বাসে যাত্রী গণনা করছেন চেকার
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পুননির্ধারিত চার্টের বাইরে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় করা হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
বুধবার (১০ আগস্ট) সমিতির দপ্তর সম্পাদক সোমদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. বিআরটিএ’র চার্ট অনুযায়ী, ভাড়া আদায় করতে হবে। চার্টের বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রতিটি গাড়িতে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার চার্ট অবশ্যই টাঙিয়ে রাখতে হবে।
২. কোনো পরিবহনের গাড়িতে বিআরটিএ’র পুনঃনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না করা হয়, সে বিষয়ে সভায় মালিকদের সমন্বয়ে ৯টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়। এসব টিম বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে থেকে সব অনিয়ম তদারকিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
৩. ঢাকা শহর ও শহরতলী রুটে চলাচলকারী গাড়ির ওয়েবিলে কোনো স্ল্যাব থাকবে না। রাস্তায় কোনো চেকার থাকবে না। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত গাড়ির দরজা বন্ধ থাকবে, খোলা রাখা যাবে না। রুট পারমিটের স্টপেজ অনুযায়ী, গাড়ি থামাতে হবে।
এসব সিদ্ধান্ত ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিআরটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারের জন্য যাত্রীপ্রতি ভাড়া ৪০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ২০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর মহানগরে প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৩৫ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা ঠিক করা হয়। এছাড়া বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা আর মিনিবাসে ৮ টাকা।
এসআর