
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা সিন্ডিকেটে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দু'দেশের চাপে পড়ে এখন এই সিন্ডিকেট ছোট থেকে বড় করা হচ্ছে। যাতে দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানিতে সক্রিয় এজেন্সিগুলো অংশ নিতে পারে।
বুধবার (২১ মে) ঢাকায় দিনভর দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে এমনই ধারণা পাওয়া গেছে। বৈঠকে সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে দুদেশের প্রতিনিধিরাই ইঙ্গিত দিয়েছেন আগের মতো আর একশত জনের কোন সিন্ডিকেট থাকছেনা। নতুন করে দেশটির শ্রমবাজার চালুর আগে সিন্ডিকেটের বিষয়টি চূড়ান্ত ফয়সালা করা হবে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে আরো অন্তত ৭-৮ শত এজেন্সিকে এ সুযোগ দেয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে বায়রা সূত্র জানিয়েছে, বছরখানেক শ্রমবাজার বন্ধ থাকলেও নিকট ভবিষ্যতে সেটা চালু হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জল হওয়ায় এখন ফের আলোচনায় ওঠে এসেছে সিন্ডিকেট। প্রশ্ন ওঠেছে, দু'দেশের একটি শক্তিশালী চক্রই এখনো সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখতে সক্রিয়। এমন বাস্তবতা থেকেই বর্তমান অন্তর্বতী সরকার অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গেই সিন্ডিকেট বিরোধী হিসেবে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে।
গত সপ্তাহে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়া সফরের সময়েও একাধিক বৈঠকে সিন্ডিকেট বিরোধী সোচ্চার বক্তব্য দিলেও সেটা বাস্তবায়ন করা যে, দু'দেশের জন্যই বেশ জটিল ও চ্যালেঞ্জিং তেমন ধারণাই দিয়েছেন এ সেক্টরের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। বায়রার উভয়াংশই এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বর্তমান সরকার সিন্ডিকেট বিরোধী শক্ত অবস্থান নিলেও সেটা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ সংশয় রয়েছে। কেননা উভয়দেশের নীতিনির্ধকরা ইতোমধ্যে যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, ঢালাওভাবে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা বেশ কঠিন।
কাজের সুবিধার্থেই মালয়েশিয়ার জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের তিন হাজার রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি আমদানি করা অনেক কঠিন। এজেন্সির সংখ্যা কম হলে, কাজের প্রক্রিয়াটা সহজ ও গতিশীল হয়। এমন বাস্তবতার নিরিখেই বর্তমান সিন্ডিকেট ১০১ থেকে আরও সম্প্রসারণ করে অন্তত পাঁচশত কিংবা সর্বোচ্চ হাজার খানেক করা যেতে পারে।
বৈঠকে অংশ নেয়া একজন প্রতিনিধি দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, সিন্ডিকেট নিয়ে কোন কথা সুস্পষ্ট উচ্চারিত না হলেও মূলত আগামী দিনগুলোতে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে বেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বছতা আনার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। উভয়পক্ষই তাতে সম্মত, অতীতের মতো যাতে আর কোন সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে জিম্মি করে অস্বাভাবিক অর্থ হাতিয়ে নিতে না পারে। বৈঠকে দু'দেশের বর্তমান সমঝোতা স্মারকে সংশোধনী এনে সিন্ডিকেটের বাহিরে আরও ব্যাপক অংশগ্রহণের বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। যার অর্থ দাড়ায় বর্তমান ১০১ জনের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাচ্ছে কিংবা সেটা আরও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে যাতে আরও অধিক এজেন্সি কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কাজের সুবিধার্থে যুক্তি দেখানো হয়েছে বাংলাদেশে বর্তমানে আড়াই হাজারেরও বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। তাদের সবার সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে কাজ করতে গেলে মালয়েশিয়ার পক্ষে যথেষ্ট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাড়ায়। এই দৃষ্টিকোন থেকেই মালয়েশিয়া চাইছে হাজার হাজার এজেন্সির পরিবর্তে অন্তত নুন্যতম ৫ শত থেকে সর্বোচ্চ ৭ শতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হলেও উভয়দেশের জন্য সুবিধা হবে। এতে শ্রমিক রপ্তানিতে একচেটিয়া কেউ কোন সুবিধাও নিতে পারবেনা, ব্যয় বাড়ানোর জন্য কাউকে জিম্মিও করা যাবেনা।
