
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার রক্ষা এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ৪১ জন সংসদ সদস্য ও সিনেটর। বুধবার (২১ মে) পাঠানো এই চিঠিতে তারা তিনটি প্রধান দাবি জানিয়েছেন: সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের সহিংস ঘটনার বিচার এবং র্যাব বিলুপ্তি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের জনগণ যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। এটি সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনআস্থার পুনর্গঠনের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি করেছে।” তারা উল্লেখ করেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনেই গণতান্ত্রিক বৈধতার ঘাটতি ছিল এবং নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ান এমপি-সিনেটরদের মতে, সিদ্ধান্তহীনতা বা অনির্দিষ্টতা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে আরও সংকটাপন্ন করতে পারে। চিঠিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই প্রক্রিয়ার প্রতি নিবিড়ভাবে দৃষ্টি রাখছে।”
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত সহিংসতায় নিহত ও আহতদের জন্য সুবিচার দাবি করে চিঠিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। এর দায়ীদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা দরকার।”
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রসঙ্গে বলা হয়, “র্যাব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যা আমরা সমর্থন করি।” চিঠিতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকেও একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিঠির শেষাংশে বলা হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সাহসী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে অস্ট্রেলিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গঠনমূলক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।”
নুসরাত