ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদ্ধতি নিতে হবে

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদ্ধতি নিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। জেলে থেকে শুরু করে ক্রেতাদের মধ্যেও এসেছে সচেতনতা। এই সচেতনতা ধরে রাখার পাশাপাশি উৎপাদন আরও বাড়াতে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখতে কার্যকর পদ্ধতি নিতে হবে। ইলিশের পরিভ্রমণ পথে নাব্য সঙ্কট দূর করা, ইলিশ উৎপাদনে নদী দূষণ রোধের বিষয়েও জোর দিতে হবে। এছাড়াও গভীর সাগরের ইলিশ নিয়ে গবেষণার (ব্লু ইকোনমি) ওপর গুরুত্ব আরোপের কথা বলেছেন বক্তারা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও গবেষণা অগ্রগতি’ শীর্ষক কর্মশালায় ইলিশের উন্নয়ন নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আনিছুর রহমান। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ নজরুল আনোয়ার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা, কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. জোয়ার্দার ফারুখসহ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ইলিশের অবদান মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ। যেখানে জিডিপিতে অবদান রাখছে ১ শতাংশ। বাংলাদেশে ৬০-৭০ ভাগ ইলিশের উৎপাদন হয় যেখানে যুক্ত আছে প্রায় ৫ লাখ জেলে। ইলিশের ব্যবস্থাপনার নীতিমালায় বিএফআরআই থেকে ২০০১ সালে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এছাড়াও যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে প্রথমে ৯ ইঞ্চি এবং পরে ১০ ইঞ্চির নিচে জাটকা সংরক্ষণ ও প্রজননক্ষম ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ প্রথমে ১৫ দিন পরে ২২ দিন করা হয়। একই সঙ্গে অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম ম-ল বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সুস্বাদু মাছ ইলিশের টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধি নির্ভর করে এর প্রজনন সফলতা, জাটকা রক্ষা এবং মাছ আহরণের পরিমাণের ওপর। ইলিশ উৎপাদনের মূলে রয়েছে জাটকা রক্ষা। বক্তারা জাটকা সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে সচেতনতার কথা বলেন ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার ওপরও গুরুত্ব দেন । জেলেরা যাতে কারও প্ররোচনায় এ সময় নদীতে না যায় বা মহাজন যেন তাদের জোর না করে সে বিষয়ে তীক্ষœ নজরদারির কথা বলেন।
×