ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

যে কারণে নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করলো জামায়াত

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

যে কারণে নারী কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করলো জামায়াত

ছবি সংগৃহীত

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদ্য জমা দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলোকে “বাংলাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী সমাজের প্রত্যাশার সাথে সাংঘর্ষিক” আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মহিলা বিভাগ।

সংগঠনের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দিকা শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ​৯০% মুসলিমের এদেশে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে যা সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। অপরদিকে এই প্রতিবেদন কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই প্রতিবেদনে নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর বিষয় হলো, যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা, একই সাথে অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে,তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণ-পোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ সকল ধর্মের মতামত ও মুল্যবোধকে উপেক্ষা করা হয়েছে- যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে। আল্লাহর আইন কেউ ব্যাক্তিগতভাবে না মানতে পারে। কিন্তু তার কোন অধিকার নেই এই আইনে হাত দেওয়ার। বাংলাদেশের ৯ কোটি নারী এই কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই কমিশনে সমাজের সব শ্রেণির নারীদের প্রতিনিধিত্ব নেই এবং সেখানে ইসলামী জ্ঞানসম্পন্ন কোনও নারী সদস্য নেই। ফলে এই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবতা বিবর্জিত ও পক্ষপাতদুষ্ট বলেও দাবি করেন তিনি।

জামায়াতের পক্ষ থেকে কমিশনের প্রতিবেদনের পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে, ইসলামী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নারীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে প্রতিবেদন পুনর্লিখন করতে হবে।

আশিক

×