
ছবি: প্রতীকী
বিশ্বব্যাপী চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি বক্তব্যেই যেন ঘুম হারাম হয়েছে ভারতের। তিনি বলেছিলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেওয়ার কোন বিকল্প নেই। কারণ হারার কোন অপশন রাখা যাবে না। সামনে রাখতে হবে জয়ের লক্ষ্য। তবে তিনি এ কথাও বলেছিলেন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে তিনি কখনোই যুদ্ধের পক্ষে নন। তিনি চান না পৃথিবীর কোথাও যুদ্ধ হোক।
যদিও তিনি নিজে যুদ্ধবিরোধী মানুষ হিসেবে পৃথিবীর কোথাও যুদ্ধ চান না, তবুও তাঁর বক্তব্যের সুনির্দিষ্ট বার্তা দিল্লিকে যেন বিদ্যুতের মতো স্পর্শ করেছে। এবার তারা তিস্তার পাড়ে অর্থাৎ, চিকেন নেকের আশেপাশের এলাকা ঘিরে রণমহড়া করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি তাদের বৃহৎ সামরিক মহড়া ‘তিস্তা প্রহার’ সফলভাবে সম্পন্ন করার দাবি করেছে।
এই মহড়া নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উপমহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে। ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতের তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে অনুষ্ঠিত এই সামরিক মহড়াকে অনেকেই দেখছেন একটি সুস্পষ্ট কৌশলগত বার্তা হিসেবে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্লেষক প্রিয়জিং দেব সরকার বলেন, ‘এই মহড়া হলো একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রচেষ্টা—যার মাধ্যমে প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে, ভারত যুদ্ধ প্রস্তুত।’
এ অনুশীলনে অংশ নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদাতিক, কামান, সাজোয়া ইউনিট, স্পেশাল ফোর্সেস, সেনাবিমান ও সংকেত বাহিনী। ব্যবহৃত হয় উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্র, নতুন প্রজন্মের ড্রোন এবং নেটওয়ার্ক-সক্ষম সমন্বিত কমব্যাট সিস্টেম।
তিস্তা অববাহিকায় এমন মাত্রার সামরিক মহড়া আগে দেখা যায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক মঞ্চে একটি নীরব কিন্তু জোরালো প্রতিধ্বনি তুলতে পারে। তবে ঢাকা আপাতত শান্ত, কিন্তু কাঁপছে দিল্লি।
বিশেষ করে পাকিস্তান সীমান্তে একের পর এক ব্যর্থতা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ মোদিকে একপ্রকার নড়বড়ে করে ফেলেছে। এখন ড. ইউনুসের মতো একজন প্রভাবশালী কণ্ঠ যখন যুদ্ধ প্রস্তুতির কথা বলেন—তাতে দিল্লির ভয় পাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=3dGXrgjIfZM
রাকিব