
অবশেষে আইসিটি আইনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। আজ রাতেই এ বিষয়টি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসবে উপদেষ্টা পরিষদ।
শনিবার (১০ মে) যশোরের কেশবপুর পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আমাদের সরকার ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে। আজ রাতের জরুরি বৈঠকে আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধনের প্রস্তাবনাটি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে।”
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
ভারতীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতনে প্রতিবেশী দেশের কিছু মহল অস্থির হয়ে উঠেছে। সে কারণেই আমাদের কিছু মিডিয়ার সম্প্রচার সেখানে বন্ধ করা হয়েছে। তবে আমরা পাল্টা পদক্ষেপ নিতে চাই না। কারণ আমাদের সাংবাদিকতা অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারে কিছু মিডিয়া আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। তারা বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করেছে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। এখন আমরা চাই গণমাধ্যম হোক সত্যনিষ্ঠ ও জনগণের কণ্ঠস্বর।”
ভুয়া মামলা প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “আমরা কাউকে রাজনৈতিক হয়রানি করতে চাই না। তদন্তসাপেক্ষেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলা রাজনৈতিক দলগুলো করছে, সরকার নয়।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস এম রাশিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন।
আফরোজা