ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহের প্রেক্ষিতে বিডার অবস্থান জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৭ মে ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৫, ২৭ মে ২০২৫

বিদেশি ও যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহের প্রেক্ষিতে বিডার অবস্থান জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে একটি শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। তিনি তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, “বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জনসম্মুখে মন্তব্য করার আগে সঠিক তথ্য জানা জরুরি।”

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিডা কেবলমাত্র G2G প্রকল্পে কাজ করছে এবং গত আট মাসে দেশে নতুন কোনো বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি। এছাড়া বিডা দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “অক্টোবর ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশে নেট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৭৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রায় ৯,২৪৭ কোটি টাকা।”

তিনি আরও জানান, বিগত নয় মাসে বিডা ৭৩৯টি শিল্প প্রকল্প নিবন্ধন করেছে, যার মধ্যে ৬৬টি শতভাগ বিদেশি এবং ৬১টি যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প। এছাড়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ১৬টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জমি ইজারার চুক্তি করেছে, যার মধ্যে ৬টি শতভাগ বিদেশি ও ৩টি যৌথ বিনিয়োগ। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ৩১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

সব মিলিয়ে প্রস্তাবিত বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২,২২০ কোটি টাকা, যা দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “বিদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য শুধু বিভ্রান্তি তৈরি করে না, বরং দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে কেউ বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করে নেবেন।”

তিনি আরও জানান, বিডা বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে কাজ করছে। ২০২৫ সালের বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বিভিন্ন খাতভিত্তিক সেশন ও B2B নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

আগামী সপ্তাহে চীনের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ইলেকট্রনিক্স খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১০০টির বেশি B2B বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আসিফ মাহমুদ তাঁর পোস্টে আরও বলেন, “প্রস্তাবিত বিনিয়োগ পরিপক্ব হতে সময় নেয়, যা একটি স্বীকৃত বাস্তবতা। বিনিয়োগকারীদের সহায়তা প্রদান বিডার অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার এবং আমরা দেশি-বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চালিয়ে যাবো।”   

আসিফ

×