
ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক বছরের মতো এবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জে থাকছে না ম্যাংগো ক্যালেন্ডার। পরিপক্ব হলেই পাড়া যাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কালেক্টরেট চত্বরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, বিগত দুই বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এ বছরও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কোন ধরনের ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রণয়ন করা হবে না। যখন পরিপক্ব হবে তখনই গাছ থেকে পাড়া যাবে আম। এ ব্যাপারে আম চাষিদের জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সহযোগিতা করবে।
ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রণয়ন, নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন বিপণন পরিবহন ও বাজারজাত বিষয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সভার শুরুতেই আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মতামত নেয়া হয়।
আম চাষিরা জানান, অন্যান্য জেলার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম কিছু সময় পরে পরিপক্ব হয়। সে জন্য ম্যাংগো কালেন্ডারের প্রয়োজন নেই। তারা বলেন, জেলার আম বাগানগুলোয় ৩ দফা মুকুল আসে। যেসব গাছে আগাম মুকুল আসে সেসব গাছে আগেই আম পাকে। যদি গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। তাহলে আগাম মুকুলের গাছগুলোয় আম পেকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রশাসনের প্রণয়ন করা ম্যাংগো ক্যালেন্ডারের জন্য সে আমগুলো গাছ থেকে নামানো সম্ভব হবে না। এ জন্য আম ক্যালেন্ডার প্রণয়নের কোন প্রয়োজন নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মুনজের আলম মানিক বলেন, গাছ থেকে আম নামানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়সীমার প্রয়োজন নেই। আগামী ১০ দিনের মধ্যে গাছ থেকে আম নামানো যাবে। সুতরাং জেলায় ম্যাংগো ক্যালেন্ডার না থাকুক।
জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ বলেন, বিগত দুই বছরে গাছ থেকে আম নামানোর সময়সীমা বেঁধে না দেয়ায় কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। অপুষ্ট-অপরিপক্ব আম গাছ থেকে পাড়া হয় না। এ অভিজ্ঞতার আলোকে এবারও ম্যাংগো ক্যালেন্ডার থাকছে না। অপরিপক্ব আম বাজারজাত না হয় সেদিকেও নজরদারি থাকবে।
পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ে বিভাগ জানিয়েছে যখনই এই জেলার আম পাড়া হবে তখন থেকেই বাংলাদেশ রেলওয়ে আম পরিবহনের জন্য আমাদের সহযোগিতা করবেন। একইভাবে ডাক বিভাগও তাদের বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় কম খরচে আম পরিবহনে সহযোগিতা করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইকতেখারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ, কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, পশ্চিমাঞ্চল রেওলয়ের উপপ্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, আম চাষি রফিকুল ইসলাম, আহসান হাবিবসহ অন্যরা।
আসিফ