মাসুদ কামাল উত্তেজিত হয়ে পোস্ট দিয়েছেন: প্রেস সেক্রেটারি

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশোতে উপস্থাপক প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে প্রশ্ন করেন, “সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল এরপর একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আমি কোট আনকোট করেই বলি—লিখেছেন, ‘এভরিথিং’ নিয়ে কোশ্চেন মার্ক করে একজন সরকারি কর্মচারী এই ভাষায় কথা বলতে পারেন নাকি? এটাও সেই ‘এভরিথিং’ আর সংস্কারের মধ্যেই পড়ে? আচ্ছা, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার তো বিদায় হয়েছে। আসলেই হয়েছে কি?”

এর জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “একটা স্বৈরাচারকে আপনি কেমনে মাপেন? তার কথা দিয়ে মাপেন নাকি তার কাজ দিয়ে মাপেন? আপনি স্বৈরাচার… আমি একটা কথা বললাম। আমার কথাটা কি আপনার মনে হয়েছে? আমি অ্যারোগ্যান্ট ছিলাম? আপনি তো শুনেছেন, আমি কনফিডেন্টলি বলেছি যে আমাদের ম্যান্ডেট আছে—এভরিথিং—and আমি এটা আপনাকে বলেছি।”

তিনি বলেন, “এটা ‘এভরিথিং’ বলার কারণে আমি আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে কথা বলেছি, আমাদের লয়ারদের সাথে—যারা আমার লয়ার বন্ধুবান্ধব। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে পুরো এক্সপ্লেনেশন নিয়েছি। উনার যদি মনে হয় যে না, আমার ‘এভরিথিং’ নাই, উনি অনেক লয়ারের সাথে কথা বলতে পারেন, তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন অপিনিয়ন। আমরা আমাদের সরকারের যিনি প্রধান লয়ার তার সাথেও আমি কথা বলেছি।”

প্রেস সচিব আরও বলেন, “উনি (মাসুদ কামাল) যেটা বলছেন—একটা স্বৈরাচার… এইভাবে একটা স্বৈরাচার… আপনি মাপেন কিভাবে? স্বৈরাচার তার কাজ দিয়ে মাপেন। সে মানুষের মুখ বন্ধ করে ফেলে। যে তাকে ক্রিটিসাইজ করে তাকে ঘুম করে, তাকে খুন করে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনার আমলে আপনার বিএনপি, জামাত—এদের ৫০-৬০ লক্ষ লোককে আপনি ফেক কেস দিয়ে দিছেন। তাদের জীবনটা হেল বানিয়ে দিয়েছেন। আপনার এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং হয়েছে ৩ হাজার। তারপর ঘুম হয়েছে ৩-৩.৫ হাজার লোক। মেসাকার হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আপনি যখন একটা সিনিয়র সাংবাদিক, আপনি যখন একটা এনালজি টানবেন, তখন তো সাবস্ট্যান্স থাকতে হবে। আপনি আমার একটা কথা—আর ওই কথায় আমি কনফিডেন্ট ছিলাম—সেটা দেখে আপনি উত্তেজিত হয়ে একটা পোস্ট দিলেন! আপনি পুরো গভর্নমেন্টকে, বা আমাকে বলছেন—‘সুরজ এটা কেমন?’—তাহলে সেটা তো যৌক্তিক হয় না।”

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=LCRiVfvAUXU&ab_channel=Channel24