ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বৃষ্টিতে হাঁটু পানি খানাখন্দে ভরা সড়কে জনদুর্ভোগ

মনজু শেখ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার,রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২১ মে ২০২৫

বৃষ্টিতে হাঁটু পানি খানাখন্দে ভরা সড়কে জনদুর্ভোগ

ছবি: জনকণ্ঠ


রাজবাড়ী পৌরসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক “হাসপাতাল রোড” যেন আজ জনদুর্ভোগের প্রতীক। দৈনন্দিন কাজে হাজারো মানুষের চলাচলের অন্যতম এই সড়কটি এখন রূপ নিয়েছে দুর্ভোগ আর দুর্ঘটনার পথে। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে সড়ক তলিয়ে যায়, সৃষ্টি হয় ছোট-বড় জলাবদ্ধতা।

দীর্ঘদিনের অবহেলা আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অগণিত গর্ত ও খানাখন্দ। এতে পথচারী, রিকশা, মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িচালক— কেউই নিরাপদ নয়। কাদা-পানিতে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে অনেকে আহত হচ্ছেন নিয়মিত।

সজ্জনকান্দা এলাকার পাবলিক হেলথ মোড় থেকে শুরু হয়ে দুই নম্বর রেলগেট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহকে সংযুক্ত করেছে। এখানে রয়েছে সদর হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল, সিভিল সার্জন অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, আনসার ভিডিপি কার্যালয়, মসজিদ, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।

মূল শহরের প্রধান সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞার ফলে হাসপাতাল রোড দিয়েই চলাচল করছে মালবোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও বালুর ট্রাক। ফলে সড়কের স্থায়িত্ব কমে গর্তের পরিমাণ বেড়েছে।

গত ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পাবলিক হেলথ মসজিদের সামনের অংশ থেকে টেকনিক্যাল স্কুল পর্যন্ত সড়ক অংশে হাঁটুসমান পানি জমে চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে।

সড়কের বেহাল চিত্র দীর্ঘ দুই-তিন বছর ধরে চললেও এখনো পর্যন্ত পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দুরবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।

তারা বলছেন, “প্রতিদিন আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। কারো যদি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে যেতে হয়, সেই পথেই বিপদ!”

এখন সময় এসেছে, পৌরসভা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার। নইলে এই দুর্ভোগ শুধু বাড়তেই থাকবে। জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রস্থলে এমন রাস্তাঘাট কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না—এটি শুধু নাগরিক অসুবিধা নয়, এটি একপ্রকার অবহেলাজনিত মানবিক বিপর্যয়।
 

সাব্বির

×