
ছবি: জনকণ্ঠ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর মধ্য দিয়ে বহমান যমুনা নদীতে চায়না দোয়ারি জালদিয়ে অবাদে চলছে মাছ নিধন। প্রশাসনের তদারকি ও সচেতনতার অভাবে এভাবেই প্রতিদিন হাজার হাজার চায়না দোয়ারি জালের ফাঁদ পেতে নদী থেকে সকল প্রজাতির মাছ নিধন করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
নদীর তীরে গিয়ে দাঁড়ালেই দেখা যায় নদীর বুকে হাজার হাজার বাঁশের খুঁটি। প্রতিটা খুঁটি একেকটা ফাঁদ। যে ফাঁদের কবলে পড়ে নদী মাছশূন্য হচ্ছে, হারাচ্ছে তার জীববৈচিত্র্য।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার আওনা ও পিংনা ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে বহমান যমুনা নদীতে এই ফাঁদ পেতে নিয়মবহির্ভূতভাবে অবাধে মাছ নিধন করছে। চায়না জাল এমন একটি ফাঁদ আশেপাশে ছোট, বড়, মাঝারি যে কোন ধরনের মাছ থাকলে যে ফাঁদে ঢুকতেই হবে।
শুধু মাছই নয় কাঁকড়া, শামুক, উপকারি পোকাসহ যেকোন জলজপ্রাণী থাকলে সেই ফাঁদে আটকে যাবে। এতে নদীতে মাছতো থাকবেইনা কোন জলজ প্রাণীও থাকবে না। একেকটা জালের দৈর্ঘ প্রায় ৫০-১০০ ফুট। নদীর তীর কিংবা মাঝ কোথাও ফাঁকা নেই। দেশ থেকে এই চায়না দোয়ারী জাল নিধন না করা হলে ভবিষ্যতে নদীতে পানি ছাড়া অন্য কোন প্রাণী থাকবে না বলেও জানান অনেকেই।
অপরদিকে নদীতে নতুন পানির আগমনের সাথে সাথে পানিতে জন্ম নেয় মাছের রেনু। একটি চক্র সেই রেনু নিধনেও নেমেছে। রাত দিন সব সময় নদীর বুকে নৌকা ও রেনু নিধনের জাল নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সচেতন মহলের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব নদীর মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ সকল অবৈধ ফাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং নির্মুল না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্মে আমিষের চাহিদা পূরনে অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবযানী ভৌমিক জানান, এ বিষয়ে আমরা খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নিবো।
আবির