ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ॥ উন্নত বাংলাদেশের রূপরেখা

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২৯ এপ্রিল ২০২২

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ॥ উন্নত বাংলাদেশের রূপরেখা

বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। প্রকল্প ঋণের জন্য কোন একক দেশ বা সংস্থার ওপর নির্ভরশীল নয় বাংলাদেশ। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিটেন্স এবং রফতানি আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক অর্জনের মধ্যে একটি বড় অর্জন হলো তিনটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, যা ষষ্ঠ (২০১১-১৫), সপ্তম (২০১৫-২০) ও অষ্টম (২০২০-২৫) পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (২০১৫-২০২০) বাস্তবায়নকাল শেষ হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাসে। সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫) ঘোষণা করেছে ২ ডিসেম্বর, ২০২০ পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত একনেক সভার অনুমোদনের মাধ্যমে এবং এ সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। নতুন মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা এমন এক সময় শুরু হয়েছে যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট অর্থনীতির ওপর নানাভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এরই মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ের নানা গবেষণা এবং জরিপ বলছে করোনার কারণে দেশে দারিদ্র্যের হার ক্রমাগতহারে বেড়েই চলেছে এবং দারিদ্র্যের প্রেক্ষাপটকে পাল্টিয়ে দিয়েছে। কোভিড-১৯ করোনা এসে সবকিছু এলোমেলো করে দেয়। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময় দেশের বেশ কিছু অর্জন হয়েছে এবং বর্তমান সরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক তৈরি করতে পেরেছে, যা পূর্ববর্তী সরকার দ্বারা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকারের কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জনের আওতার মধ্যে রয়েছে : নি¤œ আয়ের দেশ থেকে নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শ্রেণী থেকে বের হওয়ার শর্ত পূরণ, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি (৫.২৪%), এক কোটি মানুষের দারিদ্র্য পরিস্থিতির উন্নয়ন, অনুকূলে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, নি¤œ মূল্যম্ফীতি (৫.৬%), সন্তোষজনক রিজার্ভ (৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), মাথাপিছু আয় (২৫৯১ মার্কিন ডলার) এবং টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার। গত পাঁচ বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১০ শতাংশ, বিদ্যুত উৎপাদন বেড়েছে ৪১ শতাংশ, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে ১২ শতাংশ, নারীর প্রতি বৈষম্যের সূচকে এসেছে লক্ষণীয় অগ্রগতি ও অতিমারীজনিত বিপর্যয়কর প্রভাবকে তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে দেশ সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে যাবে। আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় সরকার। এর মধ্যে ৮১ লাখ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে দেশের ভেতরে। ৩২ লাখ মানুষ যাবে দেশের বাইরে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের জন্য এ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। যেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় উত্থাপন করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। ২০২০ সালের জুনের আগে এটি অনুমোদনের কথা থাকলেও করোনার কারণে সব পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই করোনার পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে এ পরিকল্পনা সাজানো হয়। জিইডির তথ্য বলছে, দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। সেটি ২০২৫ সালের মধ্যে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০২৫ সালের মধ্যে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে নতুন পাঁচসালা পরিকল্পনায়। সরকার আশা করছে, বিগত অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশ অর্জিত হলেও চলতি অর্থবছর শেষে তা ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ধীরে ধীরে দেশের অর্থনীতির অবস্থার উন্নতি ঘটবে। এরপর প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে ৮.২২ থেকে ৮.৫১ শতাংশে উন্নীত হবে। দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্থবির থাকলেও সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে বিনিয়োগকে মোট জিডিপির ৩৭ শতাংশে উন্নীত করতে চায়। এর মধ্যে বেসরকারী বিনিয়োগ উন্নীত করা হবে ২৮ শতাংশে, বর্তমানে যেটি সাড়ে ২৪ শতাংশে রয়েছে। আর সরকারী খাতের বিনিয়োগ ৮ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা। দেশে এখন মোট সরকারী-বেসরকারী বিনিয়োগ জিডিপির সাড়ে ৩১ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে। ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন) চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে মোট ৬৪ হাজার ৯৫৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিদেশী উৎস থেকে আসবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। এ অর্থের সংস্থান প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগে অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর নির্ভর করা হচ্ছে। এটি প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ঠিক বিপরীত। