ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ছায়া সংসদে বদিউল আলম মজুমদার

সংস্কারের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:২৫, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

সংস্কারের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে

ছায়া সংসদে বিজয়ী দলের বিতার্কিকদের ট্রফি দিচ্ছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কবে হবে এ নিয়ে ভবিষ্যৎবাণী করা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। নিবার্চন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সংস্কারের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে এবং যৌক্তিক সময় দিতে হবে সংস্কারের জন্য। সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা  দেবে। এই প্রতিবেদনের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা যেতে পারে। 
শুক্রবার রাজধানীর এফডিসিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের পর নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে সরকার। সরকার সহায়তা না করলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এবার কমিশনের ওপর বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। গতবারের মতো এবার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোনো চাপ থাকবে না। তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়েছেন। বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক একরামুল হক সায়েম, সাংবাদিক সাইদুর রহমান, সাংবাদিক মশিউর রহমান খান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরী। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অর্ন্তভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে। একইসঙ্গে বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মচারী নির্বাচনী অপরাধ করেছে তাদের বিচারের জন্য সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। শপথ ভঙ্গ করে যেসব নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী অপরাধে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছবে তা জনগণ জানতে পারলে ভালো হয়। নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।

×