
ছবিঃ সংগৃহীত
মার্ক জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন, ফেসবুক আর আগের মতো মানুষকে সংযুক্ত করে না। এখন এটি ভাইরাল কনটেন্ট, ট্রেন্ড আর অ্যালগরিদমের দখলে। সেই সাথে মার্কিন সরকার মেটা’র বিরুদ্ধে বড় মামলায় নেমেছে, যা থেকে WhatsApp ও Instagram হারানোর শঙ্কা রয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) মেটা ও এর প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অভিযোগ- মেটা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো কিনে বন্ধ করে দিয়েছে, যাকে বলা হয় “killer acquisitions”। মূল লক্ষ্য ছিল—প্রতিযোগিতা ধ্বংস করে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করা। এই মামলায় ফেসবুকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ- সবই প্রশ্নের মুখে।
জাকারবার্গ বলেন, ‘আজ ফেসবুক আর পরিবারের সঙ্গে ছবি শেয়ার বা বন্ধুর পোস্টে কমেন্ট করার জায়গা নয়। এটি এখন ভাইরাল কনটেন্ট, ট্রেন্ড ও জনমত তৈরির প্ল্যাটফর্ম।’
তিনি দাবি করেন, Instagram (১৯ বিলিয়ন ডলারে) ও WhatsApp (১ বিলিয়ন ডলারে) কেনার ফলে এগুলো বেঁচে গেছে, বড় হয়েছে এবং এখন কোটি কোটি মানুষ এগুলো ব্যবহার করে।
তবে এ বিষয়ে FTC বলছে, Instagram ও WhatsApp ছিল ফেসবুকের জন্য ভয়ংকর হুমকি, এবং জাকারবার্গ নিজেই বলেছিলেন সেগুলোকে যেকোনো মূল্যে নিরস্ত করতে হবে। এমনকি Snap কিনতে ৬ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।
এক্ষেত্রে FTC বলছে, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত প্রতিযোগিতা ধ্বংসের কৌশল। এখন WhatsApp ও Instagram মিলিয়ে মেটার দুই বিলিয়ন ব্যবহারকারী, এবং এই দুটো অ্যাপ থেকেই আসে অর্ধেক বিজ্ঞাপন আয়।
এদিকে মেটা বলছে, তারা একা নয়। TikTok, YouTube, X (সাবেক Twitter), Reddit সবই তাদের প্রতিযোগী। তাছাড়া এগুলো আগে আইনসম্মতভাবে অনুমোদিত হয়েছিল।
জানা গেছে, মামলা চলবে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত। FTC যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে দ্বিতীয় ধাপে মেটাকে WhatsApp ও Instagram আলাদা করে বিক্রি করতে হতে পারে। এতে প্রযুক্তি জগতের শক্ত সাম্রাজ্যে বড় ধাক্কা আসবে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মামলার ফলাফল শুধু মেটা নয়, Google বা Amazon-এর মত প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যতের পথও নির্ধারণ করবে।
সূত্রঃ https://unionrayo.com/en/zuckerberg-facebook-meta-ftc/
আরশি