উল্লেখ্য, বছরখানেক বন্ধ থাকার পর কয়েকটি শর্তে খুলছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। দেশটি আগামী কয়েক বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রাধান্য অনুকূলে রাখতে হলে মালয়েশিয়ার দেয়া শর্তাদি মানায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনশক্তি রপ্তানি সংশিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দ্রত নিষ্পত্তি করা, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংরক্ষণ করে অভিবাসন ব্যয় কমানো এবং অভিবাসন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সহযোগী এজেন্সি প্রথা বাদ দেওয়া।
এ নিয়ে গত ১৫ মে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রীর স্টিভেন সিম চি এর সঙ্গে যৌথসভা করেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এ সময় শ্রমিক পাঠানো সংক্রান্ত একটি চুক্তিও সই হয়। সেই চুক্তিতে এসব শর্ত দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের কাছ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়েও চুক্তি করে মালয়েশিয়া।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিক্রুটিং এজেন্সির বেশি টাকা নেওয়ার সুযোগ থাকলে সেখানে বাণিজ্য হয়। শ্রমিক প্রেরণে ব্যয় কম রাখা হলে বাণিজ্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া সহযোগী এজেন্সি (অ্যাসোসিয়েট বেয়ারার) পদ্ধতি অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। শ্রমিক কম টাকায় মালয়েশিয়া যেতে পারলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
জানতে চাইলে বায়রার নেতা মো. ফখরুল ইসলাম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, সিন্ডিকেট বড় বা ছোট আমরা কোনটাই চাইনা। আমরা চাই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক।
আড়াই হাজারেরও বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে মালয়েশিয়া পক্ষ কাজ করতে অনিচ্ছুক কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সিন্ডিকেটের ট্রাম্প কার্ড। তারা এটাকে নিজেদের সুবিধার্থে মালয়েশিয়ার একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা প্রচার করছে। আসলে বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি হবে না। কেউ কেউ বলে তিন হাজারের মতো। কিন্তুু সত্যিকার অর্থে সবাই তো মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠায় ৮ শত থেকে হাজার খানেক। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া কিংবা সবার জন্য উন্মক্ত ঘোষণা করা হলেও তো এদের বাইরে আর কেউ সে সুযোগ পাচ্ছেনা। কাজেই যদি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে সিন্ডিকেট বাড়িয়ে ৭ থেকে ৮ শত করার বিষয়ে সম্মত হয়, কিংবা সিদ্বান্ত হয়, তাহলে তো এক সেন্সে বলা চলে এটা সিন্ডিকেটের পর্যায়ে থাকবে না। এর অর্থ দাড়ায়, সিন্ডিকেট আর নেই। আমরা তো এমনটিই চাচ্ছি। তবে যেটাই করা হোক, সেটা যেন একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও পদ্বতির মধ্যে দিয়ে হয়। যাতে এ সেক্টরে আর কেউ অনিয়ম বৈষম্য করার সুযোগ না পায়।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট নিয়ে চার বছরে ধরেই দেশবিদেশে ব্যাপক কেলেঙ্কারি সৃষ্টি করে বিগত আওয়ামী লীগ। প্রথমে ছিল রুহুল আমিন স্বপন ও আমিন দাতোর নেতৃত্বে ১০ জনের সিন্ডিকেট। পরে সেটা বাড়িয়ে করা হয় ১০১ জনের সিন্ডিকেট। এ নিয়ে দেশি বিদেশি মিডিয়াতেও ব্যাপক তোলপাড় দেখা দেয়। ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের চিহ্নিত চক্রের প্রকাশ্যেই লাখ লাখ শ্রমিকের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা।