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৮৮ শতাংশ বিদেশী অর্থায়ন এবং ১২ শতাংশ দেশীয় অর্থায়নের ওপর নির্ভর করা হয়েছিল। এবার তার বিপরীত দৃশ্য দেখা যাবে। এদিকে মোট বিনিয়োগের মধ্যে সরকারী খাত থেকে আসবে ১২ হাজার ৩০১ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকা, যার আকার ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, আর বেসরকারী খাত থেকে আসবে ৫২ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন টাকা, যার আকার ৮১ দশমিক ১ শতাংশ। পরিকল্পনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অষ্টম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ লাখ ৫ হাজারের কর্মসংস্থান হবে বিদেশে। এই সময়ে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ০১ মিলিয়ন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ দশমিক ২৬ মিলিয়ন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে সরকার। বিবিএসের রিপোর্ট তুলে ধরে জানানো হয়, এ সময় ১৮ থেকে ১৯ লাখ লোক বছরে শ্রমবাজারে যুক্ত হবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সবার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ননীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) গত ১৫ মার্চ এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটি সূচকের যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও তিনটি সূচকের মানদ-েই উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ- যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়ার ইতিহাস। সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের এ রূপান্তরের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় আপন মহিমায় স্থান করে নেয়া একজন বিচক্ষণ সফল রাষ্ট্রনায়ক। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতি হিসেবে আমাদের জন্য গৌরবের। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই উন্নয়নের সকল ধাপ অতিক্রম করে বাংলাদেশ খুব দ্রুত পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে শামিল হবে এক কাতারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গত দুই মেয়াদে বিদ্যুত খাতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুত খাতের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। সারাদেশে শতভাগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত নিশ্চিতে বিদ্যুত খাতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। তা আজ বাস্তব। দেশে এখন ৯৯.৫০% মানুষ বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছে, যা অকল্পনীয়। সবই সম্ভব হয়েছে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী গণমানুষের নেত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বের কল্যাণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর বিদ্যুত পায় ছিটমহলবাসী। এতে ছিটমহলের ৩০৮ কিলোমিটার বিদ্যুত লাইন নির্মাণের ফলে ১১ হাজার ৮৮২টি পরিবার বিদ্যুত পেয়েছে। সম্প্রতি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপও বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায়। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২৫ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নিয়ে আসা হবে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। টেকসই উন্নয়ন গোল (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকারের আলাদা কোন পরিকল্পনা নেই। এই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাই হবে এসডিজি বাস্তবায়নের ভিত্তি। বছরে গড় জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ হারে ও মেয়াদান্তে হবে ৮.৫১ শতাংশ। মেয়াদান্তে দারিদ্র্যের হার ১৫.৬ শতাংশে ও অতি দারিদ্র্যের হার ৭.৪ শতাংশে দাঁড়াবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ১১.৩৩ মিলিয়ন, যার মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান হবে ৩.২৫ মিলিয়ন এবং শ্রমবাজারে যুক্ত হবে ৭.৮১ মিলিয়ন শ্রমশক্তি। কর-জিডিপির অনুপাত হবে ১২.৩ শতাংশ। এ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদান্তে প্রত্যাশিত গড় আয়ু হবে ৭৪ বছর। ইতোমধ্যে শতভাগ জনগণকে বিদ্যুত সেবার আওতায় আনা হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) নিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে, যেখানে রয়েছে গুণগত শিক্ষা, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট সাময়িক বেকারত্ব ও বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা আনয়ন, আয়বৈষম্য কমানো, সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলা, টেকসই নগরায়ণ, সরকারের ‘আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প’ বাস্তবায়ন ইত্যাদি। তাছাড়াও রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং বাণিজ্য শুল্কের ওপর নির্ভরতা কমাতে এই দুই লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজস্ব আইন আরও বেশি সংস্কারের মাধ্যমে কর প্রশাসনকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। খাতওয়ারি বিভাজনে দেখা যায় যে, দেশের অভ্যন্তরে ৮৪.২০ হাজার এবং প্রবাসে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান ধরা হয়েছে, যা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যের তুলনায় ১০ লাখ কম। লেখক : ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
×