
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ভয়াবহ ঘটনায় দেশের মানুষ শোকাহত। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের ছাদে আছড়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ২২ জন নিহত এবং অন্তত ১৭১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে ছিলেন সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নায়না। ভীতিকর সেই মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “প্রতিদিনের মতো ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ ছিলাম। ছুটি শেষে মূল গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। কানে হাত দিয়ে ভয়ে আবার কলেজের ভেতরে ফিরে যাই। চোখ খুলে দেখি—চারপাশ ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে, সবাই দৌড়াচ্ছে। আমি স্তব্ধ হয়ে যাই।”
নায়না আরও বলেন, “সবার মুখে আতঙ্ক, কাউকে চিনতে পারছিলাম না। তখনই শুনি—একটা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি আবার গেটের দিকে দৌড়াই, কিন্তু আমার বন্ধুদের কাউকেই খুঁজে পাই না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। তারা আমাদের নিরাপদে বের করে আনেন।”
ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে নায়না বলেন, “বাইরে এসে গোলচত্বরে দাঁড়াই। তখন বাবা-মায়ের কথা মনে পড়ে প্রচণ্ড কান্না শুরু হয়। নিজের চোখে দেখেছি—একটার পর একটা মরদেহ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী আহত বা নিখোঁজ ছিল। বাসায় ফিরে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। মনে হচ্ছিল, কেন এমন হলো!”
এমন অসংখ্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের চোখে এ দুর্ঘটনা হয়ে উঠেছে এক দুঃসহ স্মৃতি। ঘটনায় দগ্ধ ভবন, পোড়া গন্ধ ও অজস্র চোখের জল মিলে দিয়াবাড়িকে রূপ দিয়েছে এক শোকাবহ প্রান্তরে।
আবির