ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ঝলক

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ৩০ আগস্ট ২০১৯

ঝলক

স্ত্রীর নিরলস চেষ্টায়... বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সময় প্রত্যেক স্বামী-স্ত্রী শপথ নেন, সুখে-দুঃখে, সুস্থ ও অসুস্থ সব অবস্থাতেই একে অপরের পাশে থাকবেন। সেই মন্ত্রকেই সম্বল করে চীনের এই মহিলা মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনলেন তার স্বামীকে। ২০১৩ সালে হুবেই প্রদেশের জিয়াংইয়াংয়ের বাসিন্দা লি জিহুয়া এক ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। অফিস যাওয়ার পথে আচমকাই একদিন বদলে যায় জীবন। সেই থেকে তিনি অসাড় হয়ে কোমায় ছিলেন হাসপাতালের বিছানায়। কিন্তু হাল ছাড়েননি তার স্ত্রী জ্যাং গুইহুয়ান। টানা ৬ বছর রাত-দিন স্বামীর সেবা করে গেছেন এই আশায় একদিন নিশ্চয় সুস্থ হয়ে তার সঙ্গে বাড়ি ফিরবেন লি। নিজেকে ভুলে প্রতিদিন ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ঘরে স্বামীর শুশ্রুষা করে যেতেন। অনর্গল কথা বলে যেতেন স্বামীর সঙ্গে, বাজাতেন তার প্রিয় সব গান। ডাঃ ওয়ান কিং এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, সব কিছুই লির স্নায়ুকে সজাগ করতে সাহায্য করেছে। ২০১৮ সালে চেতনা ফিরে পান লি। আর কথা বলার মতো অবস্থায় এসে প্রথমেই তিনি বলে ওঠেন সেই চার শব্দ, যা নিমিষে ভুলিয়ে দিয়েছিল জ্যাং গুইহুয়ানের এতদিনের সব কষ্ট। স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে লি বলেছিলেন, ‘ওয়াইফ আই লাভ ইউ’। এরপর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার জন্য আরও এক বছর হাসপাতালে বিভিন্ন চিকিৎসার মধ্যে থাকতে হয় তাকে। এখন লি হাঁটাচলাও করতে পারেন সাহায্য নিয়ে। -ইন্ডিয়া টাইমস সহপাঠীর কান্না থামাতে... নতুন শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরু হবে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা চলে এসেছে স্কুলে। স্কুলের প্রধান গেট খোলা পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করছে বাইরে। সেখানেই ছাত্রদের মধ্যে কোনর নামে আট বছরের একটি ছেলে একা দাঁড়িয়ে আছে। মাথা নিচু করে এমনভাবে সে দাঁড়িয়ে আছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে তার মন ভাল নেই। সেখানে উপস্থিত ক্লাসের অন্য ছাত্ররা তাকে দেখে চলে যাচ্ছে। সবাই নিজের মতো স্কুল খোলার আনন্দে মাতোয়ারা। কিন্তু এরই মধ্যে তার কাছে এগিয়ে এল ক্রিশ্চিয়ান নামের তার এক সহপাঠী। সে গিয়ে কোনরের হাতে হাত রেখে স্নেহের ভঙ্গিতে তাকে সান্ত¡না দিল। নিজের ছেলের এই মানবিকতা প্রদর্শনের এই গুণ পাশ থেকে দেখছিল ক্রিশ্চিয়ানের মা। তিনি সেই ঘটনার ছবি তোলেন। তারপর সেই ছবিসহ পুরো ঘটনার কথা পোস্ট করেন ফেসবুকে। তারপরই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে মিনেহা কোর নলেজ ম্যাগনেট এলিমেন্টারি স্কুলের। ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানের মা কোকো মুর। সহপাঠীকে সহানুভূতি দেখানোর ক্ষমতা নিজের ছেলের মধ্যে দেখে, তিনি যে গর্ব অনুভব করেছেন সে কথা ফেসবুক পোস্টে গোপন করেননি মুর। -আনন্দবাজার পত্রিকা

আরো পড়ুন  

×