ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২২ এপ্রিল ২০১৬

গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২১ এপ্রিল ॥ চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মামুন হত্যার দায়ে দু’ভাইসহ ৪ জনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মামলার অন্য ধারায় আদালত দ-প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদ- ও ৫ হাজার টাকা করে জারিমানার রায় প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূইয়া আদালতে এ রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের হাড়িবাড়িরটেক এলাকার আফজাল হোসেন সরকারের ছেলে জামান সরকার, একই এলাকার হামিদ ভূইয়ার ছেলে সাকিল ভূইয়া ও মোঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়া এবং কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার লতাবর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আবু সায়েম। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় উজ্জল সরকার, সুমন খান ও আফজাল হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইলের হাড়িবাড়িরটেক এলাকার হাসান খন্দকারের মেয়ে রোকসানাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় প্রতিবেশী জামান সরকার। রোকসানার পরিবার ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জামান ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে জামান ২০০৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে হাসান খন্দকারের ছেলে স্থানীয় ভাদুন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মামুনকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ১৩ আগস্ট ওই এলাকার শাহজাহান ভূইয়ার বাড়ির পূর্ব পাশে পায়খানার সেফটিক ট্যাঙ্কের ভেতর হাত-পা ও গলায় কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মামুনের লাশ পাওয়া যায়। চট্টগ্রামে যুবকের মৃত্যুদ- স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে জানান, বন্ধুকে হত্যার অপরাধে এক যুবককে মৃত্যুদ- প্রদান করেছে আদালত। দ-িত যুবকের নাম জাহেদ মাহমুদ (২৬)। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোঃ শাহে নূর এ রায় প্রদান করেন। জানা যায়, ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে। জাহেদ মাহমুদ তার বন্ধু কফিল উদ্দিনকে নিয়ে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে ভাত খেতে যায়। খাওয়া শেষে তারা ঘুরতে চায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন পাহাড়ে। জাহেদের লক্ষ্য ছিল কফিলের কাছ থেকে ল্যাপটপ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে গলা কেটে কফিলকে হত্যা করে। এ ঘটনায় কফিলের বাবা মোঃ রফিক বাদী হয়ে পরদিন ১৯ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর পুলিশ আসামি সাহেদ মাহমুদকে গ্রেফতার করে।
×