
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৭ শতাংশ, যার মধ্যে ফুটপাথ দখল হয়ে থাকে। কার্যত ব্যবহৃত রাস্তা মাত্র ৩-৪ শতাংশ। অথচ এই রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করছে। ফলে গড় গতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার। ৪৫ শতাংশ মানুষ হেঁটে চলাফেরা করে, অথচ তাদের জন্য কোনো পরিকল্পনা নেই। বাসগুলোয় ইন্ডিকেটর পর্যন্ত নেই বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক এমএ আজিজ।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি রাজধানী ঢাকা শহরকে “বাসযোগ্য নয়” বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, পুত্রজায়া, ইসলামাবাদের মতো পরিকল্পিত রাজধানী গড়ার কথা ভাবা উচিত। পুরান ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়, নৌবাহিনীর অফিস—সব কিছু রিলোকেট করা দরকার। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, গ্রাম থেকে কৃষিকর্মীরা শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাচ্ছেন। এতে একদিকে কৃষি শ্রমিক সংকট হচ্ছে, অন্যদিকে শহরে কর-নিবন্ধনবিহীন যানবাহনের বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। সরকারের কোনো আর্থিক লাভ হচ্ছে না, বরং বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে।
তাঁর মতে, বর্তমানে আইওটি (ইন্টারনেট অফ থিংস) ও রোবটিকসের যুগে একটি চুলাও আপনার জন্য বৃষ্টি হলে খিচুড়ি রান্না করে দিতে পারবে। এই প্রযুক্তিগত রূপান্তরে মানুষের অনেক পেশা অবলুপ্ত হতে যাচ্ছে। গরুর মতো মানুষের কাজও মেশিনে প্রতিস্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান তৈরিতে আটকে আছে। অথচ দরকার প্রযুক্তিপ্রশিক্ষিত, সায়েন্টিফিক থিংকার তৈরি করা। আগামী দশকে আমাদের প্রবাসীরাও কর্মহীন হতে পারেন, যদি এখনই প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ না দেওয়া হয়।
এসএফ