ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সোশ্যাল মিডিয়ায় সফল হওয়ার 7C কৌশল জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১৭ মে ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় সফল হওয়ার 7C কৌশল জেনে নিন

ছবিঃ সংগৃহীত

অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়া কিছুদিন ব্যবহারের পর সিদ্ধান্ত নেন যে তাদের একটি কৌশল প্রয়োজন। কিন্তু এটি প্রায় ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়ার মতো। সফলতা নিশ্চিত করতে হলে শুরু থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াকে ‘৭টি C’-এর প্রেক্ষাপটে ভাবা উচিত। আসুন, একটি সফল সোশ্যাল মিডিয়া কৌশলের ৭টি C একে একে দেখি:

১. কমিউনিটি (Community)

যেকোনো ভালো যোগাযোগের শুরু হওয়া উচিত লক্ষ্য শ্রোতা নির্ধারণের মাধ্যমে।

তারা অনলাইনে কোথায় সময় কাটায়?
তারা কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে?
সেই প্ল্যাটফর্মে তাদের যোগাযোগের ধরন কেমন?

আপনার কমিউনিটি সম্পর্কে জানার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম গঠন করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, Oreo ব্র্যান্ডের অন্যতম বড় কমিউনিটি ফেসবুকে। একজন চাকরিপ্রার্থীর জন্য LinkedIn-ই হতে পারে প্রাসঙ্গিক কমিউনিটি।

২. কনটেন্ট (Content)

আপনার কমিউনিটি কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তা জানার পরেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কোন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করবেন।

ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং হলে আপনি কী ধরনের আর্টিকেল শেয়ার করবেন?
প্রতিষ্ঠান হলে, আপনি কীভাবে আপনার ক্লায়েন্টদের কাছে নিজেকে ভাবনাশীল নেতা হিসেবে উপস্থাপন করবেন?

৩. কিউরেশন (Curation)

কনটেন্টের কথা বললে, কিউরেশনের কথা না বললেই নয়। কিউরেশন হলো অন্যের তৈরি কনটেন্ট নির্বাচন করে তা গুছিয়ে উপস্থাপন করা। এটি আপনাকে প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্মত কনটেন্ট নিয়মিত শেয়ার করতে সাহায্য করে।

৪. ক্রিয়েশন (Creation)

ক্রিয়েশন হলো নিজে কনটেন্ট তৈরি করা—যেমন লেখা, ছবি বা ভিডিও। একটি ব্লগ লেখা, YouTube-এ ভিডিও আপলোড করা বা Instagram-এ ছবি পোস্ট করাও এর অন্তর্ভুক্ত। একটি ব্যালান্সের জন্য কিউরেশন ও ক্রিয়েশনের অনুপাত হতে পারে ৬০:৪০।

৫. কানেকশন (Connection)

কনটেন্ট কিউরেট বা ক্রিয়েট করার পরে সেটি শেয়ার করার মাধ্যমে কমিউনিটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হয়। আপনার শ্রোতা কোন কনটেন্ট পছন্দ করছে বা শেয়ার করছে তা বিশ্লেষণ করে তা অনুযায়ী সংযোগ আরও মজবুত করুন।

৬. কথোপকথন (Conversation)

এটি হলো আপনার কমিউনিটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলার প্রক্রিয়া। এটি কমিউনিটির অংশ হলেও আলাদা, কারণ এতে প্রকৃত এনগেজমেন্ট এবং পারস্পরিক যোগাযোগ ঘটে।

৭. কনভার্সন (Conversion)

সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল মানেই ROI নিয়ে ভাবা। এটি নিশ্চিত করা দরকার যে, আপনার সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম ব্যবসায়িক লক্ষ্য বা ব্যক্তিগত লক্ষ্য পূরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কনভার্সন মানে হতে পারে—জ্ঞান ছড়ানো, বিক্রি বাড়ানো বা ক্লায়েন্ট ধরে রাখা। ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এটি হতে পারে—সাক্ষাৎকারে ডাক পাওয়া বা কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়া।

একটি কার্যকর সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল তৈরি করতে হলে দরকার—কমিউনিকেট করা, মানুষকে বোঝানো, এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে কার্যকর কর্মে রূপান্তর করা। চূড়ান্তভাবে, এটি আপনাকে এনে দিতে পারে সচেতনতা, বিক্রি বা বিশ্বস্ততা—আপনার লক্ষ্য যা-ই হোক না কেন।

মুমু

×