ফখরুল ইসলাম জানান, শুধু ১০১ জনের সিন্ডিকেট কমপক্ষে ১২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে মালয়েশিয়ার মানবাধিকাার সংগঠনও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গত সপ্তাহে এ ইস্যুতে এশিয়ার হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট অ্যান্ডি হল বলছেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ২০২১ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি পুরোপুরি নতুনভাবে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। এসব চুক্তির এমন কিছু ধারা রয়েছে, যা সিন্ডিকেটদের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, অংশগ্রহণ সীমিতকরণ, খরচ বৃদ্ধি এবং আইনের শাসনকে দুর্বল করার সুযোগ দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটমুক্ত করতে করণীয় সম্পর্কে অ্যান্ডি হল বলেন, বাংলাদেশের ত্রুটিপূর্ণ এমওইউ সতর্কতার সঙ্গে সংশোধন করতে হবে যেন সব ধরনের সিন্ডিকেটের প্রভাব থেকে অভিবাসী কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা মুক্ত করা যায়। দায়িত্বহীন, অনিয়মিত ও অনৈতিক নিয়োগ পদ্ধতি বহু শ্রমিকের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে তা বাতিল করতে হবে এবং মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফডব্লিউসিএমএস)-এর চুক্তি অব্যাহত থাকায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা অংশ নিতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর ফলে খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া এফডব্লিউসিএমএস-এর হালনাগাদ ওয়েবসাইটে এখনো বাংলাদেশের অনুমোদিত এজেন্সিগুলোর তালিকা প্রকাশিত হয়নি, যদিও অন্যান্য সোর্স কান্ট্রিগুলোর তালিকা সেখানে রয়েছে। এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেটের শর্ত মেনে নেওয়ার আলোচনা চলার কারণেই তালিকা প্রকাশ বিলম্বিত হচ্ছে।
অ্যান্ডি হল বলেন, শ্রমবাজার খোলার আগেই বাংলাদেশ সরকারের উচিত দ্রুত এমওইউ পুনরায় পর্যালোচনা করে এমন সব ধারা বাদ দেওয়া, যা সিন্ডিকেট গঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে।
এছাড়াও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগে আপত্তি জানিয়েছে দেশটির মানবাধিকার গোষ্ঠী তেনাগানিতা। তেনাগানিতা বলেছে, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের আগে ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। চলমান পদ্ধতিগত ব্যর্থতা মোকাবেলা না করে নতুন কর্মী নিয়োগ চলমান মানবিক সংকটকে আরও নাজুক করবে। মালয়েশিয়ার এখন প্রয়োজন-আরও বেশি নিয়োগ নয়, বরং একটি বাস্তব হিসাব।
তিনি বলেন, পদ্ধতিগত ব্যর্থতার হিসাব, যা ব্যাপক শোষণকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলতে সক্ষম করেছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসী কর্মীকে মালয়েশিয়ায় আনা হয়েছিল, যার মধ্যে ৩ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশ থেকে এসেছে, যার মধ্যে অনেকেই বেকার, অবৈতনিক এবং আটকা পড়েছেন। তাদের বিষটিও ফয়সালা করা জরুরি।
থাকবেনা অনিয়ম বৈষম্য: এদিকে ঢাকায় দিনভর জেওজি-এর বৈঠকে নিশ্চিত করা হয়েছে আসছে দিনগুলোতে আর কোন অয়িনম বৈষম্য থাকবেনা। নিশ্চিত করা হবে স্বচছতা। এমন তথ্য প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া যাবেন আটকে পড়া ৮ হাজার কর্মী। কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম ও বৈষম্যে থাকবে না।
জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। অন্যদিকে, কুয়ালালামপুরের পক্ষে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. শাহরিয়ার বিন ওমর নেতৃত্ব দেন।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, গত বছর শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার কারণে সব প্রক্রিয়া শেষ করেও যেতে না পারাদের মধ্যে প্রায় আট হাজার কর্মী প্রথম ধাপে যাবেন। তাদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় বোয়েসেলের মাধ্যমে দ্রুত পাঠানো হবে। মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। কোনো অনিয়ম ও বৈষম্যের সুযোগ রাখা হবে না। বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি থাকায় মালয়েশিয়া সরকার সীমিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে আগ্রহী। তাই আজকের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং এ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে সমঝোতা স্মারক সংশোধন করার আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া সরকার অতীতে যারা সিন্ডিকেট করেছে তাদের মামলা প্রত্যাহারসহ কোনো শর্ত দেয়নি।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার বিষয়ে মালয়েশিয়া সরকার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছে। মালয়েশিয়া সরকার খুবই আন্তরিকভাবে দেখছে কর্মী নেওয়ার বিষয়টি। এতে দুইপক্ষ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চায়।
রিফাত