ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

যেসব ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২২ জুলাই ২০২৫

যেসব ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

এক ভয়াল দিনের সাক্ষী হলো ঢাকার উত্তরা। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের ক্লাসরুমে আছড়ে পড়লো একটি সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে ছারখার হলো কবুলমতি শিশুদের নিষ্পাপ দেহ। দগ্ধ শরীরে ছুটে বেড়ানো শিশুদের ছবিগুলো গোটা দেশকে নাড়া দিয়ে গেছে।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেবল একটি দুর্ঘটনাই নয়—এটি এক অবর্ণনীয় ট্র্যাজেডি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশে অতীতেও ঘটেছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা
নিচে তেমন কিছু দুর্ঘটনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

৫ আগস্ট ১৯৮৪
সেদিন খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান।
এতে ৪ জন ক্রু ও ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন।

২২ ডিসেম্বর ১৯৯৭
৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়।
ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে, কুয়াসার কারণে বিমানটি রানওয়ে থেকে সাড়ে কিলোমিটার দূরে উমেরগাঁও গ্রামের ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়।
এই ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হন।

৮ অক্টোবর ২০০৪
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফের দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৬০১ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল।
অবতরণের পর রানওয়ে ভেজা থাকায় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে পড়ে।
এতে ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে ২ জন যাত্রী আহত হন।

আগস্ট ২০১৫
সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে আরও এক দফা দুর্ঘটনা ঘটে।
দুবাই থেকে সরাসরি আসা উড়োজাহাজে ২২২ জন যাত্রী ছিলেন।
বিজি ৫২ বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে পড়ায়, ইঞ্জিনের চারটি ব্লেড ভেঙে যায় ও ইঞ্জিন বিকল হয়।
সকাল ৭টায় অবতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।
তবে সেদিন সবাই প্রাণে বেঁচে যান।

৯ মার্চ ২০১৫
কক্সবাজার উপকূলে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়।
ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন।
উড্ডয়নের মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি সাগরে পড়ে যায়।

১২ মার্চ ২০১৮
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়।
৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুবাহী বিমান থেকে ১৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন।

এইসব দুর্ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আকাশপথের ভরসা নিরাপদ হলেও ত্রুটির একটুখানি জায়গা প্রাণহানি ডেকে আনতে পারে।
উত্তরার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের ফের ভাবতে বাধ্য করছে—নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত ত্রুটির জবাবদিহি কোথায়?

এক ভয়াল দিনের সাক্ষী হলো ঢাকার উত্তরা।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের ক্লাসরুমে আছড়ে পড়লো একটি সামরিক প্রশিক্ষণ বিমান।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুড়ে ছারখার হলো কবুলমতি শিশুদের নিষ্পাপ দেহ।
দগ্ধ শরীরে ছুটে বেড়ানো শিশুদের ছবিগুলো গোটা দেশকে নাড়া দিয়ে গেছে।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কেবল একটি দুর্ঘটনাই নয়—এটি এক অবর্ণনীয় ট্র্যাজেডি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশে অতীতেও ঘটেছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা
নিচে তেমন কিছু দুর্ঘটনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

৫ আগস্ট ১৯৮৪
সেদিন খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয় একটি বিমান।
এতে ৪ জন ক্রু ও ৪৫ জন যাত্রীসহ সবাই নিহত হন।

২২ ডিসেম্বর ১৯৯৭
৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়।
ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে, কুয়াসার কারণে বিমানটি রানওয়ে থেকে সাড়ে কিলোমিটার দূরে উমেরগাঁও গ্রামের ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়।
এই ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী আহত হন।

৮ অক্টোবর ২০০৪
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফের দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৬০১ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল।
অবতরণের পর রানওয়ে ভেজা থাকায় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে পড়ে।
এতে ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুর মধ্যে ২ জন যাত্রী আহত হন।

আগস্ট ২০১৫
সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়েতে আরও এক দফা দুর্ঘটনা ঘটে।
দুবাই থেকে সরাসরি আসা উড়োজাহাজে ২২২ জন যাত্রী ছিলেন।
বিজি ৫২ বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিনে পাখি ঢুকে পড়ায়, ইঞ্জিনের চারটি ব্লেড ভেঙে যায় ও ইঞ্জিন বিকল হয়।
সকাল ৭টায় অবতরণের সময় এই ঘটনা ঘটে।
তবে সেদিন সবাই প্রাণে বেঁচে যান।

৯ মার্চ ২০১৫
কক্সবাজার উপকূলে একটি কার্গো বিমান বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়।
ঘটনায় পাইলটসহ ৩ জন নিহত হন।
উড্ডয়নের মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিমানটি সাগরে পড়ে যায়।

১২ মার্চ ২০১৮
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুবাহী বিমান থেকে ১৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন।

এইসব দুর্ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আকাশপথের ভরসা নিরাপদ হলেও ত্রুটির একটুখানি জায়গা প্রাণহানি ডেকে আনতে পারে।

উত্তরার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাদের ফের ভাবতে বাধ্য করছে—নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত ত্রুটির জবাবদিহি কোথায়?

শেখ ফরিদ 

আরো পড়ুন  

×