্যে ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবী, মেলার আহ্বায়ক গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। সুইডেন থেকে মেলায় যোগ দিতে আসার কথা জেনে দুজনই অত্যন্ত আনন্দচিত্তে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন। পরে পেলাম বিশ্বজিত দাকে। তিনি বুকে জড়িয়ে ধরে তার অপার আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। আমি একজন নিতান্তই অপরিচিত ও অখ্যাত মানুষ- ভীষণভাবে সম্মানিতবোধ করলাম। এই সম্মানটা মেলার সঙ্গে যুক্ত অনেকের কাছ থেকেই শেষ দিন পর্যন্ত পেয়েছি।
মেলায় কানাডা, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছিলেন অসংখ্য কবি, লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক ও বইপ্রেমী। তাদের অনেকেই এসেছেন তাদের প্রকাশিত বই নিয়ে। বই বিক্রির আনন্দ যতটুকু ছিল তার চেয়ে মেলায় যোগ দেয়ার আনন্দটাই যেন ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ, বহু পরিচিত-অপরিচিত মানুষ, বন্ধু ও স্বজনের সঙ্গে বহুদিন পর দেখা, কারও সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত হওয়া– যোগসূত্র তৈরির সুযোগ হওয়ার বিষয়টিই ছিল পরম আনন্দের। এমন সুযোগ তো মেলা ছাড়া আর অন্য কিছুতে ঘটে না।
আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। অনেক পরিচিতজন, বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর। তাদের মধ্যে রয়েছেন রথীন্দ্রনাথ রায়, বেলাল বেগ, লায়লা হাসান, আকবর হায়দার কিরণ, লুৎফর রহমান রিট্ন, জসিম মল্লিক, সালেম সুলেরী, জনকণ্ঠের প্রাক্তন সহকর্মী দম্পতি মনিজা রহমান ও মনির হায়দারসহ আরও অনেকের সঙ্গে।
নতুন যাদের সঙ্গে পরিচয় ও অন্তরঙ্গতা হলো সেই প্রাপ্তির মূল্য কি নিরূপণ করা যায়? এছাড়া আমার লিখিত বইয়ের সুবাদে মেলায় আগত মানুষেরা আমাকে এবং আমার বইকে চেনার-জানার এবং সামনাসামনি দেখার যে সুযোগ পেল তার কোন বিকল্প রাস্তা ছিল না। বিভিন্ন পর্বে নানা বিষয়ে মঞ্চে সম্মানিত আলোচকের প্যানেলে বসে বক্তব্য রাখার, নিজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার, নিজের স্বরচিত কবিতা পাঠ করার এবং অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে নিজের বই সম্পর্কে দুটি কথা বলার যে সুযোগ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে তা আমাকে এই মেলার কাছে ঋণী করে রেখেছে। লেখার উৎসাহ বাড়িয়েছে। আরও বই প্রকাশ ও মেলায় বারবার যোগ দেয়ার আগ্রহকে তীব্র করে তুলেছে।
বইমেলার শেষ দিনে সম্মানিত প্যানেল আলোচকদের মধ্যে লেখক হিসেবে আমাকে বলতে বলা হয়েছিল আমার বই সম্পর্কে। সে বিষয়ে বেশিক্ষণ বলার সুযোগ না থাকলেও বলেছি এবং বলেছি সোজাসাপ্টা ভাষায়– একটি মাত্র বই লিখে লেখক হওয়া যায় না। আর নিজের নামের সঙ্গে সেই পরিচয়ও যুক্ত করতে চাই না। বইটি লিখেছি শুধু দায়বদ্ধতার কারণে। সেই দায়বদ্ধতার কথাই বলেছি এখানে।
আমার বাবা ছিলেন একজন স্বাধীনতাকামী অকুতোভয় মানুষ। কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে গিয়ে ছাত্র রাজনীতির প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে মেডিক্যাল কলেজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকেন। ’৪৬ সালের দাঙ্গায় সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলেন। তার মূল্য তাকে দিতে হয়েছে কড়ায় গণ্ডায়। সেই ইতিহাস লেখা হয়েছে আমার বইয়ে।
দেশ বিভাগের পর ’৬৬ সালের ৬ দফা থেকে শুরু করে জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে ধাপে ধাপে সংঘটিত আন্দোলন ও সংগ্রামে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তিনি পালন করেছেন সোচ্চার ভূমিকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনের খবর জানার পর নিজে আমাকে সঙ্গে নিয়ে দর্জির কাছে গিয়ে অনেক পতাকা তৈরি করে এনে এলাকার বাঙালীর ঘরে ঘরে বিতরণ করেন। এলাকায় ৮ মার্চ এই পতাকা উত্তোলন করা হয় আব্বার ডিসপেনসারি জাহাঙ্গির মেডিক্যাল হল ও আমাদের সরকারী বাসার ছাদের ওপর।
বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলন এবং ৭ মার্চের ভাষণের নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন আব্বা। ঘরের সামনে দুর্গ খুঁড়ে তোলা এবং প্রাণের ভয়ে বিহারি অধ্যুষিত এলাকা ছেড়ে সংখ্যালঘু বাঙালীদের বাড়িঘর ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে বাধা দিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য সংগঠিত করার কাজে লিপ্ত হন তিনি।
(বাকি অংশ আগামী শুক্রবার)
লেখক : সুইডেন প্রবাসী সাংবাদিক
স্টকহোম, ১১ আগস্ট, ২০২২