
পুত্রশোকে পাথর হয়ে গেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ট্রেনিং বিমান দুর্ঘটনায় নিহত আব্দুল্লাহ ছামীর মা জুলেখা বেগম। মাত্র সাত মাস আগে সৌদি আরবে মারা যান তাঁর স্বামী আবুল কালাম মাঝি। একে একে স্বামী ও সন্তানের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শরীয়তপুরের সখিপুরের ডিএমখালী ইউনিয়নের মাঝিকান্দি গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে পিতার পাশে দাফন করা হয় আব্দুল্লাহ ছামীকে। এর আগে চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, এই বছর ডিএমখালীর আবুল কালাম মাঝির ছেলে আব্দুল্লাহ ছামীকে (১২) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। এর আগে সে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত এবং ১৮ পারা কোরআন হিফজ করেছিল। বাবার মৃত্যুর পর মা জুলেখা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হওয়া আব্দুল্লাহ ছামীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় ডিএমখালী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চলছে স্বজনদের আহাজারি। আব্দুল্লাহর মামাতো ভাই আব্দুল বারেক ও প্রতিবেশীরা জানান, ছামী ছিল শান্ত স্বভাবের, ভদ্র এবং মেধাবী। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করার। অথচ আগুনের লেলিহান শিখা সেই স্বপ্নকে পুড়িয়ে দিল।
ছেলের বিভিন্ন স্মৃতি স্মরণ করে বারবার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছেন মা জুলেখা বেগম।
এছাড়াও, একই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও তাঁর কন্যা। তাঁদের বাড়িও শরীয়তপুরের সখিপুরে। তবে তাদের মরদেহ এখনো এলাকায় পৌঁছায়নি।
নুসরাত